আম খাওয়ার অসাধারণ উপকারিতা ও অপকারিতা সম্পর্কে ২৫টি
আম অতি পরিচিত একটি ফল আমাদের খুবই পছন্দনীয় একটি ফল। এটি খেতে খুবই সুস্বাদু আম খেতে পছন্দ করেন না এমন লোক খুঁজে পাওয়া দায়। আজ আমি আপনাদের মাঝে আম খাওয়ার অসাধারণ উপকারিতা ও অপকারিতা
সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করব এই পোস্টটি শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত মনোযোগ সহকারে পড়লে। আপনারা জানতে পারবেন যে আম খেলে কি কি উপকার হয় এবং অতিরিক্ত আম খেলে শরীরের জন্য কি কি ক্ষতি হতে পারে।
পেজ সূচিপত্রঃ আম খাওয়ার অসাধারণ উপকারিতা
- আম খাওয়ার উপকারিতা
- কাঁচা আম খাওয়ার উপকারিতা
- আমের পুষ্টি উপাদান
- আম খাওয়ার নিয়ম ও পরিমাণ
- পাকা আম মিষ্টি হয় কেন
- পাকা আমি কি ভিটামিন রয়েছে
- শিশুদের আম খাওয়ার উপকারিতা/কখন কিভাবে খাবেন
- গর্ভাবস্থায় আম খাওয়ার উপকারিতা
- আম খাওয়ার অপকারিতা
- উপসংহারঃ খাওয়ার অসাধারণ উপকারিতা
আম খাওয়ার উপকারিতা
আম খাওয়ার উপকারিতা সম্পর্কে অনেকে জানেন না। আজ আমি আপনাদের সাথে আম খাওয়ার
উপকারিতা সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করব। আম খাওয়ার উপকারিতা সম্পর্কে২৫ টি তথ্য
নিম্মে দেওয়া হল।
- ভিটামিন সি এর ভালো উৎস-আমি ভিটামিন সি পাওয়া যায় যার কারণে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা ও ত্বককে উজ্জ্বল রাখতে সাহায্য করে।
- ভিটামিন এ এর সমৃদ্ধ-চোখের স্বাস্থ্য ভালো রাখতে এবং রাতকানা রোগ প্রতিরোধ করতে সাহায্য করে।
- ফাইবার সমৃদ্ধ-হজমের জন্য উপকারী এবং কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করতে আম ব্যাপক ভূমিকা পালন করে।
- ওজন নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে-পরিমাণ মতো আম খেলে মেয়েটা বলিজম বাড়ায় ওজন কমাতে সাহায্য করে।
- জন্য উপকারী সমৃদ্ধ এতে থাকায় এনজাইম হজম প্রক্রিয়াকে সাহায্য করে।
- অম্বল ও গ্যাস দূর করে-সাহায্য করে-প্রাকৃতিকভাবেই এসিডিটি কমাতে সাহায্য করে।
- -কোবায়োটিন বৈশিষ্ট্যযুক্ত তন্ত্রের স্বাস্থ্য ভালো রাখে।
- পেট ফাঁপা কমায়-আমে থাকা ফাইবার এবং এনজাইম গ্যাস এবং পেট ফাঁপা কমায়।
- লিভারের জন্য উপকারী-লিভার পরিষ্কার রাখতে সাহায্য করে।
- রক্তচাপের জন্য উপকারী-থামে থাকা পটাশিয়াম রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণ রাখে।
- করিস্টেরল কমায়-আম খারাপ কোলেস্টরল কমাতে সাহায্য করে।
