নরমাল ডেলিভারির জন্য করনীয় ৬ টি কার্যকারী টিপস সম্পর্কে জানুন
বর্তমান সময়ে নরমালে বাচ্চা হওয়া কে না চায়। প্রতিটি গর্ভবতী মায়ের মনে একটাই
ইচ্ছা থাকে যে তাদের বাচ্চা যেন নরমাল ডেলিভারিতে হয়। কিন্তু বর্তমান সময়ে
শতকরা ১০% মহিলাদের নরমালে বাচ্চা হয়। বাকি ৯০% মহিলাদের বাচ্চা সিজার করতে
হয়।
তবে আপনি যদি কিছু টিপস ফলো করেন তাহলে আপনার নরমাল ডেলিভারি হওয়ার সম্ভাবনা 90% হতে পারে। তাহলে চলুন জেনে নেওয়া যাক নরমাল ডেলিভারির জন্য আপনাকে কোন কোন কাজ করা উচিত এবং কোন কোন কাজ থেকে বিরত থাকা উচিত সে সম্পর্কে।
সূচিপত্রঃ নরমাল ডেলিভারি জন্য ৬টি কার্যকারী টিপস
- নরমাল ডেলিভারির জন্য ছয়টি কার্যকারী টিপস
- নরমাল ডেলিভারির জন্য কোন কোন খাবার খাবেন
- নরমাল ডেলিভারির জন্য হোমিও ঔষধ কত টা কার্যকর করে
- গর্ব অবস্থায় কোন খাবার খেলে জরায়ু মুখ খুলতে সহায়ক হতে পারে
- গর্ভ অবস্থায় কি সহবাস করা যাবে কিনা
- গর্ভ অবস্থায় ফলিত এসিড কখন খাওয়া ভালো
- গর্ভ অবস্থায় কোন কোন খাবার এড়িয়ে চলা উচিত
- গর্ভ অবস্থায় প্রাথমিক লক্ষণ গুলো কি কি
- গর্ভ অবস্থায় কোন কোন সবজি খাওয়া উচিত
- উপসংহার/নরমাল ডেলিভারির জন্য কার্যকারী ছয়টি টিপস
নরমাল ডেলিভারির জন্য ৬টি কার্যকারী টিপস
একজন মেয়ে যখন একটু গর্ভধারণ করে ঠিক তখন থেকেই সে চিন্তা ভাবনা করে যে কি কাজ করলে সে নিজে সুস্থ থাকবে এবং তার বাচ্চা সুস্থ থাকবে। এবং কি কি করলে তার নরমাল ডেলিভারি হবে ইত্যাদি সম্পর্কে জানতে চাই। এমন প্রধানত ছয়টি কাজ আছে যেগুলো করলে নরমাল ডেলিভারি হওয়ার সম্ভাবনা অনেকটা থাকে। তাহলে চলুন আলোচনা করা যাক নরমাল ডেলিভারির জন্য ৬টি করণীয় সম্পর্কে।
প্রথমত ধৈর্য ধারণ করা-একটি মেয়ের ৪০ সপ্তাহ বা তার চেয়ে বেশি সময় লাগে নরমাল ডেলিভারি করার জন্য। আপনি যদি আল্ট্রেশন করে থাকেন এবং দেখেন যে আপনার বাচ্চার সব পজিশন ঠিক আছে নরমাল ডেলিভারি হওয়ার জন্য। তাহলে অবশ্যই আপনাকে ধৈর্য ধরে এ সময়টুকু পার করতে হবে।
দ্বিতীয়তঃ গর্ভবতী মায়ের আদর্শ ওজন ঠিক রাখা -গর্ভবতী মাকে আদর্শ ওজন বজায় রাখতে হবে। খুব বেশি ওজন হওয়াও যাবে না আবার খুব কম ওজনও হওয়া যাবে না। কারণ খুব কম বা বেশি ওজনের মা কিন্তু স্বাস্থ্য ঝুঁকিতে পড়তে পারে গর্ভবতী অবস্থায়। সেজন্য আপনার যদি অতিরিক্ত ওজন হয় তাহলে অতিরিক্ত ওজন পরিহার করার জন্য ক্যালরি যেসব খাবারগুলোতে আছে এবং তেল জাতীয় খাবার এগুলো পরিহার করতে হবে। আর বেশি বেশি কোলড্রিঙ্ক ও চা কফি খাওয়া অভ্যাস যদি থেকে থাকে তাহলে তা পরিহার করতে হবে। আবার যে মা গুলোর ওজন কম তাদের ওজন বাড়ানোর জন্য পুষ্টিকর খাবার শুরু থেকেই খেতে হবে। আর গর্ব অবস্থায় বেশি বেশি পানি পান করতে হবে।
