কালোজিরা খাওয়ার অসাধারণ উপকারিতা ও অপকারিতা সম্পর্কে ৩০টি কার্যকারী তথ্য জানুন
কালোজিরা একটি শক্তিশালী প্রাকৃতিক উপাদান যা বিভিন্ন রোগ প্রতিরোধ এবং স্বাস্থ্যের উন্নতি করতে সহায়ক হিসেবে কাজ করে থাকে। রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন কালোজিরা মৃত্যু ব্যতীত সমস্ত রোগের ঔষধ।
নিয়মিত কালোজিরা খেলে শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ে এবং নানান রোগ থেকে রক্ষা পাওয়া যায়। কালোজিরার উপকারিতা ও অপকারিতা বিভিন্ন বিষয়ে আজ আমরা বিস্তারিত আলোচনা করব।
পেজ সূচিপত্র: কালোজিরা খাওয়ার অসাধারণ ৩০ টি উপকারিতা
কালোজিরা খাওয়ার অসাধারণ উপকারিতা
গর্ভাবস্থায় কালো জিরা খেলে কি হয়
কালোজিরা খাওয়ার নিয়ম/কালোজিরা কিভাবে খাবেন
কালোজিরা খাওয়ার উপকারিতা সম্পর্কে হাদিসের বাণী
গর্ভাবস্থায় কালোজিরা খাওয়ার নিয়ম
কালোজিরা চিবিয়ে খাওয়ার উপকারিতা
কালোজিরা ও রসুন একসঙ্গে খেলে কি হয়
টানা ৭ দিন কালোজিরা খেলে কি হয়
গর্ভ অবস্থায় কালোজিরা ও মধু খাওয়ার উপকারিতা
উপসংহার/কালোজিরা খাওয়ার অসাধারণ উপকারিতা
কালোজিরা খাওয়ার অসাধারণ উপকারিতা
কালোজিরা খাওয়ার অসাধারণ উপকরিতা সম্পর্কে বলতে গেলে আমাদের চলে যেতে হবে অনেক প্রাচীনকালে। কেননা প্রাচীনকাল থেকে আয়ুর্বেদ এবং ভেষদা চিকিৎসার ক্ষেত্রে কালোজিরা জনপ্রিয়ভাবে ব্যবহার হয়ে আসছে। কালোজিরা এমনই একটি আল্লাহর নিয়ামত,যে এটি বিভিন্ন খাবারের সাথে ব্যবহার করা যায়। আর এর উপকারিতার কথা বলে শেষ করা যাবে না। তাহলে চলুন আজকে আলোচনা করা যাক কালোজিরা খাওয়ার উপকারিতা সম্পর্কে।
কালোজিরার খাওয়ার অসাধারণ ৩০টি উপকারিতা
- শ্বাসকষ্ট উপশম, কালোজিরায় থাকা এন্টি ইনফ্লামেটর উপাদান শ্বাসনালী পরিষ্কার করে এবং শ্বাসকষ্ট কমাতে সাহায্য করে।
- ক্যান্সার প্রতিরোধক, কালোজিরা ও থাকা থাইমুক কুলন ক্যান্সার কোষের বৃদ্ধি রোধ করে এবং শরীরকে ক্যান্সারের ঝুঁকি থেকে রক্ষা করে।
- ইমুইউনিটি বিদ্ধি, কালোজিরায় থাকা এন্টিঅক্সিডেন্ট শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায় এবং সংক্রমের বিরুদ্ধে লড়াই করে।
- হৃদরোগ প্রতিরোধে, কালোজিরা কোলেস্টেরল মাত্রা কমায় যা হার্ট অ্যাটাক এবং স্টকের ঝুঁকি কমাতে সাহায্য করে।
- ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণ, কালোজিরা রক্তের শর্করা মাত্রা নিয়ন্ত্রণ নেই রাখতে সাহায্য করে যা ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য খুবই উপকারী।
- স্মৃতিশক্তি বৃদ্ধি, কালোজিরা উপাদান মস্তিষ্কের কর্মক্ষমতা বাড়ায় এবং স্মৃতিশক্তি উন্নত করে।
- গেস্টিক ও হজম সহায়ক, কালোজিরা অন্তরে ব্যাকটেরিয়া ভারসাম্য রক্ষা করে এবং হজম সমস্যা কমায়।
