ডিজিটাল মার্কেটিং শিখতে কত দিন লাগে

ডিজিটাল মার্কেটিং শিখতে কত দিন লাগে এই প্রশ্নটি প্রত্যেক নতুন ফ্রিল্যান্সিং মার্কেটে আসা ব্যাক্তিদের জন্য সাধারণ একটি প্রশ্ন। আমি নতুন ফ্রিল্যান্সিং করতে আসা ব্যক্তিদের এই প্রশ্নটির উত্তর দেয়ার জন্য এ পোস্টটি লিখেছি।

ডিজিটাল-মার্কেটিং-শিখতে-কত-দিন-লাগেএ পোস্টটি যদি কোন নতুন ফ্রিল্যান্সার বা যাদের মনে প্রশ্ন আসে সে ব্যক্তি গুলো মনোযোগ সহকারে পড়ে তাহলে তারা জানতে পারবে। ডিজিটাল মার্কেটিং শিখতে কত সময় লাগে এবং কত টাকার প্রয়োজন হয় এই সমস্ত বিষয়ে। তাহলে চলুন দেরি না করে শুরু করা যাক।

পেজ সূচিপত্রঃ ডিজিটাল মার্কেটিং শিখতে কতদিন লাগে

ডিজিটাল মার্কেটিং শিখতে কত দিন লাগে

ডিজিটাল মার্কেটিং শিখতে কতদিন লাগে এ কথাটি সঠিকভাবে বলাটা খুবই দুশমন তবে ডিজিটাল মার্কেটিং শিখতে কত সময় লাগতে পারে তা সহজে বুঝার জন্য। ডিজিটাল মার্কেটিং এর ধান বিস্তরসমূহ কয়টি তা জানা দরকার। তাহলেই আমরা কিছু ধারণা পেতে পারি যে ডিজিটাল মার্কেটিং শিখতে কত দিন লাগে।

প্রধান স্তর সমূহ কয়টি তা নিম্নে দেয়া হলঃ

  • সোশ্যাল মিডিয়া মার্কেটিং
  • এসইও(সার্চ ইঞ্জিন অপটিমাইজেশন)
  • অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং
  • ইমেইল মার্কেটিং
  • কন্টেন রাইটিং
  • ভিডিও মার্কেটিং
  • ব্লক বা আর্টিকেল মার্কেটিং
  • মোবাইল মার্কেটিং
  • পিডিএফ মার্কেটিং

এ সমস্ত বিষয় ডিজিটাল মার্কেটিং এর অংশ। অনলাইন ভিত্তিক প্রচারণার সমস্ত মাধ্যম কে সাধারণত ডিজিটাল মার্কেটিং বলা যায়। ডিজিটাল মার্কেটিং প্রতিষ্ঠান অনেক বড়। যা অল্প সময়ের মধ্যে আয়ত্ত করা বা শিক্ষা করা খুবই কষ্টকর। এক একটি বিষয় শিখতে তিন মাস থেকে শুরু করে এক বছর পর্যন্ত সময় লাগতে পারে। সেটা নির্ভর করবে আপনার শিক্ষার ইচ্ছার উপরে। আপনি যদি মনোযোগ সহকারে প্রতিদিনের কাজ প্রতিদিন কমপ্লিট করতে পার...

তাহলে আপনার এক একটি কাজ সম্পন্ন করতে তিন মাস থেকে এক বছর সময় এর মধ্যে হয়ে যেতে পারে। আর আপনি যদি মনোযোগ সহকারে কাজ না করে থাকেন তাহলে আপনার কতদিন শিখতে লাগবে তা বলা সম্ভব নয়।

ডিজিটাল মার্কেটিং শিখতে কত টাকা লাগে

ডিজিটাল মার্কেটিং শিখতে কত টাকা লাগে।এই প্রশ্নটি নতুন ফ্রিল্যান্সিং করতে আসা ব্যক্তিদের মনে সর্বদা আসে। ডিজিটাল মার্কেটিং শিখতে কত টাকা লাগে আজকে এই সম্পর্কে আলোচনা করব। মনোযোগ সহকারে পোস্টটি পড়ুন তাহলে জানতে পারবে ডিজিটাল মার্কেটিং শিখতে কত টাকা লাগে এই সম্পর্কে ।তাহলে চলুন জেনে নেওয়া যাক।

