চিরতার আশ্চর্য ২০টি উপকারিতা ও অপকারিতা সম্পর্কে বিস্তারিত জানা
চিরতা একটি প্রাচীন দেশ ও উদ্ভিদ, যা বিভিন্ন রোগ নিরাময়ে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। চিরতা প্রধানত রক্ত পরিশোধন, হজম শক্তি বৃদ্ধি ,ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণ লিভার সুরক্ষা রাখা এবং জ্বর ও সংক্রমণ প্রতিরোধে কার্যকর।
এতে থাকা এন্টিঅক্সিডেন্ট সাপোনিম ও এলক্যালিয়ন শরীরের শক্তিশালী ও রোগ মুক্ত রাখতে সাহায্য করে বিভিন্নভাবে ব্যবহার হয় এটা পানিতে ভিজিয়ে বা গুঁড়ো করে খাওয়া যায় এবং বাহিকভাবে ব্যবহার করা যায়।
পেজ সূচিপত্রঃ চিরতার আশ্চর্য উপকারিতা
খালি পেটে চিরতা খাওয়ার উপকারিতা
চিরতা খাওয়ার নিয়ম/চির তা কিভাবে খেতে হয়
গর্ভাবস্থায় চিরতা খেলে কি হয়
চিরতার বিভিন্ন অংশের ব্যবহার কোন সমস্যা দূর করতে কিভাবে খাবেন
উপসংহার /চিরতা আশ্চর্য উপকারিতা
চিরতার আশ্চর্য উপকারিতা
চিরতার আশ্চর্য উপকারিতা সম্পর্কে বলতে গেলে প্রথমেই বলতে হয় এটি একটি অসাধারণ ভেষজ উদ্ভিদ, এবং এটি তেতো সাধের জন্য বেশি পরিচিত। চিরতা আমাদের শরীরের জন্য ব্যাপক উপকারী। নিয়মিত চিরতা সেবন করলে শরীরের প্রত্যেকটি অঙ্গে পতঙ্গে উপকার পাওয়া যায়। চিরতার বৃষ্টি আশ্চর্য উপকারিতা সম্পর্কে নিম্নে বিস্তারিত জেনে নিন।
চিরতার ২০ টি উপকারিতা
- বাত ও বাতজনিত ব্যথা কমায় চিরতার শুকনোকাণ্ড ও শিকড়ে রয়েছে সাপনিন এল গাইড যার ফলে হুবহু ব্যথা কমায়।
- ক্লান্তি ও দুর্বলতা কমায় চিরতার কাণ্ড ও পাতার মধ্যে রয়েছে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট ও মিনারেল যার শরীরের শক্তি বাড়ায় ও রক্ত সঞ্চালন ভালো করে।
- রক্ত পরিশোধন করে চিরতার কান্ড মধ্যে বিটার কম্পাউন্ড ও এন্টি ব্যাকটেরিয়া উপাদান থাকে যা শরীরের টনিষ্ট দূর করতে সাহায্য করে এবং রক্ত পরিশোধিত করে।
- ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে চিরতার কান্ড ও শিকড়ের রসের মধ্যে রয়েছে ছেপনিন ও এন্টিড ডাইবেটিকস উপাদান যার ফলে রক্তের শতকরা নিয়ন্ত্রণ হয়।
- চুল পড়া কমায় চিরতার পাতার রস ও কান্ডরস এর মধ্যে রয়েছে এন্টি ফাঙ্গাস ও মিনারেল যা চুলের গোড়া মজবুত করতে সাহায্য করে এমনকি চুল পড়া কমায়।
- ত্বকের উজ্জ্বলতা বৃদ্ধি করে এতে ক এন টি ব্যাক্টেরিয়া ও এন্টিফাঙ্গাস উপাদান থাকায় ত্বকের উজ্জ্বলতা বৃদ্ধি করে ব্রণ ও চর্মরোগ দূর হয়।
- জয় সর্দি কাশির সংক্রান্ত কমাতে সহায়ক চিরতায় এন টি মাইক্রোবিয়ান উপাদান রয়েছে যার ফলে শরীরে তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণ করে।
- রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে রাখে চিরতা শরীর থেকে অতিরিক্ত বের করে রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে রাখে।
- এসিডিটি ও গ্যাসটি কমান্ড চিরতার মধ্যে রয়েছে ক্ষারধর্মী প্রবাহ পাকস্থলীর অতিরিক্ত এসিডিটি দূর করে গ্যাস্ট্রিক কমাতে সাহায্য করে।