তৃতীয়তঃ গর্ব অবস্থায় মায়ের ব্যায়াম করা-গর্ভ অবস্থায় প্রথম তিন মাস পর থেকেই ব্যায়াম শুরু করতে হবে। আর এই ব্যায়ামগুলোর প্রেগনেন্সি লাস্ট পর্যন্ত চালিয়ে যেতে হবে। আগেকার দিনের মহিলারা অর্থাৎ আমাদের কাছে শুনেছি যে তাদের সময় গর্ভ অবস্থায় গর্ভবতী মায়েরা অনেক কঠোর পরিশ্রম ও শারীরিক পরিশ্রম করতেন। কিন্তু আমাদের এই আধুনিক যুগে দেখা যায়, গর্ভবতী হওয়ার লক্ষণ দেখা মাত্রই সমস্ত কাজ কাম বাদ দিয়ে বেড রেস্টে চলে যায়। এই অভ্যাসটা এখন প্রায় ৯০% আছে। আর যদি আপনাদেরও এ অভ্যাস থেকে থাকে তাহলে নরমালে ডেলিভারি হওয়াটা খুবই কষ্টসাধ্য হয়ে যাবে। তাই প্রেগনেন্সি শুরু থেকেই আপনাকে ব্যায়াম এর অভ্যাস করতে হবে। স্বাভাবিক হাঁটাচলা এরা করতে হবে। প্রতিদিন আপনি যদি ৪০ মিনিট হাঁটেন এবং কিছু ব্যায়াম করেন তাহলে আপনার জন্য খুবই ভালো। যে গানগুলো করলে আপনার বেশি উপকার হবে যেমন উঠাবসা করা দুই নিচে বসে দুই হাত দিয়ে দুই পা ধরে দুই পায়ের হাঁটু লড়ানো এই ব্যায়ামগুলো আপনাকে করতে হবে তাহলে নরমাল ডেলিভারির জন্য প্রস্তুত করে তুলবে। এবং পেগনেন্সিতে লো কমোড ব্যবহার করা এক ধরনের ব্যায়াম এই অভ্যাস টিও আপনারও করতে পারেন।
চতুর্থ গর্ভবতী মায়েরAntenatat Check up করতে হবে -প্রথম তিন মাস চলে গেলেই আপনাকে একটি চেকআপ করে নিতে হবে। একজন ভালো ডাক্তারের কাছে গিয়ে গর্ভবতী মায়ের শরীরের রক্ত কেমন আছে তার শরীরের ডায়াবেটিস আছে কিনা তার থাইরেন্ট আছে কিনা ইউরিন বা প্রসবের জ্বালাপোড়া আছে কিনা এবং তার ব্লাড প্রেসার কেমন এই সমস্ত চেকআপ করে নিতে হবে। এ সমস্ত চেকআপ গুলো করার মাধ্যমেই প্রেগনেন্সি মহিলা বুঝতে পারবেন যে তাহার নরমাল ডেলিভারির জন্য কতটুকু শীত আছে। প্রত্যেক গর্ভবতী মায়ের উচিত উক্ত দেশগুলো করানো কারণ আপনার যদি হিমোগ্লোবিন কম থাকে তাহলে ডাক্তার আপনাকে ওষুধ দিবে তা খেয়ে হিমোগ্লোবিন বাড়বে। তারপর আপনার যদি ডায়াবেটিস থাকে বা ইউরিন ব্লাড প্রেসার থাকে তাহলে সে অনুযায়ী চিকিৎসা দিবে। সেজন্য একজন গর্ভবতী মহিলার বক্তব্য পরীক্ষা গুলো করে খুব তাড়াতাড়ি ডাক্তার দেখানো খুবই গুরুত্বপূর্ণ।
আরো পড়ুনঃ চিরতার আশ্চর্য ২০টি উপকারিতা ও অপকারিতা সম্পর্কে
