আদা খাওয়ার আশ্চর্য উপকারিতা ও অপকারিতা সম্পর্কে ৩০ টি তথ্য জানুন

আদার আশ্চর্য উপকারিতা ও অপকারিতা সম্পর্কে আজ আমরা অসাধারণ কিছু তথ্য জানতে চলেছি। তরকারির প্রয়োজনীয় মসলা হিসেবে আদার ব্যবহার খুবই স্বাভাবিক ভাবে হয়ে থাকে, অন্যান্য ভাবেও আমরা আদা ব্যবহার করে থাকি।

আদা-খাওয়ার-আশ্চর্য-উপকারিতা-ও-অপকারিতা

আদার উপকারী ও অপকারী বিভিন্ন বিষয়ের আজ আমরা জানাতে চলেছি, আদা খেলে পুরুষদের জন্য কি উপকার হয়, আদা খেলে কি উপকার পাওয়া যাবে, রাতে আদা খেলে কি হয় ইত্যাদি বিষয়। তাহলে আর দেরি না করে, চলুন শুরু করা যাক ।

পেজ সূচিপত্রঃ আদা খাওয়ার আশ্চর্য উপকারিতা ও অপকারিতা

আদা খাওয়ার আশ্চর্য উপকারিতা 

আদার আশ্চর্য উপকারিতা সম্পর্কে বলতে গেলে, খুবই জনপ্রিয় এবং উপকারী মসলা হিসেবে আদা আমাদের সমাজে ব্যবহার হয়ে আসছে। আদা পছন্দ করে না এমন মানুষ খুঁজে পাওয়া মুশকিল। আদার ঝাঁঝালো স্বাদ আমাদের তরকারির স্বাদ ও গন্ধ উন্নত করতে সাহায্য করে। কি কি ভালো ফলাফল সৃষ্টি করতে পারে সে বিষয়ে এখন আমরা কিছু তথ্য জানবো।