ডিজিটাল-মার্কেটিং-শিখতে-কত-টাকা-লাগে

ডিজিটাল মার্কেটিং শিখতে কত টাকা লাগে এই সম্পর্কে জানতে হলে আপনাকে প্রথমে একটি বিষয় স্থির করে নিতে হবে। আপনি ডিজিটাল মার্কেটিং কম সময়ের মধ্যে শিখতে চান না দীর্ঘ সময় ধরে শিখতে চান এই বিষয়ের উপর। কারণ আপনি যদি দীর্ঘ সময় ধরে ডিজিটাল মার্কেটিং শিখতে চান তাহলে আপনার কম খরচে শিখতে পারবেন।

ইউটিউবে টিউটোরিয়াল ভিডিও দেখে আস্তে আস্তে আপনি যে ধরনের ডিজিটাল মার্কেটিং শিখতে চান সেই বিষয়ে জ্ঞান অর্জন করতে পারেন। এতে করে আপনার টাকা খরচের সম্ভাবনা কম হবে। অপরপক্ষে আপনি যদি কম সময়ের মধ্যে ডিজিটাল মার্কেটিং শিখতে চান তাহলে আপনাকে কোন এক প্রতিষ্ঠানে যেতে হবে। প্রতিষ্ঠানে তাদের নির্দিষ্ট ফি প্রদান করে সেখান থেকে আপনি অল্প সময়ের মধ্যে ডিজিটাল মার্কেটিং শিখতে পারবেন।

প্রতিষ্ঠানে ভর্তি হলে যে আপনি অল্প সময়ের মধ্যে ডিজিটাল মার্কেটিং শিখতে পারবেন বিষয়টা এমন টাও নয়। কারণ আপনি যদি মনোযোগ সহকারে প্রতিষ্ঠানের রুল না মানেন আপনি যে বিষয়টি শিখতে যাচ্ছেন মনোযোগ সহকারে না করেন তাহলে আপনি অল্প সময়ের মধ্যে আপনার কাঙ্খিত ডিজিটাল মার্কেটিং শিখতে পারবেন না সে ক্ষেত্রে আপনার অনেক দিন সময় লেগে যেতে পারে।

আর আপনি যদি প্রতিদিনের কাজ প্রতিদিন করেন এবং যে প্রতিষ্ঠানে ভর্তি হয়েছেন তাদের দিকনির্দেশনা মত চলেন তাহলে অল্প সময়ের মধ্যে আপনি ডিজিটাল মার্কেটিং শিখতে পারবে। আর আপনি যখনই কোন প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে ডিজিটাল মার্কেটিং শিখতে যাবেন। তখন ওই প্রতিষ্ঠান আপনার নির্দিষ্ট একটি ফ্রি নির্ধারণ করে থাকে। সাধারণত ডিজিটাল মার্কেটিং এর কোর্স ফি ৮০০০ থেকে ১৫ হাজার টাকা পর্যন্ত হয়ে  থাকে।

ডিজিটাল মার্কেটিং করার জন্য কি যোগ্যতার প্রয়োজন

ডিজিটাল মার্কেটিং করার জন্য কি যোগ্যতার প্রয়োজন এই কথার পরিপ্রেক্ষিতে বলা যেতে পারে যে, কোন বিশ্ববিদ্যালয় থেকে অনার্স মাস্টার্স ডিগ্রী অর্জন করে কিংবা বাংলা ইংরেজি সুস্পষ্ট ভাসি হতে হবে এমন কোন বাধ্য বাধকতা নেই। আপনার যদি ডিজিটাল মার্কেটিং করার আগ্রহ থাকে তাহলে খুব সহজেই এটি শিখতে পারবেন। তবে কিছু প্রাথমিক যোগ্যতা অধ্যক্ষ দক্ষতা থাকলে আপনার ডিজিটাল মার্কেটিং শিখতে খুব সহজ হবে।

আপনার যদি বেসিক কম্পিউটার ও ইন্টারনেটের জ্ঞান থাকে যেমন ইন্টারনেট ব্রাউজ করা, গুগল সার্চ করা ইমেইল ব্যবহার করা জানা, সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্ম সম্পর্কে ধারণা থাকতে হবে। ইংরেজি বুঝার সমর্থন কারণ ডিজিটাল মার্কেটিং এর বেশিরভাগ টুল ও রিসোর্স ইংরেজিতে থাকে, তাই সাধারণত ইংরেজি বোঝার দক্ষতা থাকা দরকার google translation বা অন্যান্য টুল ব্যবহার করে কাজ করা শিখতে পারবেন।