- চুল পড়া বন্ধ, কালোজিরা তেল মাথার ত্বকে ব্যবহার করলে চুল পড়া কমে এবং নতুন চুল গজায়।
- ওজন কমাতে সহায়ক, বিপাকক্রিয়া বাড়িয়ে শরীরের অতিরিক্ত চর্বি কমায়।
- চর্মরোগ নিরাময়ে সাহায্য করে, কালোজিরা antif টাঙ্গাইল ও এন্টি ব্যাকটেরিয়া উপাদান এটি একজিমা ব্রণ কমায়।
- জনসাস্থ্য উন্নত করে, কালোজিরা একটি প্রাকৃতিকভাবেই জনশক্তি বাড়াতে সাহায্য করে এবংহাড়ের শক্তি বৃদ্ধি, কালোজিরায় থাকা ক্যালসিয়াম ও অন্যান্য খনিজ উপাদান হাড় কে শক্তিশালী করে।
- লিভার পরিষ্কার রাখে, লিভারের কার্যকারিতা উন্নত করে এবং ক্রনিস্ট দূর করতে সাহায্য করে।
- কিডনি সুস্থ রাখে, কিডনি র সংক্রান্ত বিভিন্ন সমস্যা ও পাথর গঠনের ঝুঁকি কমায় ।
- রক্ত পরিষ্কার রাখে, কালোজিরা উপাদান শরীরের বিষাক্ত পদার্থ দূর করে রক্ত পরিষ্কার রাখতে সাহায্য করে।
- ঠান্ডা কাশি নিরাময়, ঠান্ডা কাশি ও সর্দি সমস্যা দূর করতে কার্যকারী।
- দৃষ্টিশক্তি উন্নত করে, কালোজিরায় থাকা ভিটামিন এ চোখের জন্য উপকারী এবং দৃষ্টিশক্তি ভালো রাখে।
- পাইলস ও কষ্ট কঠিন না নিরাময়, অন্ত্রের স্বাস্থ্য ভালো রাখে এবং কষ্টকাঠিন্য কমাতে সাহায্য করে।
- ত্বকের উজ্জ্বলতা বাড়ায়, কালোজিরা তেল ত্বকে ব্যবহার করলে এটি উজ্জ্বল ও স্বাস্থ্যকর করে তোলে।
- শক্তি ও কর্ম ক্ষমতা বাড়ায়, দৈনন্দিন কাজের জন্য শক্তি বাড়াতে সাহায্য করে।
- বাতির ব্যথার সমস্যা দূর করে, জয়েন্টে ও মাংসপেশিনে ব্যথা কমাতে কার্যকারী।
- দাঁতের সমস্যা দূর করে, দাঁত ও মাড়ির সংক্রমণ দূর করতে সাহায্য করে।
- এলার্জি প্রতিরোধ করে, শরীরের এলার্জি সংক্রান্ত সমস্যা কমিয়ে দেয়।
- নিয়মিত কালোজিরা খেলে শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা অনেক অংশই বৃদ্ধি পায়।
- কালোজিরায় রয়েছে থাইমোকুইনন, যা শরীরের লালভাব ব্যথা ও বিভিন্ন সংক্রমণ কমাতে সহায়ক ভূমিকা পালন করে।
- কালোজিরা থাকা উপাদান শরীরের অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট এর মাত্রা বৃদ্ধি করে এবং ক্ষতিকর ফ্রি রেডিকেল থেকে কোষকে রক্ষা করে।
- কালোজিরা মুখের ব্যাকটেরিয়া কমিয়ে দেয় এবং মুখের দুর্গন্ধ দূর করে।
- কালোজিরা খেলে ভালো ঘুম হয় এবং শরীরের বিভিন্ন সমস্যার সমাধানে ব্যাপক কার্যকরী ভূমিকা রাখে।
- কালোজিরা খেলে পাকস্থলীর এসিডেন মাত্রা নিয়ন্ত্রণে থাকে।
- উচ্চ রক্তচাপ কমাতে কালোজিরা বিশেষ ভূমিকা রাখে।
- কালোজিরায় থাকা উপাদান বদহজম দূর করতে সাহায্য করে।
- কালোজিরায় থাকা উপাদান চুলের গুড়া মজবুত করে এবং খুশকি দূর করতে সাহায্য করে।
গর্ভঅবস্থায় কালোজিরা খেলে কি হয়