- হৃদরোগের ঝুঁকি কমায়-আমি থাকা হয়তো নিউটোরিস্ট যন্ত্র কে সুরক্ষা দেয়।
- রক্ত সঞ্চালন ভালো রাখে-রক্তস্বল্পতা দূর করে এবং রক্ত সঞ্চালন ভালো রাখতে সাহায্য করে।
-
রক্তে শর্করা মাত্রা নিয়ন্ত্রণ করে-পরিমাণ মতো আম খেলে ডায়াবেটিস রোগীদের
জন্যও উপকারী হতে পারে কারণ রক্তের শর্করা মাত্রা নিয়ন্ত্রণ করে।
-
ত্বককে উজ্জ্বল করে-আমি থাকা ভিটামিন সি ও ভিটামিন এ জলতা বৃদ্ধি করে।
-
ব্রণ কমাতে সাহায্য করে-আমি থাকা অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট ব্রোন কমাতে সাহায্য করে
থাকে।
-
চুলের বৃদ্ধি বাড়ায়-আমি থাকা ভিটামিন এ চুলের গোড়া মজবুত করে এবং চুল
বৃদ্ধি করে।
-
ত্বকের আর্দ্রতা ধরে রাখে-সূক্ষ্ম ত্বকের জন্য ভালো উপকার করে।
-
বয়সে চাপ কমায়-আমি থাকা এন্টি এন্ডজিং বৈশিষ্ট্য রয়েছে যা বয়সের ছাপ
কমাতে পারে।
-
মানসিক চাপ কমায়-আমি থাকা ম্যাগনেসিয়াম ও ভিটামিন বি৬ মানসিক চাপ কমাতে
সাহায্য করে।
-
শক্তি বাড়ায়-আমি প্রাকৃতিক শর্করা দ্রুত শক্তি দেয়\।
-
ইমিউন সিস্টেম শক্তিশালী করে-রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়।
-
হাড় মজবুত করে-আমি থাকা ক্যালসিয়াম ভিটামিন কে হাড় মজবুত করতে সাহায্য
করে।
-
গর্ভবতী নারীদের জন্য উপকারী-এতে থাকা পড়িত এসিড গর্ভ অবস্থায় শিশুর
বৃদ্ধিতে সাহায্য করে।
আম খাওয়া শুধু উপকারী নয়, এটি সুস্বাদু ও বটে। তবে অতিরিক্ত খেলে রক্তে শর্ট
করা বেড়ে যেতে পারে তাই পরিমাণ মতো খাওয়া উচিত।
কাঁচা আম খাওয়ার উপকারিতা
আম এমনই একটি ফল যা আমরা কাঁচা এবং পাকা অবস্থাটি খেতে পারি আমি শুধু সুস্বাদু
নয় এটি স্বাস্থ্যের জন্যও অনেক উপকারী। নিম্নে কাঁচা আম খাওয়ার ১০ টি উপকারিতা
দেয়া হলো-
- হজম শক্তি বাড়ায়-কাঁচা আমের থাকা এঞ্জাইম হজম শক্তি বাড়াতে এবং কষ্ট কার্টুন দূর করতে সাহায্য করে।
-
লিভারের জন্য উপকারী-কাঁচা আম লিভারের কার্য ক্ষমতা এবং টনিক্স দূর করতে
সাহায্য করে।
-
তাপ প্রবাহ প্রতিরোধ করে-গ্রীষ্মকালে শরীর ঠান্ডা রাখতে এবং লবণ ও পানির
ভারসাম্য বজায় রাখতে কাঁচা আম সাহায্য করে।
-
অম্বল ও গ্যাস কমায়-এসিডিটি ও গ্যাসের সমস্যা দূর করতে সাহায্য করে।
-
রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়-আমি থাকা ভিটামিন সি ও অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট শরীরে
রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে।
-
ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণের সহায়ক-পরিমাণ মতো আম খেলে রক্তের শর্করা মাত্রা