- ক্ষুধা বাড়ায় চিরতা পাকস্থলীর পথচল রসের ক্ষরণ বাড়িয়ে খুদা বৃদ্ধি করতে। সহায়ক
- ইমিউন সিস্টেম শক্তিশালী করে এতে থাকা অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট ও জীবাণুন আসুক উপাদান রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা শক্তিশালী হয়ে ওঠে।
- অক্সিডেন্ট সমৃদ্ধি অ্যাক্সিডেন্ট স্টপ থেকে রক্ষা করে এবং বার্ধক্য প্রতিরোধ করে।
- কোলেস্টেরল কমাতে সাহায্য করে চিরতা খারাপ করেস্টল LDL কমিয়ে ভালো কোলেস্টেরলHDL বাড়ায়।
- ঠান্ডা ও কাশির উপশম করে চিরতার মধ্যে এন্টিব্যাকটরিয়ার গুণ থাকায় শ্বাসনালী পরিষ্কার রাখে এবং সর্দির কাশি ঠান্ডা লাগা কমায়।
- চোখের সমস্যা দূর করতে সাহায্য করে চির তাতে থাকা বেটা কেরনিট দৃষ্টিশক্তি ভালো রাখতে এবং চোখে ক্লান্তি কমাতে সাহায্য করে।
- লিভার সুস্থ রাখে চিরতা লিভারের এনজাইম ওকে উদ্দীপন করে এবং দূর করতে সাহায্য করে।
-
কৃমি দূর করে চিরতা স্বাদ দিতে হয় কৃমির জন্য প্রতিকূল পরিবেশ তৈরি করে এবং
কৃমি দূর করতে সাহায্য করে।
-
আর্থাইটিস ও গাটের ব্যথা কমায় এতে এন্টি ইনফ্লামেটরি উপাদান রয়েছে যা গাটে
ব্যথা কমাতে সাহায্য করে।
-
হজম শক্তি বাড়াতে সাহায্য করে এতে থাকা তিক্ত উপাদান পাচনতন্ত্রের
অ্যাংজাইম সক্রিয় করে হলে হজম ক্ষমতা বৃদ্ধি পায়।
- চিরতার রস হৃদ যন্ত্র কে সুস্থ রাখে এবং রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে।
চিরতা কি কিডনির ক্ষতি করে
- কোন ব্যক্তি যদি তীব্র জ্বরে থাকেন তাহলে সেই জ্বর সরাতেও চিরতার জল খেতে পারে। সকালে খালি পেটে চিরতা খেলে যদি কোন ব্যক্তির এলার্জি সমস্যা থাকে তাহলে সে সমস্যা কিছুদিনের মধ্যেই দূর হয়ে যাবে।
- সকালে খালি পেটে চিরতা খেলে লিভারের বিভিন্ন রকম সমস্যার সমাধান হয়।
- সকালে খালি পেটে চিরতা খাওয়ার ফলে ত্বকের উজ্জ্বলতা বৃদ্ধি পায় এবং বার্ধক্য অনেকটাই কমে যায়।
- সকালে খালি পেটে চিরতা পানি পান করলে ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণ করতে নিঃসন্দেহে ব্যবহার করা যায়।
- চুল পড়া সমস্যার সমাধান করার জন্য সকালে খালি পেটে চিরতার জল খেতে পারেন। অনেক বেশি উপকার পাবেন।
- সকালে খালি পেটে চিরতা খেলে কষ্ট কাঠিন্য অথবা পেটের যেকোনো সমস্যা সমাধান হয়।
-
আরো পড়ুন:
দুবাই থেকে ইতালি যেতে কত টাকা লাগে
- সকালে খালি পেটে চিরতা খেলে আপনার বমি ভাব বা অরুচি সমস্যা যদি দেখা দেয় সে ক্ষেত্রে চিরতার রস আপনার জন্য কার্যকরী ও মহা ঔষধ।
- রক্তে গ্লুকোজের মাত্রা নিয়ন্ত্রণ রাখতে খালি পেটে চিরতার রস খাবার বিকল্প নেই।
- খালি পেটে চিরতার রস খেলে পেটে ক্ষতিকারক পরজীবী গুলো ধ্বংস হয়ে যায় এবং অন্তর পরিষ্কার থাকে।
- খালি পেটে যেও তার রস খেলে লিভার থেকে বিষাক্ত পদার্থ দূর হয়।
চিরতা খাওয়ার নিয়ম/চিরতা কিভাবে খেতে হয়