গর্ভ অবস্থায় কালোজিরা খেলে কি হয় এ সম্পর্কে অনেকেই জানেন না। গর্ভ অবস্থায় একজন মাকে অনেক কিছু বাছাই করে চলতে হয়। তার মধ্যে খাবার বাছাই অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ একটি বিষয়। কারণ একজন গর্ভবতী মায়ের সুস্থতার ওপরে নির্ভর করে তার গর্ভে থাকা শিশুর সুস্থতা। কালোজিরা হলো ভেষজ ওষুধ এবং পুষ্টিগুণ সম্পন্ন উপাদান যা গর্ভ অবস্থায় খুবই ভালো উপকার দিয়ে থাকে।
গর্ভ অবস্থায় কালোজিরা খাওয়ার ১৫টি উপকারিতা
- গর্ভ অবস্থায় দুর্বলতা ও ক্লান্তি দূর করতে কালোজিরা বিশেষ ভূমিকা রাখে।
- রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধিতে গর্ব অবস্থায় কালোজিরা ব্যাপক ভূমিকা রয়েছে।
- অ্যানিমিয়া প্রতিরোধ করে, এটি থাকা আইরন লোহিত বাড়িয়ে রক্ত স্বল্পতা দূর করে।
- গর্ভকালীন অবস্থায় গর্ভবতী মায়ের হজম শক্তি উন্নত করে।
- গর্ভকালীন অবস্থায় বমি বমি ভাব কমাতে সাহায্য করে।
- গর্ভাবস্থায় কষ্ঠকাঠিন্য একটি সাধারণ সমস্যা, যা কালোজিরা খেলে উপকার পাওয়া যায়।
- রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে রাখতে কালোজিরা বিশেষ ভূমিকা পালন করে।
- হরমোন ভারসাম্য বজায় রাখতে কালোজিরাগর্ভ অবস্থায় ব্যাপক ভূমিকা পালন করে।
- গর্ব অবস্থায় ত্বক ও চুলের স্বাস্থ্য ভালো রাখতে সাহায্য করে।
- সুগার লেভেল কমাতে গর্ভবতী মা কে কালোজিরা সহযোগিতা করে।
- কালোজিরায় থাকা অমেগা ৩ ফ্যাটি অ্যাসিড শিশুর মস্তিষ্ক গঠনে উন্নতি করে।
- গর্ভ অবস্থায় কালোজিরা গর্ভবতী মায়ের ঠান্ডা কাশি সর্দি ইত্যাদি নিরদর্শন করে।
- সন্তানদের রেঞ্জ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়।
- কালোজিরা থাকা অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট এই শিশুর কোষের বিভিন্ন ক্ষতিরোধ করে এবং সঠিক বিদ্রোহী বজায় রাখে।
- হাওড়া মজবুত করতে একজন গর্ভবতী মাকে ভীষণভাবে সহযোগিতা করে ।
কালোজিরা খাওয়ার নিয়ম /কালোজিরা কিভাবে খাবেন
- হজমের সমস্যায় এক দুই চামচ কালোজিরা বেটে পানির সঙ্গে প্রতিদিন দুই-তিনবার খেলে এক মাসের মধ্যে হজম শক্তি বেড়ে যাবে পাশাপাশি আপনার যদি পেট ফাঁপা ভাব থাকে তাও দূর হয়ে যাবে।
- জোয়ার ব্যথা সর্দি কাশিতে এক চামচ কালোজিরা সঙ্গে তিন চা চামচ মধু ও২চা চামচ তুলসী পাতার রস মিশিয়ে প্রতিদিন একবার সেবন করুন। আপনি কালোজিরা বেটে কপালে প্রলেপ দিন তাহলে সর্দি বসে যাবে।
- মেয়েদের বুকের দুধের পরিমাণ বৃদ্ধি করতে প্রতিদিন রাতে সবার আগে পাঁচ থেকে দশ গ্রাম কালোজিরা মিহি করে গরুর দুধের সঙ্গে খেতে দিন, ইনশাল্লাহ ১০ থেকে ১৫ দিনের মধ্যে দুধের পরিমাণ বেড়ে যাবে।
- ডায়াবেটিস রোগীদের এক চিমটি পরিমাণ কালোজিরা এক গ্লাস পানির সঙ্গে প্রতিদিন সকালে খালি পেটে খেতে হবে তাহলে রক্তের গ্লুকোজের মাত্রা নিয়ন্ত্রণে থাকবে একসময় ডায়াবেটিস ধীরে ধীরে কমে যাবে।