নিয়ন্ত্রণে থাকে সেজন্য ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে সহায়ক।
-
ত্বকের জন্য ভালো-ব্রণ ও ত্বকের অন্যান্য সমস্যার সমাধান করতে সহায়ক।
-
রক্তস্বল্পতা দূর করে-আমি থাকা আইরন শরীরের হিমোগ্লোবিনের মাত্রা বাড়াতে
সাহায্য করে।
-
ওজন কমাতে সাহায্য করে-আমি থাকা ফাইবার সমৃদ্ধ হওয়ায় এটি খোকা কমায় এবং
বিপাকক্রিয়া বাড়ায় যার ফলে ওজন কমাতে সহ।
- শরীরের পানি শূন্যতা দূর করে-শরীরের পানির ঘাটতি পূরণে বিশেষ করে গরমের সময় পানি শূন্যতা দূর করতে সাহায্য করে।
- পরিমাণ মতো কাঁচা আম খেলে এগুলোর উপকার পাওয়া যায় তবে অতিরিক্ত খেলে এসিডিটি সমস্যা হতে পারে
- আরো পড়ুন-কালোজিরা খাওয়ার অসাধারণ উপকারিতা সম্পর্কে দৃষ্টি তথ্য জানুন
আমের পুষ্টি উপাদান
ক্রমিক নাম্বার | পুষ্টি উপাদান | পরিমাণ |
---|---|---|
১ | শক্তি ক্যালরি | ৬০ ক্যালোরি |
২ | পানিm | ৮৩ পয়েন্ট ৪৬ গ্রাম |
৩ | কার্বোহাইড্রেটj | ১৪. ৯৮ গ্রাম |
৪ | প্রোটিন | ০. ৮২ গ্রাম |
৫ | ফ্যাট | ০.৮৩ গ্রাম |
৬ | ফাইবার | ১.৬ গ্রাম |
৭ | চিনি | ১৩.৬৬ গ্রাম |
৮ | ভিটামিন সি | ৩৬ . চার গ্রাম |
৯ | ভিটামিন ই | ০.৯ গ্রামk |
১০ | ভিটামিন বি 6 | 0.109mg |
১১ | ক্যালসিয়ামm | ১১mg |
১২ | ম্যাগনেসিয়ামm | ১০ mg |
১৩ | পটাশিয়ামm | 168mg |
১৪ | ফসফরাস | ১৪mg |
১৫ | আইরনm | 0.16mg |
১৬ | অলিক এসিড বি9 | ৮৩mcg |
১৭ | ভিটামিন বি6 | ০.১১৯ mg |
১৮ | ভিটামিন কে | ৪.২mcg |
আম খাওয়ার নিয়ম এবং পরিমাণ
আম খাওয়া স্বাস্থ্যকর, তবে সঠিক নিয়ম মেনে খাওয়া গুরুত্বপূর্ণ। ইচ্ছাকৃত বা
অনিচ্ছাকৃত অতিরিক্ত আম খেলে শারীরিক সমস্যা হতে পারে। আম খাওয়ার সঠিক নিয়ম এবং
ভুল ভাবে আম খাওয়ার ফলে কি সমস্যা হতে পারে এমন দশটি সমস্যা তুলে ধরা হলো
- পরিমাণ আম খান-প্রতিদিন এক থেকে দুইটি মাঝারি আকারের আম খাওয়া স্বাস্থ্যকর, তবে খেলে ওজন বাড়তে পারে।
- খালি পেটে খাবেন না-খালি পেটে আম খেলে এসিডিটি সমস্যা হতে পারে।
- খাওয়ার পর পানি পান করবেন না-আম খাওয়ার পরপরই ঠান্ডা পানি পান করলে গলা ব্যথা ও হজমের সমস্যা হতে পারে অন্তত 30 মিনিট অপেক্ষা করুন।
- সঠিক সময়ে আম খাওয়া-দুপুরে বা বিকালে আম খাওয়া ভালো, রাতে আম খেলে গ্যাসের সমস্যা হতে পারে।
- আমের সাথে যুদ্ধজাত খাবার কম খাওয়া-আমের সঙ্গে দুধ খাওয়া অনেকের জন্যই হজমের সমস্যা তৈরি করতে পারে সেজন্য আমির সঙ্গে দুধ না খাওয়াই ভালো।