ডিজিটাল মার্কেটিং সম্পর্কে আগ্রহ ও ধৈর্য থাকতে হবে।, প্রতিদিন নতুন কিছু শিখতে হব, কারণ এটি পরিবর্তনশীল একটি ক্ষেত্র। ও মার্কেটিং ক্যাম্পিং চালাতে হবে। আপনি যদি উপরোক্ত এ কাজগুলো করতে পারেন এবং আপনার ডিজিটাল মার্কেটিং শিকার প্রচন্ড ইচ্ছা শক্তি থাকে তাহলে আপনি ডিজিটাল মার্কেটিং শিখতে পারবেন।

ডিজিটাল মার্কেটিং শিখতে দিনে কত ঘন্টা সময় দিতে হয়

ডিজিটাল মার্কেটিং শিখতে দিনে কত ঘন্টা সময় দিতে হয় একথা পরিপ্রেক্ষিতে বলা যায় এটি সম্পূর্ণ নির্ভর করবে আপনার বেন ক্যাপাসিটি এবং আপনার দক্ষতার উপর। আপনার যদি বেন ক্যাপাসিটি ভালো থাকে তাহলে আপনি অল্প পরিশ্রমে যেকোনো একটি বিষয় আয়ত্ত করে নিতে পারবেন। এতে করে আপনার ডিজিটাল মার্কেটিং শিখতে কম সময় লাগবে। আপনি যদি দিনে তিন থেকে চার ঘন্টা সময় দিতে পারেন প্রতিদিনের কাজ প্রতিদিন করতে পারেন তাহলে যথেষ্ট।

আর আপনার মন মানসিকতা যদি অধৈর্যশীল হয়, আপনার বেন ক্যাপাসিটি যদি দুর্বল হয় একটি কাজ একবার দেখিয়ে দিয়ে যদি করতে না পারেন। তার পিছনে যদি আপনাকে পাঁচবার ছয়বার সাতবার এরকম সময় দিতে হয়। তাহলে আপনার ডিজিটাল মার্কেটিং করাটা একটু কষ্টকর হয়ে দাঁড়াবে। ডিজিটাল মার্কেটিং শিখতে কতদিন সময় লাগবে সে সম্পর্কে বলাটা এ বিষয়ে আপনার জন্য খুবই কষ্টকর। তবে সম্মানিত পাঠ্যগণ এতে ঘাবড়ানোর কিছু নেই। মানুষ পারেনা এমন কোন কাজ নেই।

শুধুমাত্র তার ইচ্ছে শক্তি এবং কাজ করার মনোভাব যদি থাকে তাহলেই সে ডিজিটাল মার্কেটিং করতে পারবে এটা আমি মনে করি।

কোন ধরনের মানুষ ডিজিটাল মার্কেটিং করতে পারবে

কোন ধরনের মানুষ ডিজিটাল মার্কেটিং করতে পারবে এ বিষয়ে বলতে গেলে বলা যায় যে ডিজিটাল মার্কেটিং এমনই একটি প্ল্যাটফর্ম যেখানে বিভিন্ন ধরনের মানুষ কাজ করতে পারে। তবে কিছু গুণ দক্ষতা থাকলে সফল হওয়ার সম্ভাবনা বেশি থাকে। নিচে এমন কিছু বৈশিষ্ট্য দেওয়া হলো-

যে সকল ব্যক্তি প্রযুক্তির সাথে থাকতে ভালোবাসে। কম্পিউটার ও ইন্টারনেটের ব্যবহারে স্বচ্ছন্দ বোধ করে। নতুন কোন ট্রল বা সফটওয়্যার শেখার আগ্রহ রাখে। সৃজনশীল কনটেন্ট তৈরিতে আগ্রহী এমন ব্যক্তি। যারা লেখালেখি, ভিডিও তৈর, ডিজাইন বা ফটোগ্রাফিতে আগ্রহী। আকর্ষণীয় পোস্ট ব্লগ, ক্যাপশনও মার্কেটিং কন্টেন তৈরি করতে চাই এমন ব্যক্তি। যাদের সমস্যার সমাধানের দক্ষতা আছে যারা কাস্টমার বা ক্লাইনের সমস্যা সমাধান দিতে পারে।