চিরতা ভিজানো পানি খেলে কি হয়
- চিরতা ভেজানো পানি নিয়মিত পান করলে ক্যালসিয়াম ও ম্যাগনেসিয়াম শোষণ ক্ষমতা বৃদ্ধি পায়, যা আমাদের হাড়কে মজবুত করে এবং হাড়ের ঘনত্ব বাড়িয়ে দেয়।
- চিরতরে জন্য পানিতে রয়েছে প্রাকৃতিক আয়রন উপাদান যা আমাদের রক্তে হিমোগ্লোবিনের মাত্রা বাড়িয়ে দেয়। ছেলেদের তুলনায় বিশেষ করে নারীদের ক্ষেত্রে এটি ব্যাপক উপকারী হয়ে থাকে।
-
লিভারের কার্যকারিতা বৃদ্ধি করে লিভার করতে সাহায্য করে।
-
রক্ত পরিশোধিত করে শরীর থেকে টনিস্ট বের করে যা ত্বকের জন্য উপকারী।
-
ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণ করে রক্তের শর্করা পরিমাণ কমাতে সাহায্য করে
থাকে।
-
হজম শক্তি বাড়ায় এবং পেটের গ্যাস দূর করে।
-
যাদের খুদা মন্দা আছে তাদের জন্য কার্যকর।
-
শরীরের দূষিত পদার্থ বের করে শরীরকে মুক্ত করতে সাহায্য করে।
-
ত্বকের উজ্জ্বলতা বৃদ্ধি করে এবং অন্যান্য চর্মরোগ কমায়।
-
ও হাড়ের ব্যথা কমায়।
-
কৃমি দূর করে এবং শরীরের মধ্যে থাকা ক্ষতিকারক পরজীবী ধ্বংস করে।
-
কলেজটোল কমাতে সাহায্য করে যা হৃদপিণ্ডের জন্য খুবই উপকারী
-
ওজন কমাতে সাহায্য করে হার বাড়িয়ে চর্বি পোড়ানোর সহায়তা করে।
চিরতা কতদিন খাওয়া নিরাপদ
- চিরতা একটি ভেসে শুধু উদ্ভিদ এটি আমাদের বিভিন্নভাবে উপকার করে থাকে এটি সাধারণত স্বাস্থ্যের জন্য নিরাপদ। তবে কিছু ক্ষেত্রে এটি ক্ষতিকর হতে পারে।
- সাধারণত চিরতা অল্প পরিমাণে খাওয়ায় নিরাপদ দৈনন্দিন দুই থেকে তিন গ্রাম করে চিরতা হওয়া উচিত এর বেশি খাওয়া যাবে না।
-
সময়কাল সাধারণতঃ দুই সপ্তাহের বেশি একটানা চিরতা খাওয়া উচিত নয়।
প্রয়োজন হলে কিছুদিন বিশ্রাম নিয়ে আবার খাওয়া শুরু করতে পারেন।
-
পার্শ্ব প্রতিক্রিয়ায়ঃবেশি পরিমাণে চিরতা খেলে বমি ডায়রিয়া পেট
ব্যথা মাথা ঘোরা এবং ত্বকের এলার্জি হতে পারে।
-
সতর্কতাঃগর্ভবতী মহিলা স্তন্যদানকারী মহিলা এবং শিশুদের চিরতা খাওয়া
উচিত নয়। এছাড়াও লিভারের রোগ কিডনি রোগ এবং হৃদরোগে আক্রান্ত
ব্যক্তিদের চিরতা খাওয়া উচিত নয় ।
-
অন্যান্য ওষুধের সাথে পার্শ্ব প্রতিক্রিয়াঃচিরতা কিছু ওষুধের সাথে
প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি করতে পারে আপনি যদি অন্য কোন ওষুধ সেবন করেন তাহলে
চিরতা খাওয়ার আগে আপনার ডাক্তারের সাথে পরামর্শ করে নেওয়া ভালো। আপনি
যদি চিরতা খাওয়ার পর কোন পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া অনুভূত করেন, অবিলম্বে
আপনার ডাক্তারের সাথে যোগাযোগ করুন
গর্ভ অবস্থায় চিরতা খেলে কি হয়
গর্ভ অবস্থায় শরীরে হরমোনের জন্য ব্যালেন্স পরিবর্তন হতে থাকে। গর্ভাবস্থায় চিরতা খেলে শরীরের অতিরিক্ত উত্তেজনা বা অস্থিরতা রোধ করে। গর্ভাবস্থায় হজমের সমস্যা এটি একটি সাধারণ বিষয়। এত গর্ব অবস্থায় হজমের সমস্যা দূর করতে সক্ষম নয় বরং এটি আরো সৃষ্টি করতে পারে। গর্ভাবস্থায় চিরতা ব্যবহার না করায় ভালো।