- নিয়মিত কালো জরা ভাত ও তরকারি
- ইত্যাদির সাথে মিশে খান তাহলে রোগ সব থেকে মুক্তি পাবেন।
- গর্ভ অবস্থায় প্রতিদিন এক থেকে দুই গ্রাম কালোজিরা খাওয়া নিরাপদ, কালোজিরা ভালো উপকার পেতে এক চিমটি কালোজিরা গরম পানিতে দিয়ে খেতে পারেন।
- কালোজিরার পাউডার দুধ ও মধুর সঙ্গে মিশিয়ে খেলেও ভালো উপকার পাওয়া যায়।
- গর্ভ অবস্থায় খালি পেটে কালোজিরা খাবেন না।
- গর্ভ অবস্থায় প্রথম তিন মাস কালোজিরা না খাওয়া ভালো গর্ব অবস্থায় শেষের দিকেও কালোজিরা খাওয়া বন্ধ করে দিন।
- গর্ভ অবস্থায় কালোজিরা ও মধু খাওয়ার উপকারিতা
- গর্ব অবস্থায় কালোজিরা ও মধু ও কিভাবে আমাদের উপকার করে সে সম্পর্কে অনেকেই জানেন না। এই পোস্টটি মনোযোগ সহকারে পড়ুন তাহলে আপনি জানতে পারবেন কালোজিরা ও মধু দুটি উপাদান কিভাবে গর্ভাবস্থায় উপকৃত করে থাকে।
- কালোজিরা ও মধু একসঙ্গে খেলে গর্ভবতী মহিলার শরীরের রোগ মুক্ত থাকে এবং তাদের অভ্যন্তরীণ বিভিন্ন সমস্যা দূর হয়ে যায়।
- কালোজিরায় থাকে এন্টি ব্যাকটেরিয়া উপাদান যা বিভিন্ন সংক্রমণ প্রতিরোধের ভূমিকা রাখে।
- কালোজিরা ও মধু একসঙ্গে খেলে গর্ভ বতী মায়েদের জ্বর সর্দি কাশি হওয়া প্রতিরো হয়।
- কালোজিরা ও মধু মিশিয়ে প্রতিদিন সকালে খেলে হজম শক্তি বৃদ্ধি পায় এবং পেটের যাবতীয় সমস্যা দূর হয়।
- গর্ভবতী মায়ের মানসিক চাপ কমাতে কালোজিরা ও মধু ব্যাপক সহায়ক হয়ে থাকে।
- গর্ভবতী মায়ের শরীরের ক্লান্তি দূর করে প্রয়োজনীয় শক্তি প্রধান করে।
- গর্ভবতী মায়ের শরীরের দ্রুত পুষ্টি শোষণ করতে কালোজিরা ও মধুর ভূমিকা অপরিহার্য।
কালোজিরা খাওয়ার উপকারিতা সম্পর্কে হাদিসের বাণী
- বিশ্বনবী হযরত মুহাম্মাদ সাল্লাল্লাহু ওয়াসাল্লাম বলেছেন তোমরা কালোজিরা ব্যবহার করবে, কেননা এতে একমাত্র মৃত্যু ব্যতীত সর্ব রোগের মুক্তি এতে রয়েছে।
- হযরত আবু হুরাইর( রা:) হতে বর্ণিত, তুমি যদি সকালে এক চামচ কালোজিরা ও এক চামচ পানি মিশিয়ে খাও, তাহলে তুমি সেই দিন সারাদিন কোন রোগে আক্রান্ত হবে না।( ইবনে মাজহাব হাদিস নাম্বার ৩৪৭১)।
- হযরত আসমা (রা:) বর্ণনা করেন: নবী করিম (সা:) এরশাদ করেছেন যখন রোগ যন্ত্রণা খুব বেশি কষ্টদায়ক হয়, তখন এক চিমটি পরিমাণ কালোজিরা নিয়ে খাবে তারপর পানি ও মধু সেবন করবে। (মোজাম্মেল আউসাদ দরবাণী)।
- হযরত আবু হুরাইরা (রা:) থেকে বণীত-যে ব্যক্তি প্রতিদিন সকালে সাতটি কালোজিরা খাবে সে কোনদিন পাগল হবে না এবং কোনদিন কুষ্ঠ রোগে আক্রান্ত হবে না। (সহীহ বুখারী হাদিস নং ৫৬৮৭)।
- হযরত আবু বকর (রা) থেকে বর্ণিত-তোমরা তোমাদের নাকের ভিতর কালোজিরা তেল দাও এতে প্রতিটি রোগের নিরাময় আছি ব্যতীত বাড়তি ছাড়া। (ইবনে মাযহাব হাদিস নং ৩৪৭২)
