গর্ভাবস্থায় কোন খাবার খেলে বাচ্চা বুদ্ধিমান হয়

সন্তান যেন বুদ্ধিমান ও মেধাবী হয় এই প্রত্যাশা সব মা-বাবার থাকে। সেজন্য গর্ভবতী নারী শিশুর কথা চিন্তা করে স্বাস্থ্যকর খাবার খান এবং স্বাস্থ্যসম্মত উপায় চলার চেষ্টা করেন ।

গর্ভাবস্থায়-কোন-খাবার-খেলে-বাচ্চা-বুদ্ধিমান-হয়

কিন্তু অনেকেই জানিনা যে কোন খাবারগুলো খেলে তার বাচ্চাদের মেধার বিকাশ ঘটে। আপনি যদি এই সম্পর্কে জানতে চান তাহলে আপনি সঠিক জায়গায় এসেছেন। আপনি এইপোস্টটি শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত মনোযোগ সহকারে পড়ুন তাহলে জানতে পারবেন যে গর্ভাবস্থায় কোন খাবার খেলে বাচ্চা বুদ্ধিমান হয়।

পেজ সূচিপত্রঃ গর্ভাবস্থায় কোন খাবার খেলে বাচ্চা বুদ্ধিমান হয়।

গর্ভাবস্থায় কোন খাবার খেলে বাচ্চা বুদ্ধিমান হয় 

অনেক গর্ভবতী মায়ের মনে একটাই প্রশ্ন জানতে আগ্রহ প্রকাশ করে যে গর্ব অবস্থায় কি খাবার খেলে বাচ্চারা বুদ্ধিমান হয়। কিন্তু অনেকেই এর সঠিক উত্তর জানে না, আপনি যদি এর সঠিক উত্তর পেতে চান তাহলে পোস্টটি শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত পড়ুন। গর্ভাবস্থায় যেসব খাবার খেলে বাচ্চারা বুদ্ধিমান হয় তা নিম্নে বর্ণনা করা হলো। 

ফল এবং শাকসবজিঃফল এবং বিভিন্ন ধরনের শাকসবজিতে থাকা অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট শিশুর মস্তিষ্ক বিকাশ কোষকে ক্ষতির হাত থেকে রক্ষা করে এবং মস্তিষ্কের উন্নতি ঘটায়। বিশেষ করে টমেটো ,আঙ্গু্‌র, বেরি,গাজর শিশুর বুদ্ধি এবং মনোযোগ বৃদ্ধিতে সহায়তা করে। 

ডিমঃ ডিমে প্রচুর পরিমাণ কলিং থাকে যা মস্তিষ্ক বৃদ্ধি এবং স্মৃতিশক্তি বাড়াতে সাহায্য করে। একজন গর্ববতী মহিলা নিয়মিত ডিম খেলে খুব ভালো ফল পেতে পারে। 

প্রোটিন সমৃদ্ধ খাবারঃ প্রোটিন শিশুর মস্তিষ্ক ও কোষের গঠন ও পূর্ণ গঠনে বিশেষ ভাবে সহায়তা করে। হোটেল সমৃদ্ধ খাবার গুলোর মধ্যে রয়েছে মাছ ,মাংস্বা‌দাম ,দই ইত্যাদি। একজন গর্ব অবস্থায় মায়ের প্রোটিন গ্রহণ শিশুর শারীরিক ও মানসিক বিকাশে বিশেষভাবে সহযোগিতা করে। 

গর্ভাবস্থায়-কোন-খাবার-খেলে-বাচ্চা-বুদ্ধিমান-হয়

আইরন এবং ফলিত এসিডঃএকটি শিশুর মস্তিষ্ক বিকাশের জন্য সবচাইতে জরুরী সেটা হচ্ছে আইরন। আয়রন শিশুর মস্তিষ্কের অক্সিজেন সরবরাহ গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে ।যদি আয়রনের ঘাটতি হয় তাহলে আপনার শিশুর মস্তিষ্কের বিকাশ বাধাগ্রস্ত হতে পারে।আইরন জাতীয় খাবার গুলোর মধ্যে রয়েছে পালং শাক ,লাল শাক্মু‌রগির মাংস ,এবং ডাল এই ফলিতএসিড মায়ের জন্য প্রয়োজনীয় একটি ভিটামিন যা গর্ভাবস্থার প্রথম দিকে শিশুর মস্তিষ্ক বিকাশে বিশেষ ভূমিকা রাখে। 