যারা ধৈর্যশীল ও নতুন কিছু শিখতে চাই ডিজিটাল মার্কেটিং একদিনে শেখা যায় না তাই যারা ধৈর্য ধরে শিখতে পারবে। নিয়মিত গুগল, facebook ,youtube এর নতুন আপডেট সম্পর্কে জানতে আগ্রহী ব্যক্তি। যাদের ভালো যোগাযোগ দক্ষতা আছে। যারা কাস্টমার ক্লাইন্ট বা কোম্পানির সঙ্গে সহজে কথা বলতে পারে। ভালোভাবে পণ্য বা পরিষেবা উপস্থাপন করতে পারে।

ডিজিটাল মার্কেটিং করার জন্য কি ধরনের ডিভাইস ব্যবহার করা হয়

ডিজিটাল মার্কেটিং করার জন্য ভালো মানের একটি ডিভাইস থাকা দরকার। সাধারণত কম্পিউটার, ল্যাপটপ বা স্মার্টফোন এই তিন ধরনের ডিভাইস ব্যবহার করা হয় তবে কোন কাজের জন্য কোন ডিভাইসটি ভালো হবে তা নিম্নে আলোচনা করা হলো-

ল্যাপটপ/কম্পিউটারঃ

  • গুগল এড ফেসবুক এড পরিচালনা
  • ওয়েবসাইট ডিজাইন ও এসইও
  • ভিডিও এডিটিং ও গ্রাফিক্স ডিজাইন
  • ইমেইল মার্কেটিং ও কনটেন রাইটিং
এই সমস্ত কাজের জন্য ল্যাপটপ অথবা কম্পিউটার উপযুক্ত ল্যাপটপ বা কম্পিউটারের কোন স্পেসিফিকেশন ভালো তা নিম্নে দেয়া হলো-
  • প্রসেসর core i5/i7 বা Ryzen 5/7
  • RAM 8 জিবি বা বেশি গ্রাফিক্স ডিজাইন বা ভিডিও এডিটিং এর জন্য ১৬ জিবি ভালো
  • জিবি হলে ভালো।
  • গ্রাফিক্স কার্ড ডিজাইন বা ভিডিও এডিটিং এর জন্য দরকার হতে পারে।
স্মার্ট ফোন বেসিক লেভেল এর জন্য ভালো-
  • সোশ্যাল মিডিয়া ম্যানেজমেন্ট(ফেসবুক ইনস্টাগ্রাম টিক টক)
  • কন্টেনট্রেশান(ক্যানভা, কিং মাস্টার, ক্যাপকাট)
  • ছোটখাটো ভিডিও এডিটিং
  • ইমেইল মার্কেটিং এবং ব্লগিং
স্মার্টফোনের স্পেসিপশন যেমন থাকা ভালো তা নিম্নে দেয়া হলো-
  • RAM:8GBবা তার চেয়ে বেশি
  • স্টোরেঃ জ ৬৪ জিবি বা তার চেয়ে বেশি
  • প্রসেসরঃ মিড রেজাল্ট বা ফ্লেক্সি ফোন হলে ভালো

কোন ধরনের প্রতিষ্ঠানে ডিজিটাল মার্কেটিং শেখা উচিত

ডিজিটাল মার্কেটিং শেখার জন্য এমন প্রতিষ্ঠান নির্বাচন করা উচিত যেখানে আপডেট কোর্স, প্র্যাকটিকাল ট্রেনিং অভিজ্ঞ মেনটেন এবং সাপোর্ট থাকে। ভালো প্রতিষ্ঠান বেছে নেওয়ার জন্য নিচের বিষয়গুলো খেয়াল রাখা উচিত তা নিম্নে দেয়া হলো।