- হযরত আবু দারদা (রা:) থেকে বর্ণিত রয়েছে-রোজ সকালে সাতটি করে কালোজিরা খাও এতে প্রতিটি রোগের নিরাময় আছে ব্যতীত বাড়তি ছাড়া। (তিরমিজি হাদিস নং ২৭৩৬)।
- খালিদ ইবনে ছাদ (রা:) থেকে বর্ণিত তিনি বলেন আমরা যুদ্ধের অভিযানে বের হলাম আমাদের সঙ্গে ছিলেন গালিব ইবনে আবদার তিনি পথে অসুস্থ হয়ে গেলেন এরপর আমরা মদিনায় ফিরলাম তখনও তিনি অসুস্থ ছিলেন তাকে দেখাশুনা করতে আসেন ইবনে আবি আতিক তিনি আমাদের বললেন তোমরা এই কালোজিরা সঙ্গে রেখো এর থেকে পাঁচটি কিংবা সাতটি দানা বিশ্বে ফেলবে তারপর তার মধ্যে যায়তুনের কয়েক ফোটা তেল দিয়ে নাকের এদিকে ওদিকে ছিদ্রে দিয়ে প্রবিস্ট করবে কেননা আইসা (র:) আমাদের নিকট বর্ণনা করেছেন যে তিনি নবী করীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে বলতে শুনেছেন এই কালোজিরা শাম ছাড়া সব রোগের ঔষধ আমি বললাম স্বামী কি তিনি বলেন মৃত্যু। (বুখারী হাদিস নং ৫৬৮৭)।
গর্ভ অবস্থায় কালোজিরা খাওয়ার ১৫ টি অপকারিতা
- রক্তচাপ অতিরিক্ত কমাতে পারে, উচ্চ রক্তচাপ পেয়ে কমানো ক্ষমতা থাকলেও বেশি খেলে স্বাভাবিক রক্তচাপ মানুষের জন্য ক্ষতিকর হতে পারে।
- রক্ত পাতলা করে, কালোজিরা দিয়ে থাকা উপাদান রক্ত তরল করে দেয় যা অপারেশনে বা আঘাত জনিত রক্ত ক্ষরণের ক্ষেত্রে বিপদজনক হতে পারে।
- জরায়ু সংকোচন ঘটাতে পারে, গর্ভবতী নারীদের কালোজিরা জরায়ু সংকোচন ঘটতে পারে যা গর্ভপাতের সম্ভাবনা বাড়ায়।
- পেটের সমস্যা সৃষ্টি করতে পারে, গর্ভবতী মায়ের অতিরিক্ত কালোজিরা সেবন করলে এসিডিটি গ্যাস্ট্রিক বমি বমি ভাব ও পেটে ব্যথা হতে পারে।
- হর মনের ভারসাম্য নষ্ট হতে পারে, গর্ভবতী অবস্থায় অতিরিক্ত কালোজিরা খেলে গর্ভবতী মায়ের হরমোনের ভারসাম্য ঠিক থাকে না হর মনের স্বাভাবিক কার্যক্রম ব্যাহত হতে পারে।
- এলার্জি সৃষ্টি হতে পারে, অনেক গর্ভবতী মায়ের কালোজিরা প্রতি সংবেদনশীল হতে পারে যার ফলে চুলকানি রেশ বা শ্বাসকষ্ট হতে পারে।
- কিডনির জন্য ক্ষতিকর হতে পারে, অতিরিক্ত কালোজিরা গ্রহণ করলে কিডনির কার্যকরী তা কমে যেতে পারে বিশেষত যারা কিডনি রোগে ভুগছে।
- , লিভারের উপর চাপ সৃষ্টি করতে পারে
- যারা বেশি কালোজিরা খায় লিভারের কার্যকারিতা বাদ অবস্থিত হতে পারে বিশেষ করে দীর্ঘমেয়াদী অতিরিক্ত সেবনে।
- অতিরিক্ত কমাতে পারে,
- এটি গর্ভবতী মায়ের রক্তের শতকরা মাত্রা কমিয়ে দেয় ডায়াবেটিস রোগদের জন্য অতিরিক্ত খাওয়া বিপদজনক হতে পারে।
- অস্ত্র পাচারের আগে না খাওয়াই ভালো, অনেক গর্ভবতী মায়ের বাচ্চা পশু বইয়ের আগে অস্ত্র পদার করতে হতে পারে তাদের জন্য এটি মারাত্মক ভূমিকা রাখে বাজারের আগে এটি রক্ত জমাট বাধার প্রক্রিয়াকে বাধাগ্রস্ত করতে পারে যা অতিরিক্ত রক্তক্ষরণ ঘটাতে পারে।