- ভেজানো আম খাওয়া-আম খাওয়ার আগে এক থেকে দুই ঘন্টা পানিতে ভিজিয়ে রাখলে এতে থাকা অতিরিক্ত ফাইটিং এসিড কমে যায়, যা হজমের জন্য ভালো।,
- ডাইবেটিস রোগীদের সতর্ক তার সাথে আম খাওয়া-আমি বেশি থাকে, আমি প্রাকৃতিক চিনি বেশি থাক্ তাই ডায়বেটিস রোগীদের চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়ে আম খাওয়া উচিত।
- কাঁচা ও পাকা আমের ব্যালেন্স রাখুন-অতিরিক্ত পাকা আম খেলে রক্তের শর্করা মাত্রা বেড়ে যেতে পারে, আবার অতিরিক্ত কাঁচা আম খেলে এসিডিটি হতে পারে।
- অতিরিক্ত না খেয়ে নিয়ন্ত্রণ খাওয়া-বেশি আম খেলে ওজন বাড়তে পারে এবং পেটের সমস্যা দেখা দিতে পারে।
- প্রক্রিয়াজাত আম এড়িয়ে চলুন-বাজারে কেমিকাল যুক্ত বা অতিরিক্ত সংরক্ষণকৃত আম না খাওয়াই ভালো এগুলো স্বাস্থ্যের জন্য অতিরিক্ত ক্ষতিকর হতে পারে।
এটি স্বাস্থ্যকর ও উপকারী হয়। তবে অতিরিক্ত খেলে ওজন বৃদ্ধি ডায়াবেটিস বেড়ে
যাওয়া গ্যাস এসিডিটি ডায়রিয়ার মত সমস্যা দেখা দিতে পারে।
পাকা আম মিষ্টি হয় কেন
পাকা আম মিষ্টি হয় কেন এই প্রশ্নটি আমাদের সকলের মনে জাগে। কিন্তু এর সঠিক উত্তর
আমাদের অনেকেরই অজানা টাকা আর মিষ্টি হয় কেন এ প্রশ্নের সঠিক উত্তরটি জানতে
নিম্নে মনোযোগ সহকারে পড়ুন তাহলে আপনি সঠিক উত্তরটি পেয়ে যাবেন।
আমি রয়েছি এস করবিক এসিড, সাইট্রক এসিড , অক্সলিক এসিড ইত্যাদি। এই সমস্ত এসিড
থাকার জন্য কাঁচা আম খেতে টক লাগে। কিন্তু যখন সেই কাঁচা আমটি পাকে তখন আমের
মধ্যে থাকা এই সমস্ত এসিড গুলো রাসায়নিক পরিবর্তনের মাধ্যমে গ্লুকোজ ও ফটোজ
(মিষ্টি) পরিণত হয়। যারফলে পাকা আম মিষ্টি হয়।
পাকা আমে কি কি ভিটামিন রয়েছে
পাকা আমের কি কি ভিটামিন রয়েছে তা অনেকেই জানতে চাই। আমরা পাকা আম খাই ঠিকই
কিন্তু অনেকেই জানিনা যে পাকা আমের মধ্যে কি কি ভিটামিন বেশি। আজ আমি আপনাদের
মাঝে বলবো টাকা আমি মধ্যে কি কি ভিটামিন রয়েছে, তো চলুন আলোচনা করা যাক।
- ভিটামিন এ-পাকা আমের মধ্যে ভিটামিন এ রয়েছে যা আমাদের চোখে স্বাস্থ্যের জন্য উপকারী।
- ভিটামিন সি-রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে ত্বক ও চুলের উপকার করে।
- ভিটামিন ই-অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট হিসেবে কাজ করে যা আমাদের ত্বকের উজ্জ্বলতা বাড়ায়।
- ভিটামিন কে-যার রক্ত জমাট বাধার প্রক্রিয়াকে সাহায্য করে।
- ভিটামিন বি ৬-মস্তিষ্কে কার্যকারিতা উন্নত করে এবং হরমোন নিয়ন্ত্রণে সহায়তা করে।
- ফলিক অ্যাসিড-রক্ত তৈরি করতে সাহায্য করে যা গর্ভবতী মহিলাদের জন্য উপকারী।