পঞ্চম নরমাল ডেলিভারি লক্ষণ গুলো জানা এবং এর জন্য পূর্ব প্রস্তুতি নেওয়া-যখন নরমাল ডেলিভারির ব্যথাটা হয়। তখন পেটটা কামড়ে কামড়ে ব্যথা করে কারো কারো ক্ষেত্রে পানি ভাঙ্গে আবার কারো ক্ষেত্রে পানি ভাঙ্গে না। রক্ত মিশ্রিত এক ধরনের সাদা চাপ বের হয়। এ লক্ষণ গুলোই হল নরমাল ডেলিভারির লক্ষণ। যখন আপনার এই লক্ষণ গুলো দেখা যাবে তখনই আপনাকে সিদ্ধান্ত নিতে হবে এমন বিষয় নয়। আপনাকে আগে থেকেই ডাক্তার এবং হাসপাতালের ফোন নাম্বার নিয়ে রাখতে হবে। আপনাকে ট্রান্সপোর্ট এর ব্যবস্থা ভালো রাখতে হবে কারণ ডেলিভারির ব্যথা কখনো বলে আসে না। যেকোনো সময় পড়তে পারে সেজন্য আপনাকে সর্বক্ষণ প্রস্তুত থাকতে হবে।
ষষ্ঠ দুশ্চিন্তা না করা আল্লাহর উপর ভরসা রাখা-সব সময় গর্ভবতী মাকে দুশ্চিন্তা মুক্ত থাকতে হবে। কোন অবস্থায় চিন্তা করা যাবে না কারণ দুশ্চিন্তা করলে ব্লাড প্রেসার বেড়ে যেতে পারে। যেটা নরমাল ডেলিভারির অন্তরায়। অনেক সময় দেখা যায় মায়ের লিভার পিন শুরু হয়েছে কিন্তু জরায়ুর মুখ এক আঙ্গুলের মত খুলেছি আর বাকিটা খুলছে না সে ক্ষেত্রে ডাক্তার যদি সিদ্ধান্ত নেয় সিজার করার জন্য তাহলে সে ক্ষেত্রে নিজেকে তৈরি থাকতে হবে। আরেকটি কথা বিশেষ করে যেসব মহিলাদের সিজার করে বাচ্চা হয়েছে তাদের কাছ থেকে দূরে থাকার চেষ্টা করতে হবে।
কারণ তারা সব সময় এটাই বলতে থাকে যে নরমালে বাচ্চা হওয়া অসম্ভব সিজার করাটা অনেক আরামদায়ক ভালো তার মানে বাচ্চা হওয়া অনেক কষ্টকর ইত্যাদি। আপনি এই কথাগুলো শুনতে শুনতে অভ্যস্ত হয়ে থাকেন আর যখন আপনার নরমাল ডেলিভারির বিষ ব্যথা হয় তখন আপনি সহ্য করতে না পেরে বলে ওঠেন আমার সিজার করা হোক। কারণ আপনি আগে থেকে শুনে এসেছেন নরমালের বিপরীতে সিজার করা যায় সেজন্য তাদের থেকে দূরে থাকায় ভালো।
নরমাল ডেলিভারির জন্য কোন কোন খাবার খাবেন
নরমাল ডেলিভারির জন্য যে খাবারগুলো খাবেন তাকে দুইটি ভাগে ভাগ করা হয়েছে একটি হচ্ছে নয় মাসের আগে। আরেকটি হচ্ছে নয় মাস হওয়ার পরে। তাহলে চলুন জেনে নেওয়া যাক নরমাল ডেলিভারির জন্য কি খাবেন।
প্রথম তিন মাস আপনাকে হোলিএসিড সমৃদ্ধ খাবার খেতে হবে ।যেমন
ফল এবং ফলের রস-লেবু, কমল্ মাল্টা, আঙ্গু্ টমেটো, আপে্ তৈরি ইত্যাদি।
দুগ্ধজাত খাদ্য-দুধ, দই ,পানি ইত্যাদি।
প্রক্রিয়াজাত খাদ্য ফাস্টফুড প্যাকেট চিপস বিস্কুট পেপসি কোকাকোলা ইত্যাদি।
দ্বিতীয়তঃ তিন মাস থেকে নয় মস পর্যন্ত প্রতিদিন ফলের সাথে আইরন এবং ক্যালসিয়াম সমৃদ্ধ খাবার খেতে হবে।