  • আদাতে রয়েছে জিংরায়ুর নামক একটি উপাদান এই উপাদানটি আদার প্রধান সক্রিয় যৌগ। এটি প্রদাহ কমায়, ব্যথা পোষণ করে এবং অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট হিসেবে কাজ করে।
  • আদতে রয়েছে সোগাউল নামক উপাদান মূলত একটি শুকনো আদাতেই বেশি থাকে, এ উপাদানটি বমি ভাব দূর করে অন্ত্রের জ্বালা কমায় এবং হজমে শক্তি বৃদ্ধি করে।
  • আদার মধ্যে থাকা প্যারাডল নামক উপাদান ক্যান্সার প্রতিরোধের সহায়ক এবং এন্টিঅক্সিডেন্ট হিসেবে কাজ করে।
  • আদতে রয়েছে জিং জেরণ নামক উপাদান যা দেহের ফ্রী রেডিকেল দূর করতে সহায়তা করে। এটি অন্তে ব্যথা এবং গ্যাস্ট্রিক সমস্যায় কার্যকর। 
  • আধার মধ্যে বেটা -বিশাবলিন নামক উপাদান বৈশিষ্ট্যযুক্ত, যা ঘাড়ের ব্যথা কমাতে সাহায্য করে।
  • আদার মধ্যে থাকা ক্যারিওফেলিন নামক উপাদান ব্যথা উপসনে কার্যকর এবং এটি স্নায়ু শিথিল করে।
  • আদার মধ্যে নিরলি ডন উপাদানটি রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে ও ভাইরাস প্রতিরোধে সহায়ক হোতা করে।
  • জিনিজারিং উপাদানটি হজমে ভালো এবং অন্তর পরিষ্কার এ সাহায্য করে।
  • ক্যাম্পেন নামক আদার উপাদানটি হৃদরোগ প্রতিরোধে সহায়ক এবং রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণ করে।
  • তাদের মধ্যে থাকা সেলিনিন নামক উপাদান দেহে প্রদেহ প্রতিরোধ করে এবং ত্বকের উজ্জ্বলতা বাড়ায়।
  • লিনা লন নামক উপাদান মানসিক চাপ কমায় এবং ঘুমের মান উন্নত করে দীর্ঘক্ষন ঘুমাতে সাহায্য করে।
  • ফার্নিসল নামক উপাদান কি ব্যাকটেরিয়া এবং ছত্রাক প্রতিরোধে কাজ করে।
  • আলফা পিনিক নামক আধারি উপাদানটি শ্বাসতন্ত্র পুরস্কার করে এবং কমায়।
  • বিটা পিনি উপাদান উদারাস করে এবং স্মৃতিশক্তি উন্নত করে।
  • যারা নিওল উপাদান এবং অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট বৈশিষ্ট্য রয়েছে।
  • সিট্রাল নামক আধারের উপাদান লিভার পরিষ্কার এর সহায়তা করে এবং মুদ্রা বর্ধক হিসেবে কাজ করে।
  • বর্ণিয় উপাদানটি রক্ত চলাচল উন্নত করে এবং হজমের সহায়তা করে।
  • উপাদানটি দাঁতের ব্যথা উপশনে ব্যবহৃত হয় এবং জীবাণু ধ্বংস করে।
  • জিনজারল ৬উপাদানটি বিশেষ করে প্রদাহ ও ক্যান্সার প্রতিরোধে কার্যকর ভূমিকা রাখে।
  • জিনজারঅল ৮ নামক আদার উপাদানটি বমিভাব মাথাব্যথা এবং হজম শক্তি জনিত সমস্যা দূর করে।
  • উপাদান দেহের ইনসুলিন সংবেদনশীলতা বাড়াতে সাহায্য করে এবং ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে।
  • আলফা হোমলিন আদরে উপাদান শরীরের ফ্যাট ব্রান্ড করতে সাহায্য করে এবং ক্ষুধা নিয়ন্ত্রণে রাখে।
  • মেন্থল নামক আধারি উপাদানটি গলা ব্যথা কমাতে সাহায্য করে এবং শ্বাসযন্ত্রের প্রশান্তি আনে।
  • জিনজার সোডিউল আদারই উপাদানটি চর্মরোগ ও ফাংগাস ইনফেকশন প্রতিরোধে সহায়ক।
  •  আদার মধ্যে থাকা উপাদান চাপপ্রাস করে এবং হৃদপিন্ডের কার্যকারিতা উন্নত করে ।
  • মানসিক চাপ কমায় এবং দুশ্চিন্তা ও অর্ধেক কমায়।
  • নারীদের পিরিয়ডের সমস্যায় আধা খেলে আরাম পাওয়া যায়।
  • আদাতে এন্টিঅক্সিডেন্ট উপাদানে ভরপুর যা কোষের ক্ষয় রোধ করে।
  • মুখের দুর্গন্ধ দূর করতে আদা চিবিয়ে খেতে হবে। 
  • বাতাসে জন্ম নেওয়া জীবাণু থেকে রক্ষা করে এনটি ব্যাকটেরিয়া প্রবাহ রয়েছে।