- প্রতিক্রিয়া হতে পারে, যেসব গর্ভবতী মায়েরা বিভিন্ন রোগে ভোগেন যেমন রক্তচাপ ডায়াবেটিস বা রক্ত পাতলা করার ওষুধ খান তাদের জন্য এটি পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া তৈরি করতে পারে।
- শরীরের পানি শুকিয়ে যেতে পারে, গর্ভস্থ অবস্থায় কালোজিরা বেশি খেলে মুখ শুকিয়ে যেতে পারে এবং তৃষ্ণা বেড়ে যেতে পারে।
- রক্তচাপ কমে যেতে পারে, অতিরিক্ত কালোজিরা খেলে রক্তচাপ অনেক অংশ হয় কম হতে পারে যার ফলে গর্ভবতী মায়ের রক্তচাপের ঝুঁকি বাড়িয়ে দিতে পারে।
কালোজিরা চিবিয়ে খাওয়ার উপকারিতা
- হজম শক্তি বৃদ্ধিতে সাহায্য করে
- কোলেস্টেরল কমাতে সাহায্য করে
- ডাইবেটিস নিয়ন্ত্রণ করে
- স্মৃতিশক্তি বৃদ্ধি করে
- গ্যাস্ট্রিকের সমস্যা কমায়
- কিডনির সমস্যা দূর করে
- ত্বকের উজ্জ্বলতা বৃদ্ধি করে
- জনশক্তি বৃদ্ধিতে সাহায্য করে
- জন্ডিস বা লিভারের সমস্যা দূর করে
- পিরিয়ডের সমস্যা থেকে মুক্তি দেয়
-
দাঁত মজবুত করতে সাহায্য করে
কালোজিরা ও রসুন একসঙ্গে খেলে কি হয়
- রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করেঃ শরীরের স্বাভাবিক রোগ প্রতিরোধ ব্যবস্থাকে শক্তিশালী করে, যার ফলে শরীরে বিভিন্ন ধরনের রোগে বাসা বানতে পারে না।
- হৃদরোগের ঝুঁকি কমায়ঃ করেস্ট্রল নিয়ন্ত্রণ করে এবং রক্তচাপ স্বাভাবিক রাখে এর ফলে হৃদরোগের ঝুঁকি কম হয়।
- ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণের সাহায্য করেঃ রক্তের গ্লুকোজের মাত্রা নিয়ন্ত্রণ করে যার ফলে ডায়াবেটিস হওয়ার সম্ভাবনা কম হয়।
- সর্দি-কাশি সংক্রান্ত প্রতিরোধে কার্যকরঃ কালোজিরা ও রসুন এ রয়েছে ব্যাকটেরিয়া ও ভাইরাস দমনের সহায়ক যার ফলে সর্দি কাশি সংক্রান্ত বিশেষ কার্যকর।
- হজম শক্তি বাড়ায়ঃ, কালোজিরা ও রসুন একসঙ্গে খুবই কার্যকারী।
- ক্যান্সার প্রতিরোধের সহায়কঃ, কালোজিরা ও রসুনী অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট সমৃদ্ধ যা ক্যান্সার কোষের বৃদ্ধি রোধ করে। যার ফলে ক্যান্সার প্রতিরোধ করা সহজ হয়।
- জনশক্তি বৃদ্ধি করেঃ প্রাকৃতিকভাবেই কালোজিরা ও রসুন জনসাস্থ্যের উন্নতি ঘটাতে পারে যা অন্য কোন বিষধর ফল এমন কার্যকর ফল দিতে পারেনা।
- ওজন কমাতে সাহায্য করেঃ ক্ষেত বার্নিং প্রক্রিয়া ত্বরান্বিত করে যার ফলে ওজন কমাতে সাহায্য কর।
- হার ও জয়েন্টের স্বাস্থ্য ভালো রাখেঃ ভাতের ব্যথা উপশমে কালোজিরা ও রসুন বিশেষ ভূমিকা রাখে।
টানা ৭দিন কালোজিরা খেলে কি হয়
গর্ভাবস্থায় কালোজিরা ও মধু খাওয়ার উপকারিতা
উপসংহার/কালোজিরা খাবার অসাধারণ উপকারিতা
www.alltipsatoz.comনীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url