নয় মাস হওয়ার পরে যা খাবেন-প্রথমেই বলবো খজুর খেতে কারণ খেজুর আপনার জরায়ুর মুখটাকে সফট করে। আপনার যদি ডায়াবেটিস না থাকে আর আপনার প্রেগনেন্সি যদি নয় মাস পার হয়ে থাকে তাহলে আপনি প্রতিদিন ছয় থেকে সাতটি করে খেজুর খান। দ্বিতীয়ত আপনি কাস্টর অয়েল ন্যাচারালি লেকজেনটিভ হিসেবে কাজ করে যা আপনার গডটাকের ক্লিয়ার করে ফেলে। গড ক্লিয়ার থাকলে বাচ্চা নিচের দিকে আস্তে আস্তে নামতে শুরু করে। ক্যাস্টর অয়েল প্রতিদিন হাফ চামচ করে এক গ্লাস দুধ বা গরম পানিতে মিশিয়ে খাওয়া শুরু করে দিন। এটা খেলে বমি বমি ভাব হয়। যদি আপনার বেশি হয় তাহলে নেটে বাদ দিতে পারেন।
কাঁচা পেঁপে গর্ভাবস্থায় তিন মাসের মধ্যে খেলে গর্ভপাতের সম্ভাবনা থাকে। কারণ কাঁচা পেঁপের মধ্যে প্যাপিং নামক উপাদান রয়েছে যা গর্ভপাত ঘটাতে পারে। কিন্তু এই কাঁচা পেতেই আবার যখন আপনার নয় মাস হবে তখন পেপিং উপাদান আপনার জরায়ুর মেসেজ গুলোকে কন্টাক করে লেভেল পেন শুরু কর সাহায্য করে।
আনারস খেতে পারেন আনারসের মধ্যে বমাইলিং নামক উপাদান রয়েছে। যা টিউটোরিয়াল মেসেজ কন্টাক করে জরার মুখ খুলতে সাহায্য করে। কলা পটাশিয়াম ম্যাগনেসিয়াম এবং ভিটামিন বি কলার মধ্যে থাকায় গর্ভ অবস্থায় শেষের দিকে এটা বেসি বেসি খাওযা ভাল।
নরমাল ডেলিভারির জন্য হোমিও ওষুধ কতটা কার্যকর
নরমাল ডেলিভারির জন্য হোমিও ওষুধ কতটা কার্যকর এ বিষয়ে আমাকে জানতে চাই। আজকে
আমি আপনাদের মাঝে শেয়ার করব নরমাল ডেলিভারির জন্য আপনি ওষুধ খেলে আপনার কতটুকু
কাজ হবে। চলুন দেরি না করে বিস্তারিত আলোচনা করা যাক নরমাল ডেলিভারির জন্য উনি
ওষুধে কার্যকর কতটুকু সেই সম্পর্ক।
আসলে একজন নরমাল ডেলিভারির জন্য তার প্রধান কাজটি হচ্ছে সুস্থ থাকার চেষ্টা।
গর্ভবতী মা যদি শারীরিক এবং মানসিক দিক দিয়ে সুস্থ থাকে তাহলে নরমাল ডেলিভারির
হওয়াটা স্বাভাবিক। তাছাড়া একজন মা যদি শারীরিকভাবে দুর্বল অসুস্থ হয়। সেই
মায়ের ক্ষেত্রে নরমাল ডেলিভারি হওয়াটা অসম্ভব সেজন্য প্রথমেই সকল গর্ভবতী মাকে
চেষ্টা করতে হবে সে যেন শারীরিক এবং মানসিক দিক দিয়ে সুস্থ থাকে।
কারণ হোমিও ঔষধ বা ছেলে যদি নরমাল ডেলিভারি হত তাছাড়া যদি সম্ভব না হতো তাহলে
আশপাশে যত জীবজন্তু অর্থাৎ গবাদি পশু আছে তাদের দিকে একটু লক্ষ্য করুন। তারা
কিন্তু কোন ঔষধ খায় না তারপরেও দেখা যাচ্ছে তাদের ডেলিভারির জন্য সিজার করা
লাগেনা। কারণ তারা প্রাকৃতিকভাবেই সবুজ ঘাস পালা খেয়ে সুস্থ থাকে।
সেজন্য তাদের এক্সট্রা ভাবে কোনো ঔষধ খাওয়ার প্রয়োজন হয় না। মানুষও যদি তার
শরীরকে সুস্থ রাখে তাহলে তাদেরও কোন প্রকার ওষুধ খাওয়ার প্রয়োজন হবে না বিশেষ
করে হোমিও ওষুধ। তবে কোন গর্ভবত না যদি শারীরিক অসুস্থ হয় ।সেই অসুস্থতা দূর
করার জন্য তাকে ওষুধ খেতে হবে। সেটা উনি ওষুধ হতে পারে বা অন্য কোন সে ওষুধ