পুরুষদের জন্য আদার উপকারিতা

পুরুষদের-জন্য-আদার-উপকারিতা
  • রক্ত সঞ্চালন উন্নত করে যা যৌন ক্ষমতা বৃদ্ধিতে সহায়তা ভূমিকা রাখে।
  • শুক্রাণুর সংখ্যা ও গতিশীলতা বৃদ্ধি করে, ফলে প্রজনন ক্ষমতা উন্নত হয়।
  • ব্যায়ামের পরে মাংস বেশি ব্যথা ও ক্লান্তি কমাতে সাহায্য করে।
  • টুরিস্টেরল হরমোন মাত্রা বাড়াতে সহায়ক যা পুরুষত্ব বজায় রাখতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।
  • সেক্সচুয়াল পারফরম্যান্স উন্নত করে নিয়মিত আদা খাওয়ার ফলে।
  • প্রোস্টেট ক্যান্সার প্রতিরোধের সহায়ক পরে এতে থাকা এন্টিঅক্সিডেন্ট উপাদানের কারণে।
  • রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে বিশেষ করে পুরুষদের শারীরিক দুর্বলতা কমায়।
  • মূত্রনালী সুস্থ রাখে বার্ধক্য জনিত সমস্যার বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে তুলি।
  • আদা খেলে মানসিক চাপ কমে যা যৌন ইচ্ছা বৃদ্ধিতে সহায়ক হয়।
  • রক্তে সুগার ও কোলেস্টেরল মাত্রা কমায় হলে হার্ট হেলথ ভালো থাকে।
  • বীর্য গাড়ো ও স্বাস্থ্যবান করে যা সন্তান ধারণের সহায়ক হতে পারে।
  • শরীরকে চাঙ্গা ও কর্মকম রাখি বয়সজনিত দুর্বলতা কমায়।
  • নিত্যন্ত ও কোমর ব্যথা হ্রাস করে যা অনেক পুরুষের  সাধারণ সমস্যা।
  • আদার অ্যান্টি ইন কিলোমিটারে গুণ গাটের ব্যথা কমাতে কার্যকর।
  • বাত ব্যথা ও অস্থিসন্ধির ব্যথা থেকে মুক্তি দেয় বিশেষ করে বয়স বাড়ার সাথে।
  • হজম শক্তি বৃদ্ধি করে, যার শক্তি উৎপাদন সহায়ক ভূমিকা রাখে।
  • লিভার পরিষ্কার রাখে, ফলে শরীরে বিষাক্ত পদার্থ জমে না।
  • রক্ত চলাচলের কারণে পুরুষের চেহারা যৌবনের দীপ্ত আনতে সাহায্য করে।
  • ঘুমের মান উন্নত করে যার প্রভাবে যৌন শাস্তিও করে।
  • বাতাসে বা পরিবেশে থাকা দূষণের প্রভাব থেকে শরীর রক্ষা করে।
  • ভারসাম্য বজায় রাখতে সাহায্য করে বিশেষ করে যাদের হরমোন জনিত সমস্যা আছে।
  • শরীরের এনার্জি লেভেল বজায় রাখে, যা দৈনন্দিন জীবন ও সম্পর্কও প্রভাব ফেলে।

গর্ভাবস্থায় আদা খাওয়ার উপকারিতা

গর্ভ অবস্থায় আদা খাওয়ার কিছু সাধারণ গুরুত্বপূর্ণ উপকারিতা সম্পর্কে নিম্নে আলোচনা করা হলো
  • বমি ভাব ও সকাল বেলার অসুস্থতা দূর করেঃ গর্ভাবস্থায় অনেক নারী সকাল বেলায় বমি ভাব বা মর্নিং সিকনেছে ভুবেন। এমন সময় এক চা চামচ আদার রস বা আদা চা খেলে এই সমস্যা থেকে দ্রুত আরাম পাওয়া যায়। এটি মস্তিষ্কের বমির সংকেত কমিয়ে দেয।

  • হজম শক্তি বৃদ্ধি ও গ্যাস্ট্রিকের সমস্যা কমায়ঃ গর্ভকালীন হরমোনের পরিবর্তনে হজমের সমস্যা বা এসিডিটি দেখা দেয়। আদায় থাকা উপাদানটি হজম এনজাইমকে সক্রিয় করে, হলে গ্যাসটিক ও বদ হজমের সমস্যা সহজেই দূর হয়ে যায়।

  • খোদাহ ও ব্যথা কমাতে সাহায্য করেঃ আদায় রয়েছে শক্তিশালী এন্টি ইনফ্লুয়মেটরি উপাদান, যার শরীরের জয়েন্টে ব্যথা কোমর ব্যথা ইত্যাদি কমাতে সাহায্য করে। গর্ভকালীন সময় এ ধরনের ব্যথা সাধারণত আদা প্রাকৃতিকভাবেই তা নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে।
  • রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণ ও রক্ত চলাচল স্বাভাবিক রাখেঃ আদা রক্তনালী শিথিল করে, হলে উচ্চ রক্তচাপের ঝুঁকি কমে এবং রক্ত চলাচল উন্নত হয়। শিশুর সুস্থতায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।
গর্ভাবস্থায় আদা পরিমাণমতো খাওয়া নিরাপদ হলেও, আদা গ্রহনের আগে ডাক্তারের পরামর্শ নেওয়া উচিত।