দুধঃদুধে ক্যালসিয়াম প্রোটিন এবং ভিটামিন বি থাকে। যা শিশুর মস্তিষ্ক উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। গর্ভাবস্থায় যদি কোন মা নিয়মিত দুগ্ধ বা দুগ্ধ জাতীয় পণ্য পান করে তাহলে তার শিশুর স্মৃতিশক্তি এবং মস্তিষ্কের বিকাশে ইতিবাচক প্রভাব ফেলে।দুধ জাতীয় খাদ্য মধ্যে যেমন দুধ দই  ইত্যাদি।

শস্য দানাঃ গর্ব অবস্থায় মস্তিষ্ক শক্তির প্রধান উৎস হচ্ছে গ্লুকোজ ।তাই শস্যদানা যেমন অটোস ব্লাউজ প্রাইস এবং গোটা গমের রুটি নিয়মিত খাদ্য তালিকায় রাখা উচিত ।এগুলো মাইন্ড রক্তের গ্লাসের মাত্রা বজায় রাখতে সহায়ক এবং মস্তিষ্ক বিকাশে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে।আশা করি গর্ভাবস্থায় কোন খাবার খেলে আপনার বাচ্চার বুদ্ধিমান হয় এই সম্পর্কে জানতে পেরেছেন।

গর্ব অবস্থায় কি কি সবজি খাওয়া যাবে

গর্ভ অবস্থায় পুষ্টিকর সুষম খাদ্য গ্রহণ অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ সবজি এর মধ্যে একটি প্রধান উপাদান যা গর্ভ অবস্থায় মা এবং শিশুর সুস্বাস্থ্য নিশ্চিত করতে সহায়ক। তাহলে চলুন জেনে নেওয়া যাক গর্ব অবস্থায় কি কি সবজি খাওয়া যাবে।

গর্ভাবস্থায় কি কি সবজি খাওয়া যাবে তা নিম্নে বর্ণনা করা হলো।

পালং শাক ও অন্যান্য সবুজ শাকসবজি, মিষ্টি আলু ,গাজ্‌র, টমেটো , কুমড়া,লাল শাক, লাউ ,মটরশুট্‌ ক্যাপসিকাম, ইত্যাদি এই সমস্ত সবজি।

গর্ভাবস্থায় মায়ের খাবার এবং শিশুর পুষ্টি ও স্বাস্থ্যের উন্নত করতে এইসব সবজি সাহায্য করে।

গর্ভাবস্থায় কোন কোন সবজি খাওয়া যাবে না

অনেক মায়েদের মনে প্রশ্ন জাগে যে গর্ভ অবস্থায় কোন কোন সবজি খাওয়া যাবেনা। কিন্তু অনেকেই সঠিক উত্তর দিতে পারেনা। আপনি যদি এর সঠিক উত্তর পেতে চান তাহলে আপনি সঠিক জায়গায় এসেছন। আপনি এই পোস্টটি থেকে আপনার সমস্ত প্রশ্নের উত্তর পেয়ে যাবেন তাহলে চলুন আলোচনা করা যাক গর্ভ অবস্থায় কোন কোন সবজি খাওয়া যাবে না সেই সম্পর্কে।

গর্ভ অবস্থায় স্বাস্থ্যকর খাবার খাওয়া গুরুত্বপূর্ণ তবে, কিছু ধরনের সবজি গর্ভ অবস্থায় মায়ের জন্য ক্ষতির কারণ হতে পারে।

পেপেঃ কাঁচা পেঁপে গর্ভাবস্থায় খাওয়া একদম পরিহার করা উচিত কারণ এতে গর্ভপাতের ঝুঁকি বাড়তে পারে তবে পাকা পেতে খাওয়া যাবে।

বেগুনঃ বেগুনের মধ্যে কিছু রাসায়নিক উপাদান থাকে যা গর্ভাবস্থায় হরমোনের প্রভাব কে ওর বিবর্তন করতে পারে অতিরিক্ত বেগুন খেলে গর্ভ অবস্থায় এটি সমস্যা সৃষ্টি করতে পারে।