পাকা আম খেলে শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি পায় এবং এটি শরীরের শক্তি ভালো
উৎস।
শিশুদের আম খাওয়ার উপকারিতা/কখন কিভাবে খাওয়াবেন
শিশুদের আম খাওয়া অনেক উপকার রয়েছে নিচে এই সকল উপকারিতা তুলে ধরা হলো
- পুষ্টি সরবরাহ করে- আমি ভিটামিন ্ সি ই এবং বি৬ থাকে, যা শিশুর শারীরিক ও মানসিক বিকাশে সাহায্য করে।
- ফলিক এসিড ও আইরন রক্তের পরিমাণ বাড়ায় এবং রক্তস্বল্পতা দূর করে।
- রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়-আমের ভিটামিন সি ও অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট শিশুর রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা শক্তিশালী করে।
- হজম শক্তি বাড়ায়-আমি ফাইবার বা আঁশ থাকায় শিশুদের কষ্ট কাঠিন্য দূর করতে সাহায্য করে এবং হজম শক্ত উন্নত করে।
- দৃষ্টিশক্তি বৃদ্ধি করে-দৃষ্টিশক্তি ভালো রাখে রাতকানা রোগ প্রতিরোধ করে।
- মস্তিষ্ক বিকাশের সাহায্য করে-আমের মধ্যে ভিটামিন বি ৬ এসিড কার্যকারিতা বাড়ায় এবং স্মৃতি শক্তি উন্নত করে।
- ওজন বাড়াতে সহায়ক-শিশুদের ওজন কম থাকলে আমের প্রাকৃতিক চিনি ও ক্যালোরি স্বাস্থ্যকর উপায়ে ওজন বাড়াতে সাহায্য করে।
কখন কিভাবে খাওয়াবেনঃ
- 6 থেকে 8 মাস বয়স হলে ছোট ছোট পরিমাণ আম দেওয়া যাবে।
- এক বছর বা তার বেশি হলে আম টুকরো করে বা ইসমুদি বানিয়ে খাওয়ানো যায়।
- অতিরিক্ত পরিমাণে আম খাওয়ালে ডায়রিয়া হতে পারে তাই পরিমাণ নিয়ন্ত্রণ করা দরকার।
- শিশুর স্বাস্থ্যের জন্য আমি একটি আদর্শ ফল, তবে খাওয়ার আগে এলার্জি লক্ষণ আছে কিনা তা খেয়াল রাখা উচিত।
গর্ভাবস্থায় আম খাওয়ার উপকারিতা
গর্ভ অবস্থায় আম খাওয়ার অনেক উপকার রয়েছে তা নিম্নে আলোচনা করা হলো-
- পুষ্টি সরবরাহ -আমি ভিটামিন এ, সি, ই, কে ও বি ৬ রয়েছে, যা মায়ের ও শিশুর স্বাস্থ্য ভালো রাখতে সাহায্য করে।
- ফলিক এসিড-গর্ভ অবস্থায় শিশুর মস্তিষ্ক ও স্নায়ুতন্ত্রের সঠিক বিকাশে ফলিক এসিড গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে যা আমের মধ্যে পাওয়া যায়।
- আইরন-গর্ভবতী মায়ের রক্তস্বল্পতা দূর করতে সাহায্য করে।
- রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়-আমের ভিটামিন সি এর রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা শক্তিশালী করে এবং সংক্রমণের ঝুঁকি কমায়।
- রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণ করে-আমের মধ্যে থাকা পটাশিয়াম ও ম্যাগনেসিয়াম যা উচ্চ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণের সাহায্য করে এবং হিট যন্ত্র কে সুস্থ রাখে।