১০০ গ্রাম আদার পুষ্টি উপাদান
পুষ্টি উপাদান প্রতি 100 গ্রাম
ক্যালরি ৮০ কিলোক্যালরি
পানি ৭৮.৯৯ গ্রাম
প্রোটিন ১.৮২ গ্রাম
চর্বি ০.৭৫ গ্রাম
কার্বোহাইড্রেট ১৭.৭৭ গ্রাম
ফাইবার ২.০ গ্রাম
চিনি ১.৭ গ্রাম
-ক্যালসিয়াম ১৬ মিলিগ্রাম
আইরন
ম্যাগনেসিয়াম ৪৩ মিলিগ্রাম
ফসফরাস ৩৪ মিলিগ্রাম
পটাশিয়াম ৪১৫ মিলিগ্রাম
সোডিয়াম ১৩ মিলিগ্রাম
জিংক ০.৩৪ মিলিগ্রাম
ভিটামিন সি ৫ মিলিগ্রাম

আদা খাওয়ার কিছু স্বাস্থ্যকর ও কার্যকর নিয়ম

আদার শরবত-আপনি যদি বানাতে চান তাহলে আপনাকে এক চা চামচ আদার রস নিতে হবে তার সঙ্গে এক চা চামচ লেবুর রস ১ থেকে ২ চামচ মধু এক গ্লাস ঠান্ডা বা কুসুম গরম পানি সঙ্গে সব উপাদান গুলো মিশিয়ে শরবত বানিয়ে দিনে যে কোন সময় পান করুন তবে দিনে এক গ্লাসের বেশি খাওয়া ঠিক নয়।

গরম পানিতে আদার সিদ্ধ করে খাওয়া-আপনি যদি গরম পানিতে আদা সিদ্ধ করে খেতে চান তাহলে প্রথমে আপনাকে এক কাপ পানি ফুটিয়ে নিতে হবে, তার মধ্যে পাঁচ থেকে সাত টুকরো আদা কুচি করে কেটে দিতে হবে। তারপর পাঁচ থেকে সাত মিনিট ফুটিয়ে পানিটি পান করুন। আপনি চাইলে সঙ্গে মধু মিশাতে পারেন।

আদা চিবিয়ে খাওয়া-আপনি যদি সরাসরি আদা চিবিয়ে খেতে চান তাহলে আপনাকে এক টুকরো ফ্রেশ আদা ছোট ছোট করে কেটে নিতে হবে, তারপরে সেগুলো খুব সুন্দর করে পানিতে পরিষ্কার করে নিতে হবে। পরিষ্কার করার পরে আপনি একটি করে টুকরো সরাসরি চাপিয়ে খেতে পারেন এতে করে আপনার মুখের দুর্গন্ধ দূর হবে এবং হজম শক্তি ও বমি ভাব কমে যাবে।

আদা ও লবণ মিশিয়ে খাওয়া-এক টুকরো আদা ও সামান্য লবণ একসাথে চিবিয়ে খেতে পারেন এতে খোদা বাড়ে ও হজমের সহায়তা করে।
আদা দুধে ফুটিয়ে খাওয়া-এক কাপ দুধে কুচানো আদা দিয়ে পাঁচ মিনিট ফুটিয়ে খেতে পারেন এতে শরীরের শক্তি বাড়ায় এবং শীতকালে বিশেষ উপকার করে।

আদা খাওয়ার অপরিকতা

আদা আমাদের অনেক উপকার করে থাকে। তবে পরিমাণের অতিরিক্ত খেলেই উপকারের পাশাপাশি আমাদের শরীরে অনেক পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া বা ক্ষতি হতে পারে। আদা খাওয়ার কিছু অপরিকতা নিম্নে তুলে ধরা হলো-
পাকস্থলীতে জ্বালাপোড়া করাঃ আদায় থাকা উপাদান পাকস্থলীর এসিড উৎপাদন বাড়িয়ে দিয়ে গ্যাস্ট্রিক এসিডিটি ও পাকস্থলীর জ্বালাপোড়া সৃষ্টি করতে পারে। রক্তপাতের ঝুঁকিঃ আদায় থাকা সোগাওল উপাদান অতিরিক্ত খেলে রক্ত পাতলা হয়ে যায়, ফলে কাঁটা ছেড়া বা সার্জারি সময় রক্তপাতের আশঙ্কা বেড়ে যায়।