খাবে সুস্থ হওয়ার জন্য। আর যখনই সে সুস্থ থাকবে তখনই তার নরমাল ডেলিভারি হওয়াটা
স্বাভাবিক হয়ে যাবে।
গর্ভ অবস্থায় কোন খাবার খেলে জরায়ুরমুখ খুলতে সহায়ক হতে পারে
- আনারস-এতে থাকা ভ্রমলিন এলজাইম জরায় গঠন নরম করতে সহায়তা করতে পারে।
- খেজুর-গবেষণায় দেখা গেছে, গর্ভাবস্থার শেষ পর্যায়ে নিয়মিত খেজুর খেলে প্রসারণ দ্রুত হতে পারে।
- মসলাযুক্ত খাবার-মসলা জাতীয় খাবার জরায়ু সংকোচন প্রক্রিয়া ত্বরান্বিত করতে পারে।
- জিরা ও মেথির পানি-প্রসবের জন্য প্রস্তুত করতে পারে।
- পেঁপে-পেঁপের মধ্যে পেপিং নামক উপাদান থাকায় এটি মুখ খুলতে সাহায্য করে।
সতর্কতাঃ
তবে আপনার গর্ভকাল ৩৭ সপ্তাহ কম যদি হয়, তাহলে এ ধরনের খাবার এড়িয়ে চলায়
উচিত।
উচ্চ রক্তচাপ ডায়াবেটিস বা অন্য কোন স্বাস্থ্য জটিলতা থাকলে এসব খাবার খাওয়ার
আগে ডাক্তারের পরামর্শ নেওয়া জরুরি।
ধরার মুখ স্বাভাবিক সময়ের আগে খুলে গেলে তা লেভেল বা জটিলতা তৈরি করতে পারে।
গর্ভকাল তিন মাসের আগে আনারস এবং পেঁপে খাওয়া থেকে দূরে থাকুন কারণ প্রথম তিন
মাসের মধ্যে যদি আপনি এবং পেপে খান তাহলে আপনার মিস ক্যারেজ হওয়ার
সম্ভাবনা থাকে, পেঁপে এবং আনারস আপনাকে নয় মাসের পর খেতে হবে তাহলে আপনার
জরার মুখ খুলবে এবং এর দ্বারা উপকার পাওয়া যায়।
গর্ব অবস্থায় কি সহবাস করা যাবে কিনা
গর্ব অবস্থায় সহবাস করা সাধারণ নিরাপদ, যদি গর্ভধারণ স্বাভাবিক থাকে এবং কোন
জটিলতা না থাকে। তবে কিছু পরিস্থিতিতে সতর্কতা অবলম্বন করা জরুরি তা নিম্নে
আলোচনা করা হলো-
গর্ভ অবস্থায় সহবাস নিরাপদ কখন
- যদি গর্ভকালীন স্বাভাবিকভাবে এগিয়ে যায় এবং ডাক্তারি কোন নিষেধাজ্ঞা না দেয়।
- যদি গর্ভবতী মাইক অবস্থান স্বাভাবিক থাকে তার কোন সমস্যা না।
- যদি আগে গর্ভধারণের জটিলতা না থাকে।
- গর্ভের শিশুর কোন ঝুঁকি না থাকে।
কোন সময় সহবাস এড়ানো উচিত
- গর্ভপাত বা প্রীতম প্রি প্রম লেভেলের জেগে থাকলে।
- অতিরিক্ত রক্তক্ষরণ ব্যথা বা অসস্থির অনুভূতি হল।
- জরায়ুর মুখ আগেভাগে ভুলে যাওয়ার যোগে থাকতে।
- যদি ডাক্তার বেড রেস্ট বা সম্পন্ন বিশ্রামের পরামর্শ দেন সে ক্ষেত্রে।
- যদি গর্ভকালীন কোন কর্ম নেই ঝুঁকি থাকে।
সহবাসের সময় কিছু সতর্কতা
- খুব বেশি চাপ বা গভীর পুলিশ এড়িয়ে চলা উচিত।
- যদি কোন অসস্তি বা ব্যথা হয় তবে সাথে সাথে বন্ধ করা উচিত
গর্ভ অবস্থায় ফলিত এসিড কখন খাওয়া ভালো
গর্ভাবস্থায় ফলে তো এসিড খাওয়ার খুবই গুরুত্বপূর্ণ, বিশেষ করে গর্ভধারণের প্রথম
দিকে। ও মেরুদন্ড সঠিক বিকাশে সাহায্য করে এবং নিউরাল ডিফেক্ট প্রতিরোধ করে।