কাঁচা শাকসবজিঃ গর্ভ অবস্থায় কিছু কাঁচা শাক-সবজি খাবেন না যেমন কাঁচা লেটুস কাঁচা কুকোমবার এগুলোতে জীবাণু থাকতে পারে যা মা এবং শিশুর স্বাস্থ্যকে ঝুঁকিতে ফেলতে পারে।

ছানা বা সোলার শাকঃ ছানা বা ছোলার শাক গর্ভাবস্থায় কিছু সমস্যা সৃষ্টি করতে পারে বিশেষ করে গ্যাস বা পেট থাপার কারণ হতে পারে আপনি এই খাবার পরিহারের চেষ্টা করুন আর যদি পরিহার করতে নাই পারেন তাহলে এটি খাওয়ার পরিমাণ সীমিত করা ভালো।

উপরোক্ত আলোচনা থেকে আশা করি বুঝতে পেরেছেন গর্ব অবস্থায় কোন কোন শাকসবজি খাওয়া যাবে না।বিশেষ করে পেঁপে বেগুন অতিরিক্ত খাওয়া এড়িয়ে চলা উচিত এছাড়াও কাঁচা শাক-সবজিতেব পোকামাকড় ্থাকতে পারে এমন সবজি ভালোভাবে ধুয়ে রান্না করে খাওয়ায় ভালো।

গর্ব অবস্থায় কিসমিস খেলে কি হয়

গর্ভ অবস্থায় কিসমিস খাওয়া স্বাস্থ্যের জন্য অত্যন্ত উপকার হয়ে থাকে কিসমিসের প্রচুর পুষ্টিগুণ রয়েছে যা মায়ের ও শিশুর সুস্থতা নিশ্চিত করতে সাহায্য করে নিজে গর্ভাবস্থায় কিসমিস খাওয়ার কিছু উপকারিতা সম্পর্কে আলোচনা করা হলো

গর্ভাবস্থায়-কোন-খাবার-খেলে-বাচ্চা-বুদ্ধিমান-হয়

আইরন সরবরাহঃ কিসমিসে আয়রনের ভালো উৎস এটি হিমোগ্লোবিনের মাত্রা বৃদ্ধি করে সহায়ক অবস্থায় রক্তস্বল্পতা প্রতিরোধ করতে একজন মায়ের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে থাকে।

শক্তি প্রদানঃ গর্ভাবস্থায় মায়ের শক্তি প্রয়োজন কিসমিস প্রাকৃতিক শর্করা থাকে যা তাৎক্ষণিক শক্তি সরবরাহ করতে সাহায্য করে। কষ্টকাঠিন্য দূর করেঃ কিসমিসের প্রচুর ফাইবার আঁশ থাকে যা হজম প্রক্রিয়াকে উন্নত করে এবং কষ্ট-পাঠীর্ণ দূর করতে সহায়তা করে।

হাড়ের গঠন ও শক্তি শালী করেঃ কিসমিস ক্যালসিয়াম ও বরুণ রয়েছে যা শিশুর হাড় ও দাঁতের গঠনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে।

রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণঃকিসমিসে প্রচুর পরিমাণ পটাশিয়াম থাকে যার রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে একজন গর্ভ বতী মাকে সহায়ক হিসেবে কাজ করে এবং ঝুঁকি কমায়।

রক্তশূন্যতা প্রতিরোধঃ কিসমিস প্রচুর পরিমাণ আইরন সমৃদ্ধ যা রক্তশূন্যতা প্রতিরোধে সাহায্য করে এবং শিশুর মস্তিষ্ক বিকাশে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে।

 কিসমিস পানিতে ভিজিয়ে খাওয়াই সবচাইতে উপকার এতে এর পুষ্টিগুণ বৃদ্ধি পায় এবং হজম আরো সহজ হয়। প্রতিদিন সকালে আট থেকে দশটি জিনিস খেতে পারেন তবে গর্ভ অবস্থায় অতিরিক্ত কিসমিস খাওয়া এড়িয়ে চলাই ভালো কোন অসুবিধা হলে ডাক্তারের পরামর্শ নেওয়া জরুরি