  • কোচ কন্টেন্ট আপডেট কিনাঃ তিনিও তো পরিবর্তন হচ্ছে, তাই প্রতিষ্ঠানটি সর্বশেষ ফ্রেন্ড অনুযায়ী কোচ আপডেট করে কিনা সেটা দেখতে হবে।
  • প্র্যাকটিক্যাল শেখার সুযোগ আছে কিনাঃ শুধু থিউরি শিখলেই কাজের দক্ষতা বাড়বে না। প্রতিষ্ঠানটি লাইভ প্রজেক্ট রিয়েল ওয়ার্ল্ড কেম্পিং বা ফিনান্সিং মার্কেটপ্লেস এ কাজ করার সুযোগ দেয় এমন প্রতিষ্ঠান বেছে নেওয়া উচিত।
  • এক্সপার্ট ট্রেনার ও ইনস্টিটিউট এক্সপেরিয়েন্সঃ যেসব প্রতিষ্ঠানের সফল মার্কেটেররা টেনার হিসেবে কাজ করে, সেগুলো বেশিভাগ কার্যকারী। তাদের বাস্তব অভিজ্ঞতা থেকে শেখার সুযোগ পাওয়া যায় এমন প্রতিষ্ঠানে নির্বাচন করা উচিত।
  • শেষের সার্টিফিকেট ও ক্যারিয়ার সাপোর্ট ঃ প্রতিষ্ঠানটি কি গুগল, ফেসবু্‌ক, মত জায়গায় সার্টিফিকেশন পেতে সাহায্য করে এছাড়া কি তারা জব বা ফিনান্সিং গাইডলাইন দেয় এ বিষয়গুলো দেখা উচিত।
  • স্টুডেন্টের রিভিউ ও সফলতার হারঃ যে সকল প্রতিষ্ঠানের ফিডব্যাক ও রিভিউ দেখে বুঝতে পারবেন সত্যি তারা ভালো মানের ট্রেনিং দেয় কিনা ,এমন প্রতিষ্ঠানে ভর্তি হওয়া উচিত।

মানুষ কেন ডিজিটাল মার্কেটিং করে

মানুষ কেন ডিজিটাল মার্কেটিং করে এটি সহজ ভাবে বলতে গেলে বলা যায় মানুষ বিভিন্ন কারণে ডিজিটাল মার্কেটিং করে বিশেষ করে অনলাইন প্লাটফর্ম দ্রুত দ্রুত বিকাশ এবং ব্যবসায়িক সুযোগের কারণে। যে সকল কারণে মানুষ ডিজিটাল মার্কেটিং করে তা নিম্নে বর্ণনা করা হলো।

  • আয় বৃদ্ধি ও ব্যবসায় সম্প্রসারণঃ ডিজিটাল মার্কেটিং এর মাধ্যমে ব্যবসা গুলো পণ্য বা সেবা আরো বেশি মানুষের কাছে পৌঁছাতে পারে, ফলে বিক্রিও লাভ বেড়ে যায়।
  • বিশ্বব্যাপী দর্শকের কাছে পৌঁছানোর সুযোগঃ অনলাইন মার্কেটিং এর মাধ্যমে শুধু স্থায়ী নয়, আন্তর্জাতিক গ্রাহকদেরও আগ্রহরণ করা যায, যা অফলাইনে তুলনায় অনেক সহজ।
  • কম খরচে বিজ্ঞাপন করাঃ ট্রেডিশনাল মার্কেটিং এর যেমন টিভি পত্রিকা তুলনায় ডিজিটাল মার্কেটিং গিয়ে অনেক কম খরচে করা যায়, তবুও এর রিটার্ন বেশি হতে পারে।
  • নির্দিষ্ট লক্ষ্য অনুযায়ী মার্কেটিং করাঃ ফেসবুক google এডস ইউটিউব ইমেইল মার্কেটিং ইত্যাদির মাধ্যমে নির্দিষ্ট টার্গেট এর কাছে সহজে পৌঁছানো যায়।
  • ব্যক্তিগত ব্যান্ড তৈরি করার সুযোগঃ অনেক ব্যক্তি নিজেদের ক্যারিয়ার গড়তে বা ইনফ্লুয়েন্সার হতে ডিজিটাল মার্কেটিং কে ব্যবহার করে, যেমন ইউটিউবার ব্লগার ফ্রিল্যান্সার বাই সোশ্যাল মিডিয়ার ইউনিফর্মসারেরা ইত্যাদি তারা ব্যক্তিগত ব্যান্ড তৈরি করার জন্য ডিজিটাল মার্কেটিং এ ব্যবহার করে থাকে।
  • প্যাসিভ ইনকামের সুযোগ তৈরি করাঃ ডিজিটাল মার্কেটিংয়ের মাধ্যমে অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং্‌ ব্লগিং ইউটিউব মনিটাইজেশন, ডাব শিপিং ইত্যাদির মাধ্যমে ইনকামের সুযোগ তৈরি করা যায়।
 