- শক্তি বাড়ায়-গর্ভ অবস্থায় ক্লান্তি কমানোর জন্য আম এ থাকা প্রাকৃতিক চিনি গ্লুকোজ ফটোজ ও সুক্রোজ তাৎক্ষণিক শক্তি যোগায়।
- শিশু দৃষ্টিশক্তি বৃদ্ধি করে-ভিটামিন এ শিশুর চোখ হাড় ও অঙ্গ পতঙ্গের সঠিক বিকাশে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে।
- মানসিক প্রশান্তি আনে-আমি থাকা ভিটামিন বি ৬ মস্তিষ্কের কার্যকারিতা বাড়ায় এবং মানসিক চাপ কমায় যার গর্ভবতী মায়ের জন্য খুবই উপকারী।
আম খাওয়ার অপকারিতা
আম খাওয়া স্বাস্থ্যের জন্য উপকারী হলেও অতিরিক্ত পরিমাণে খেলে কিছু অপকারিতা
লক্ষ্য করা যায়। আম খাওয়ার অপকারিতা সম্পর্কে নিম্নে আলোচনা করা হলো-
- ওজন বৃদ্ধি হতে পারে-আমি প্রাকৃতিক চিনি ও ক্যালরি বেশি থাকে তাই অতিরিক্ত খেলে ওজন বাড়তে পারে।
- রক্তের শর্করা মাত্রা বাড়তে পারে-ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য বেশি পরিমাণ আম খাওয়া ক্ষতিকর হতে পারে কারণ এটি রক্তের মাত্রা বাড়িয়ে দিতে পারে।
- হজমের সমস্যা হতে পারে।
- গ্যাস হতে পারে-অতিরিক্ত আম খাওয়ার জন্য কিছু মানুষের গ্যাস বা অম্বলের কারণ হতে পারে।
- এলার্জি হতে পারে-কিছু কিছু মানুষের আম খেলে চুলকানি ত্বকের রেস বা খোলা ভাব দেখা দিতে পারে।
- আর রাসায়নিকভাবে পাকা আমের ক্ষতি কার্বন-ডাই বা অন্যান্য রাসায়নিক দিয়ে পাকানো আম খেলে পেটের সমস্যা, বমি মাথাব্যথা ও বিষক্রিয়া হতে পারে।
- অতিরিক্ত আম খেলে শরীরের তাপমাত্রা বেড়ে যেতে পারে।
- গরমের দিনে বেশি আম খেলে নাক দিয়ে রক্ত পড়ার সমস্যা হতে পারে।
- কিডনির সমস্যা হতে পারে-আমি পটাশিয়াম বেশি থাকাই যাদের কিডনির সমস্যা আছে তাদের অতিরিক্ত আম খাওয়া উচিত নয়।
সঠিক পরিমাণে আম খেলে এটি উপকারী, তবে অতিরিক্ত আম খেলে নানান সমস্যা সৃষ্টি
হতে পারে।
উপসংহার/আম খাওয়ার অসাধারণ উপকারিতা
ইতিমধ্যে আম খাওয়ার উপকারিতা, কাঁচা আম খাওয়ার উপকারিতা, আমের পুষ্টি
উপাদান, আম খাওয়ার নিয়ম ও পরিমাণ পাকা মিষ্টি হয় কেন পাকা আমে কি ভিটামিন
রয়েছে শিশুদের আম খাওয়ার উপকারিতা গর্ভ অবস্থায় আম খাওয়ার উপকারিতা এবং আম
খাওয়ার অপকারিতা সম্পর্কে জানলাম এখান থেকে আপনাদের যদি কোন উপকার হয়ে থাকে
তাহলে পরবর্তী এমন পোস্ট পেতে পেজটি ফলো দিয়ে রাখুন এবং আমাদের সাথে থাকুন।
www.alltipsatoz.comনীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url