গর্ভ অবস্থায় কি খেলে বাচ্চা ফসা হয়

গর্ভ অবস্থায় মায়ের পুষ্টির জন্য ও শিশুর বুদ্ধি বিকাশের জন্য বিভিন্ন রকম স্বাস্থ্যকর খাবার আমরা খেয়ে থাকি তবে শিশুর গায়ের রং ফর্সা বা কালো মূলত নির্ভর করে জিংগত বৈশিষ্ট্যের উপরে এটি কোন খাবারের ওপরে প্রভাব ফেলে না। নির্ধারিত হয় মায়ের ও বাবার জেনেটিক্স মাধ্যমে, যা খাবারের মাধ্যমে পরিবর্তন করা সম্ভব নয়।

শিশুর ত্বকের উজ্জল লতা ও সুস্থতার ইতিবাচক প্রভাব ফেলতে পারে। নিম্নে সেসব খাবারের লিস্ট দেওয়া হল।

ও শাকসবজিঃ কমলা পাকা পেঁপে গাজর আমলকি এবং লেবুর মত ভিটামিন সি সমৃদ্ধ ফল শিশুর ত্বকের স্বাস্থ্য উন্নতি করতে ও ত্বক উজ্জ্বল করতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে।

বাদাম ও বীজঃ শিশুর ত্বক উজ্জ্বল সুস্থ রাখতে কাঠবাদাম, আখরোট, এবং চিয়া বীজের থাকা অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট এবং ভিটামিন ই উজ্জ্বলতা বাড়ায়।

পানি জাতীয়ঃ ডাবের পানি পর্যাপ্ত পরিমাণের বিশুদ্ধ পানি পান করলে শরীর থেকে বের হয় যা ত্বকের স্বাস্থ্য ভালো রাখতে সাহায্য করে।

ডিমঃ ডিমে থাকা প্রোটিন বায়োটিন ও অনেক গা ফ্যাটি অ্যাসিড শিশুর ত্বকের কোষ সুন্দর রাখতে সাহায্য করে।

উপরোক্ত খাবার গুলো খেলে শিশুর স্বাস্থ্য এবং ত্বক উজ্জ্বল করতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে আশা করি বুঝতে পেরেছে।

গর্ভাবস্থায় খেজুর খেলে কি হয়

গর্ভাবস্থায় খেজুর খাওয়া অত্যন্ত উপকারী কারণ এতে বেশ কিছু পুষ্টির উপাদান জন্য রয়েছে যা মা ও শিশু শারীরিক উন্নতির জন্য বিশেষ ভূমিকা পালন করে তবে খেজুর খাওয়ার কিছু উপকারিত সতর্কতা রয়েছে বিস্তারিত আলোচনা কর।

শক্তি সঞ্চয় করেঃ খেজুর প্রাকৃতিক শর্ট করা থাকে যা তাৎক্ষণিক শক্তি সরবরাহ করে এবং গর্ব অবস্থায় মায়ের ক্লান্তি কমাতে সাহায্য করে। গর্ভাবস্থায় শরীরে অতিরিক্ত শক্তি প্রয়োজন হয় এবং খেজুরে শক্তি সরবরাহ করতে যথেষ্ট কার্যকর।

রক্তশূন্যতা প্রতিরোঃ  গর্ভাবস্থায় রক্তশূন্যতা প্রতিরো ধে খেজুর কার্যকর ভূমিকা পালন করে খেজুরে প্রচুর পরিমাণ আয়রন থাকে যার সেল গঠনে সহায়ক এটি মায়ের হিমোগ্লোবিন মাত্রা বাড়িয়ে রক্ত শুন্যতা প্রতিরোধ করতে সাহায্য করে।

ভিটামিন এবং খনির সমৃদ্ধঃ ভিটামিন এবং খনিজ খেজুরের মধ্যে বিদ্যমান যেমন ক্যালসিয়াম ম্যাগনেসিয়াম পটাশিয়াম এবং শিশু স্বাস্থ্য ভালো রাখতে সহায়ক, বিশেষ করে ভিটামিন সি রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায় এবং ক্যালসিয়াম ও ম্যাগনেসিয়াম ভিটামিন সেসব হাড় এবং দাঁতের গঠন শক্তিশালী করে।