কখন ফলিত এসিড খাওয়া ভাল
- গর্ভধারণের আগে-যেসব নারী গর্ভধারণের পরিকল্পনা করছে, তাদের গর্ভধারণের অন্তত এক মাস আগে থেকে খাওয়া শুরু করা ভালো।
- গর্ভাবস্থার প্রথম তিন মাসে-১ থেকে ৩ মাসের মধ্যে এ সময় প্রতিদিন ৪ ০০ থেকে ৬০০ মাইক্রগ্রাম ফলিত এসিড গ্রহণ করা গুরুত্বপূর্ণ।
- গর্ব অবস্থায় চার থেকে নয় মাস-এই সময়ে ডাক্তারের পরামর্শ দিলে এ সময় খাওয়া যেতে পারে।
- আরো পড়ুনঃকালোজিরা খাওয়ার ৩০ টি উপকারিতা
গর্ভাবস্থায় কোন কোন খাবার এড়িয়ে চলা উচিত
- কাঁচা ডিম কাঁচা বা আধার সিদ্ধ মাছ কাঁচা বাধা সিদ্ধ মাংস রান্না করা।
- অপরিশোধিত দুধ বা দুধ জাতীয় খাবার।
- অতিরিক্ত কফি চা সফট ড্রিংক।
- উচ্চমাত্রা চিনি বা কৃত্রিম মিষ্টি যেমন ক্যান্ডি, কেক, চকলেট।
- ভাজাপোড়া খাবার যেমন চিপ, বার্গার।
- অতিরিক্ত লবণযুক্ত খাবার।
- অ্যালকোহল সম্পন্ন নিষিদ্ধ ।
- ধূমপান ও নিকোটিন জাতীয় খাবারও এড়িয়ে চলা উচিত।
গর্ভ অবস্থায় প্রাথমিক লক্ষণ গুলো কি কি
- মাসিক অনিয়ম বা বন্ধ হওয়া, এটি সবচেয়ে সাধারণ লক্ষণ যদি আপনার নিয়মিত মাসিক বন্ধ হয়ে যায় তবে গর্ভধারণের সম্ভাবনা থাকে।
- বমি বমি ভাব বিশেষ করে সকালে বা সারাদিনে বিভিন্ন সময় বমি বমি ভাব হতে পারে।
- স্তন ফুলে যাওয়া ব্যথা করা বা ইস্পর্শে সংবেদনশীল হয়ে উঠতে পারে।
- অল্প কাজ করেও খুব ক্লান্তি লাগতে পারে, কারণ শরীরে হরমনের পরিবর্তন হয়।
- প্রসাবের পরিমাণ বৃদ্ধি পাওয়া।
- খাবারের প্রতি অরুচি হওয়া।
- মানসিক পরিবর্তন বা মুরশিদ হওয়া হরমোনে পরিবর্তনের কারণে হঠাৎ মন খারাপ বা লাগতে পারে।
- পেটে হালকা ব্যথা ও ফলা অনুভব করা।
- হালকা রক্তপাত বা ইমপ্লাইন ষ্টেশন বিডিং হওয়া।
- সাধারণত গন্ধের প্রতি সমবেদনশীলতা বেড়ে যাওয়া যা বমি বমি ভাব তৈরি করতে পারে।
গর্ভাবস্থায় কোন কোন সবজি খাওয়া উচিত
- শাক সবজি ও পাতাযুক্ত সবজি-পালং শাক, মোলা শাক কলমি শাক মেথি শাক এগুলোতে আয়রন ক্যালসিয়াম ও হোটেল সমৃদ্ধ যা গর্ভাবস্থায় শিশুর সঠিক বিকাশে করে।
- বাঁধাকপি ব্রেকলি লাউ শাক-এগুলো ভিটামিন সি ও কে সমৃদ্ধ যার রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়।
- মিষ্টি কুমড়া-আইরন ও ফাইবার সমৃদ্ধ যা হজমে সহায়ক।
- টমেটো-এন্টিঅক্সিডেন্ট সি সমৃদ্ধ রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়।
- লাউ, করলা, ঝিঙ্গে, চিচিঙ্গাখাইবার ও পানি সমৃদ্ধ যা কষ্ট কাঠিন্য দূর করতে সাহায্য করে।
www.alltipsatoz.comনীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url