ডিজিটাল মার্কেটিং শিখে কত টাকা ইনকাম করা যায়

ডিজিটাল মার্কেটিং শিখে কত টাকা ইনকাম করা যায়, তা নির্ভর করে বিভিন্ন বিষয়ের উপর যেমন দক্ষতা অভিজ্ঞতা কাজের ধরন মার্কেটিং স্ট্যাটিজ এবং কোন প্লাটফর্ম ব্যবহার করছেন তার ওপর।   ডিজিটাল মার্কেটিং থেকে আয় করার সম্ভাবনা নিচে বর্ণনা করা হলো।
ফ্রিল্যান্সিং করে আয়ঃ আপনি যদি ফাইবার আপনার ফ্রিল্যান্সার ইত্যাদি মার্কেট প্লেসে ডিজিটাল মার্কেটিং সার্ভিস দিয়ে মাসে ৩০০ ডলার থেকে ৫০০০ প্লাস ডলার আয় করতে পারেন, এটা নির্ভর করে আপনার দক্ষতা ও অভিজ্ঞতার উপরে।
ডিজিটাল-মার্কেটিং-শিখে-কত-টাকা-ইনকাম-করা-যায়

  • এজেন্সি বা ক্লায়েন্ট ধরে কাজ করলেঃ আপনি যদি নিজেই ডিজিটাল মার্কেটিং এজেন্সি পরিচালনা করেন বা ক্লায়েন্টদের জন্য কাজ করেন, তাহলে প্রতি মাসে 1000 ডলার থেকে 10000 ডলার প্লাস ইনকাম করা সম্ভব।
  • এফিলেট মার্কেটিং থেকে আয়ঃ এফিলিয়েট মার্কেটিং এর মাধ্যমে যেমন amazon clean ইত্যাদি এইসব মাধ্যমে আপনি প্রতিদিন ১০ ডলার থেকে ৫০০ ডলার পর্যন্ত বা তার চেয়েও বেশি আয় করা সম্ভব।
  • Youtube ব্লগিং থেকে ইনকামঃ ইউটিউব মনিটাইজেশন স্পন্স ফর শিপ থেকে মাসে ২০০ ডলার থেকে 10000 প্লাস ডলার আয় করা যায়। ব্লগিং থেকে গুগল এডসেন্স, এফিলিয়েট মার্কেটিং ও স্পন্সিপ মিলিয়ে মাসে ৫০০ ডলার থেকে ২০ হাজার প্লাস ডলার ইনকাম করা সম্ভব।
  • সোশ্যাল মিডিয়া মার্কেটিং ও ম্যানেজমেন্টঃ ফেসবুক ইনস্টাগ্রাম লিংডম টিক টক মার্কেটিং বা ম্যানেজমেন্ট সার্ভিস দিয়ে মাসে ৩০০ ডলার থেকে 5000 ডলার প্লাস মাসিক আয় করা সম্ভব।
শুরুতে আয় কম হতে পারে কিন্তু দক্ষতা ও অভিজ্ঞতা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে ইনকাম বাড়বে। আপনি যদি একাধিক ইনকাম সোর্স তৈরি করেন তাহলে মাসে 5000 ডলার বা তার চেয়েও বেশি আয় করা সম্ভব এটি নির্ভর করবে আপনার দক্ষতা ও কাজের ধরনের উপর।

উপসংহার/ডিজিটাল মার্কেটিং শিখতে কত দিন সময় লাগে

ডিজিটাল মার্কেটিং শিখতে কত দিন সময় লাগে এই সম্পর্কে এতক্ষণ আমরা বিস্তারিত আলোচনা করলাম এবং ডিজিটাল মার্কেটিং শিখতে প্রয়োজনীয় সকল বিষয়ে তথ্য দেওয়ার চেষ্টা করলাম।
আমার এই ওয়েবসাইটটি বিভিন্ন বিষয়ের উপরে ব্লক পোস্ট করা হয়। এতক্ষণের আলোচনায় আশা করি আপনি তথ্য পেয়েছেন এবং উপকৃত হয়েছন। নিয়মিত আপনারা যদি এই ওয়েবসাইটটি ভিজিট করেন তাহলে বিভিন্ন বিষয়ের উপরে তথ্য পাবেন। আপনাদের সুস্থতা কামনা করে, আজ এখানেই শেষ করছি।


এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

www.alltipsatoz.comনীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url