হজম শক্তি উন্নত কর করেঃ খেজুর প্রচুর রস থাকে যা কষ্ট কাঠিন্য দূর করতে সাহায্য করে এবং হজম প্রক্রিয়া উন্নত করে গর্ভ অবস্থায় কোষ্ঠকাঠিন্য একটি সাধারণ সমস্যা হতে পারে এবং খেজুর এর সমাধান সমাধান করে।

গর্ভে থাকা শিশুর ওজন বৃদ্ধি করে: গর্ভে থেকে শিশুর ওজন বৃদ্ধি করতে কেমনে সাহায্য করে অনেক গর্ভবতী মায়ের মনে একটাই প্রশ্ন গর্ভে থাকা সন্তানের ওজন নিয়ে তবে আপনার দুশ্চিন্তা না করে প্রতিদিন পরিমাণ মতো খেজুর খেতে পারেন গর্ব অবস্থায় খেজুর খেলে শিশুর ওজন বৃদ্ধি করতে অনেক বেশি সাহায্য করে। 

ভার্জিন নরম করতেঃ গর্ভকালীন সময়ে শেষের দিকে প্রতিদিন অন্তত ৬০ থেকে ৮০ গ্রাম খেজুর খাওয়া উচিত এতে করে। একজন গর্ভবতী মহিলা যদি প্রতিদিন ৬০ থেকে ৮০ গ্রাম খেজুর খায় তাহলে তার ভার্জিন নরম হতে সাহায্য করে। এবং এটি প্রসবের জন্য অনুকূল পরিবেশ তৈরি করতে সহায়তা করে অনেক সময় কৃত্রিমভাবে বা ঔষধে ওসব ব্যথা সৃষ্টি করার প্রয়োজন পড়ে কিন্তু নিয়মিত খেজুর খেলে তা আর প্রয়োজন পড়বে না। 

জরায়ু বেশি শক্তিশালী করে: খেজুর এরমধ্যে অক্সি টোসিন নামক এক ধরনের হরমোন থাকে যা একজন গর্ভবতী মহিলার জরায়ু পেশির সংকোচন নিয়ন্ত্রণ রাখতে বিশেষভাবে ভূমিকা পালন করে এছাড়াও এই হরমোন গর্ভবতী মহিলাদের প্রসবের সময় ওসব বেদনার নিয়ন্ত্রণে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে এবং স্বাভাবিক ওসবের সম্ভাবনা বৃদ্ধি করে আর এই জন্যই গর্ভবতী মেয়েদের প্রতিদিন খেজুর খেতে বলা হয়।

হাঁপানি ও কাশির সমস্যা দূর করে: হাঁপানি ও কাশির সমস্যা দূর করতে নিয়মিত খেজুর খেতে পারেন। কারণ খেজুর খেলে এ সমস্যা খুব সহজে দূর করা সম্ভব।

মানসিক স্বাস্থ্য উন্নতি করতে সাহায্য করে: মানসিক স্বাস্থ্য উন্নতি করার জন্য প্রতিদিনই খেজুর খেতে পারেন কারণ খেজুর খেলে শরীরের রক্তচাপ স্বাভাবিক মাত্রা থাকে এবং গর্ভবতী মায়ের মন মানসিকতা আনন্দময় থাকতে সহায়তা করে। 

গর্ভাবস্থায় লেবু খাওয়ার উপকারিতা/সতর্কতা

গর্ভাবস্থায় একজন মায়ের লেবু খাওয়ার যে উপকার সে সম্পর্কে অনেকেই জানে না আজকে আমি এই পোস্টে আপনাদেরকে জানিয়ে দিব গর্ভ অবস্থায় লেবু খেলে কি কি উপকার হয়। গর্ভ অবস্থায় লেবু খাওয়ার উপকারিতা সম্পর্কে জানতে নীচে পড়ুন।

মর্নিং সিগনেস কমাতে সহায়কঃ গর্ভ অবস্থায় অনেক মায়ের মনিং সিকনেস বা বমি বমি ভাব হয়। লেবু তাজা রস কেটে খাওয়ায় এ সমস্যা কমাতে সাহায্য করতে পারে লেবুর মধ্যে থাকা সাইট্রিক এসিড হজমে সহায়তা করে এবং অস্বস্তি কমাতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে।