চিরতার খাওয়ার অপকারিতা
- অতিরিক্ত চিরতা ব্যবহার করলে পেটে অস্বস্তি, গ্যাস্ট্রিক এসিডিটি বা পেট ব্যথা সৃষ্টি হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। অতিরিক্ত চিরতা ব্যবহার করলে গর্ভবতী ঝুঁকি রয়েছে, এটি গর্ভের পেশির সংকোচন ঘটতে পারে।
- অতিরিক্ত চিরতার ব্যবহার করলে রক্তচাপের ভারসাম্য নষ্ট হতে পারে।
- গর্ব অবস্থায় ও যাদের হরমোনের সমস্যা রয়েছে তাদের ক্ষেত্রে চির তার বেশি ব্যবহারে হরমোনের ভারসাম্য নষ্ট হতে পারে।
- দীর্ঘদিন চিরতার সেবন করলে লিভার ও কিডনি ক্ষুধিত হতে পারে। অবশ্যই নিয়ম মেনে চিরোতা ব্যবহার করতে হবে।
- চিরতা হজের প্রক্রিয়া উন্নত করে কিন্তু অতিরিক্ত ব্যবহারে হজমের সমস্যা দেখা দিতে পারে।
- যাদের পেটের সমস্যা রয়েছে তাদের চিরতা ব্যবহার করার আগে চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে পারলে ভালো। চিরতা ওজন বাড়িয়ে দিতে পারে যার ফলে ডিহাইড্রেশন এবং এর সম্ভাবনা থেকে যায়।
- চিরতা বেশি ব্যবহারে মাথা ঘোরা বা অসস্তি তৈরি হতে পারে।
- চিরতা অতিরিক্ত সেবন করলে বেশি সংকোচন হতে পারে।
- যাদের শরীরে এলার্জি রয়েছে তাদের সংবেদশীল হয়েছে জাতির তাদের বুঝেশুনে চিরতা ব্যবহার করা উচিত।
-
গর্ভবতী ও স্তন্যদানকারী মায়েদের জন্য এটি নিরাপদ নয় ,কারণ এতে কিছু
রাসূলের যৌন থাকতে পারে যার গর্ভের শিশুর ক্ষতি করতে পারে।
-
অতিরিক্ত চিরতা খেলে রক্তচাপ রমনা কমে যেতে পারে এবং দুর্বলতা আসতে
পারে।
চিরতার বিভিন্ন অংশের ব্যবহার কোন সমস্যা দূর করতে কিভাবে খাবেন
- চিরতার কান্ড ও পাতা ক্লান্তি ও দুর্বলতা কমাতে চিরতা ভেজানো পানি পান করুন বা গুড়া চিরতা আধা চামচ এক গ্লাস কুসুম গরম পানিতে মিশিয়ে খান।
- চিরতার কান্ড রক্ত পরিশোধন করতে চিরতা শুকানো কান্ড পানিতে ভিজিয়ে রেখে সে পানি পান করুন।
- চিরতার কান্ড ও শিকড় ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণ করার জন্য এক থেকে দুই চামচ চিরতার গোড়া পানির সঙ্গে মিশিয়ে সকালে খালি পেটে খেতে হবে।
- চিরতার পাতা ও কান্ড ৩০ মিনিট।
- চিরতার কান্ড এসিডিটি ও গ্যাস্ট্রিক কমানোর জন্য একগ্লাস পানিতে চিরতা ভিজিয়ে রেখে সকালে সেই পানি পান করুন।
- চিরতার কান্ড ও পাতা ইউমোনিয়াম সিস্টেম শক্তিশালী করার জন্য চিরতার গোড়া এক চামচ এক গ্লাস কুসুম গরম পানিতে মিশিয়ে সকালে পান করুন।
- চিরতার শিকড় ও কান্ড ঠান্ডা ও কাশি সর্দি দূর করার জন্য চিরতার শিকড় ফুটিয়ে সেই পানি গরম চায়ের মত পান করুন।
- চিরতার কান্ড খোদা বৃদ্ধি করার জন্য চিরতার পানি প্রতিদিন সকালে খেতে হবে।
- চিরতার পাতা চোখের সমস্যা দূর করতে অথবা চিরতা ভেজানো পানি তুলায় দিয়ে চোখের চারপাশে লাগিয়ে রাখুন সরাসরি চোখে লাগাবেন না তাহলেও আপনি উপকার পাবেন।
www.alltipsatoz.comনীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url