রক্তচাপ অতিরিক্ত কমে যেতে পারে-যারা উচ্চ রক্তচাপের ওষুধ খান তাদের ক্ষেত্রে আদালতিরুক্ত খেলে রক্তচাপ খুব নিচে নেমে যেতে পারে। গর্ভ অবস্থায় অতিরিক্ত খেলে গর্ভপাতের ঝুঁকি বাড়তে পারে, যার ফলে গর্ভপাত বা সময়ের আগেই সন্তান প্রসব হতে পারে।

ওষুধের সাথে পারস্পরিক প্রতিক্রিয়াঃ ব্লাড প্রেসার ডায়াবেটিস বা এন্টি টি ওষুধের সাথে আদা খাওয়ার পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া তৈরি করতে পারে। মুখের জালা ভাবঃ আদা সরাসরি বেশি খেলে মুখের মধ্যে জ্বালাবা জিব্বায় জ্বালা সৃষ্টি হতে পারে।

হৃদপিন্ডে অস্বস্তি অনুভব করাঃ কিছু ক্ষেত্রে বেশি আদা খাওয়ায় হীন স্পন্দন অস্বাভাবিক করে দিতে পারে, বিশেষ করে হৃদ রোগীদের জন্য। তকে এলার্জি বা চুলকানি অতিরিক্ত আদা খাওয়ার ফলে প্রতিক্রিয়া দেখা দিতে পারে।

ওজন হ্রাস জনিত দুর্বলতাঃ আদা মেটাবলিওজোম বাড়ায়, যা অনেকের ক্ষেত্রে অতিরিক্ত ওজন হ্রাস ও দুর্বলতার কারণ হতে পারে।

প্রতিদিন রাতে আদা খেলে কি হয

পুরুষদের-জন্য-আদার-উপকারিতা

প্রতিদিন রাতে আদা খাওয়ার অনেক উপকারিতা রয়েছে, তবে কিছু সাধারন উপকারিতা লক্ষ্য করা যায়। নিচে প্রতিদিন রাত্রে আদা খেলে কি হয় এই সম্পর্কে বিস্তারিতভাবে আলোচনা করা হলো।
প্রতিদিন রাত্রে আদা খাওয়ার আটটি উপকারিতা লক্ষ্য করা যায় ।যেমন-

  • হজমের সহায়তা করেঃউন্নত করে এবং গ্যাসবোধ হজম পেট ফাঁপা কমাতে সাহায্য করে। রাত্রে খাবারের পরে আদা খেলে পেট হালকা থাকে ও ঘুম ভালো হয়। যাদের রাত্রে ঘুম কম হয় তারা প্রতিদিন এক টুকরা আদা ঘুমানোর আগে খেয়ে নিলে ভালো ঘুম হবে আশা করা যায।
  • ঠান্ডা কাশি ভালো করেঃ আদায় রয়েছে এন্টি ভাইরাল ও এন্টি ইনফ্লামেটরি গুণ, যা ঠান্ডা কাশি ও গলা ব্যথা থেকে মুক্তি দেয়। রাত্রে আদা চা বা আদা মধু খেলে ঠান্ডা কাশি আরাম পাওয়া যায়।
  • ঘুম ভালো হয়ঃ আদা স্নায়ু শীতল করে এবং মানসিক চাপ কমায়, ফলে গভীর ও শান্তিপূর্ণ ঘুম হয়।
  • হিউমিনিটি সিস্টেম শক্তিশালী করেঃ আদায় থাকা এন্টিঅক্সিডেন্ট শরীরে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায় যা রাতের সময় শরীরের রিফ্রেশ করতে সাহায্য করে।
  • চর্বি পোড়াতে সাহায্য করেঃ অনেক গবেষণায় দেখা গেছে যে আদার শরীরের মেট্রোবলিজম বাড়ি ওজন কমাতে সাহায্য করে। রাতে খেলে তা বিশেষভাবে উপকার হতে পারে।
  • বমি ভাব ও বমি প্রতিরোধ করেঃ যারা রাত্রে গ্যাস্ট্রিক বা অ্যাসিডিটির কারণে বমি ভাব অনুভব করে, তারা যদি রাতে আদা খায় তাহলে অনেক উপকার পাবে।
  • ব্যথা কমায়ঃ আদার অ্যান্টি ইনফ্লামেটরি উপাদান শরীরের ব্যথা কমায়, বিশেষ করে সন্ধ্যা বা রাত্রি শরীরের ব্যথা কমাতে সাহায্য করে।
  • রক্তের চিনির পরিমাণ নিয়ন্ত্রণে রাখেঃ নিয়মিত আধা খাওয়া রক্তের শর্করা মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখতে সাহায্য করতে পারে, যা ডায়বেটিস রোগীদের জন্য খুবই উপকার। বিশেষ করে আদার যদি রাত্রে খাওয়া যায় তাহলে এইসব উপকারগুলো পাওয়া যাবে।