ভিটামিন সি এর উৎসঃ লেবুতে প্রচুর ভিটামিন সি থাকে যার রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়, ত্বকের স্বাস্থ্য সহায়তা এবং আইরন শোষণের সাহায্য করে গর্ভাবস্থায় একটি বিশেষভাবে গুরুত্বপূর্ণ কারণ এটি মা ও শিশুর শরীরের জন্য প্রয়োজনীয় পুষ্টি সরবরাহ করে।

হাইড্রেশনঃ লেবুর রস পানি বা ডাবের পানির সাথে মিশিয়ে খেলে শরীরের জনশূন্যতা ডিহাইড্রেশন কমানো যায় যা গর্ভ অবস্থায় অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।

হজমে সহায়কঃ লেবু হজম প্রক্রিয়া উন্নত করতে সাহায্য করে এটি পচন তন্ত্রকে পরিষ্কার করে এবং কষ্টকাঠিন্য ও পেট ফাঁপা কমাতে সাহায্য করে।

গর্ব অবস্থায় লেবু খাওয়ার সতর্কতা নিম্নে বর্ণনা করা হলোঃঅতিরিক্ত খাওয়া এড়িয়ে চলাঃ যদিও লেবু উপকারী অতিরিক্ত খাওয়ার একজন গর্ভবতী মায়ের পেটের এসিডি ম্ব তা কারণ হতে পারে বিশেষ করে গর্ভাবস্থায় যখন হরমোনাল পরিবর্তন নেই কারণে পেটের সমস্যা বেশি হতে পারে।

দাঁতের এনামেল হয়ঃ লেবুতে সাইট্রিক এসিড থাকে যা অতিরিক্ত খেলে দাঁতের এনামেল ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে বিশেষ করে গর্ব অবস্থায় যখন লেবু খায় তারপরে মুখ পরিষ্কার করে নেওয়া উচিত।

 এলার্জি বা অতিরিক্ত সংবেদনশীলতাঃ কিছু মহিলাদের ক্ষেত্রে লেবুর প্রভাব ত্বকে এলার্জি বা রে সৃষ্টি করতে পারে যদি এমন সমস্যা দেখা দেয় তবে লেবু খাওয়ার সীমিত করা উচিত।

গর্ব অবস্থায় মেয়েরা কেন টক খায় 

গর্ভাবস্থায় মেয়েরা কেন টক খায় এ সম্পর্কে অনেকেই জানতে চাই। যখন একজন মা প্রথমে গর্ভবতী হন তখন টক খেতে ইচ্ছা করতে পারে কিন্তু নতুন মায়েরা গর্ভাবস্থায় টক জাতীয় খাবার কেন খেতে চায় এ বিষয়ে অনেকের অজানা। প্রথম তিন মাস এর সময় বমি বমি ভাব হতে পারে। কারণ এ অবস্থায় তাদের শরীর থেকে অনেক বেশি পরিমাণে সোডিয়াম বের হয়ে যায় যার ফলে শরীরে দেখা যায় নানা সমস্যা। 

এই সোডিয়ামের ঘাটতি ফলে বারবার গর্ভবতী টপ জাতীয় খাবার ভালো অবরুদ্ধ খাবারের প্রতি অনেক বেশি আসক্ত হয়ে যায়। আবার অনেকে মিষ্টি জাতীয় খাবারের জন্য পাগল হয়ে যায়। এর পাশাপাশি টক দই খাওয়াও প্রয়োজন হতে পারে।

 এই সময় নারী অনেক বেশি পরিমাণে যদি কোন খাবারের প্রতি আসক্ত হয়ে পড়ে বারবার সে খাবার গুলো খেতে চায়। সেজন্যই তারা বেশি টক খায়। 

লেখকের মন্তব্য গর্ভ অবস্থায় কোন খাবার খেলে বাচ্চা বুদ্ধিমান হয়

উপরোক্ত আলোচনা হতে আশা করি বুঝতে পেরেছেন গর্ব অবস্থায় কোন কোন খাবার খাওয়া যাবে কোন কোন খাবার পাওয়া যাবে না গর্ভ অবস্থায় কি খেলে উপকার হয়। আর কি খাবার থেকে দূরে থাকা ভালো এটাই সম্পর্কে তবে গর্ভ অবস্থায় আপনি চিকিৎসকের সাথে পরামর্শ করে সব জাতীয় খাবার গ্রহণ করতে পারে।






এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

www.alltipsatoz.comনীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url