আদা চিবিয়ে খেলে কি কি উপকার হয় 

আদা চিবিয়ে খেলে বিভিন্ন রকম উপকার পাওয়া যায় যেমন মুখে রুচি বাড়ে এবং বদহজম রোধে আদা চিবিয়ে খাওয়া হয়। আপনাদের কারো যদি অধিক সর্দি কাশি, আমসা, জন্ডিস, এর ঠাপার মত সমস্যা হয়ে থাকে তাহলে আদার রস করে খেতে পারেন। 

শুধু তাই নয় আদা আপনাদের গোপন সমস্যা দূর করতে এটি একটি মহা ঔষধ হিসেবে কাজ করে। হৃদ যন্ত্রের কার্যকারিতা ঠিকমত কাজ করতে আধা সাহায্য করে।

আদা খেলে কি রক্তচাপ কমে

হ্যাঁ, আদা খেলে রক্তচাপ কিছুটা কমতে পারে। কারণ আদার মধ্যে থাকা পাখি উপাদান যেমন পটাশিয়াম ও ম্যাগনেসিয়াম রক্তনালীগুলোকে শীতল করতে সাহায্য করে, ফলে রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে রাখতে সহায়ক হয়। এছাড়াও আদা রক্তে জমাট বাধা প্রতিরোধে কাজ করে এবং রক্ত সঞ্চালন উন্নত করে।

আদা রক্তনালীর উপর চাপ কমায়, যা উচ্চ রক্তচাপ কমাতে সাহায্য করতে পারে। তবে যাদের রক্তচাপ খুবই কম বা রক্তচাপ ওষুধে নিয়ন্ত্রিত তাদের চিকিৎসকের পরামর্শ ছাড়া অতিরিক্ত আদা খাওয়ার মোটেই ঠিক নয়, কারণ এটি রক্তচাপ আরও নিচে নামিয়ে দিতে পারে। সব সময় পরিমিত মাত্রায় খাওয়ায় ভালো।

উপসংহার/আদা খাওয়ার আশ্চর্য উপকারিতা ও অপকারিতা 

এতক্ষণ আমরা আদা খাওয়ার উপকারিতা ও অপকারিতা সম্পর্কে জানলাম। আদা খেলে আমাদের কি কি উপকার হয়। আদা আমাদের কি ক্ষতি করে, আদা চিবিয়ে খেলে কি কি উপকার পাওয়া যায়, আদা কখন খেলে সবচেয়ে বেশি উপকার পাওয়া যায়। উক্ত পোস্ট থেকে আমরা অনেক তথ্য পেয়েছি, আশা করি এ থেকে আপনাদের কিছুটা হলেও উপকার হয়েছে।

এই ওয়েবসাইটে বিভিন্ন বিষয়ের উপরে ব্লক লেখা হয়। নিয়মিত যদি আপনি ভিজিট করেন তাহলে বিভিন্ন বিষয়ের উপরে তথ্য পেয়ে উপকৃত হবেন। আপনাদের সুস্থতা কামনা করে আজ এখানেই শেষ করছি।






এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

www.alltipsatoz.comনীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url