শিমুল মূল খাওয়ার অসাধারণ২০টি উপকারিতা সম্পর্কে বিস্তারিত জানুন


 শিমুল গাছ একটি ওষুধি গাছ, যার মূল ছাল পাতা ফুল ও ফল বিভিন্ন উপকারী গুনাগুন সম্পন্ন। শিমুল গাছের মূল আয়ুর্বেদিক ও ইউনানী চিকিৎসালয় বহুদিন ধরে ব্যবহৃত হয়ে আসছে । এটি বিভিন্ন রোগের চিকিৎসায় ব্যবহৃত হয়।

শিমুল-মূল-খাওয়ার-২০-টি-উপকারিতা

 এবং শরীরের জন্য অনেক উপকার বয়ে আনে।সঠিক সময়ে শিমুল গাছের মূল গ্রহণ করলে এটি শরীরের বিভিন্ন সমস্যা সমাধান করতে পারে এবং সুস্থ জীবন নিশ্চিত করতে সাহায্য করে। নিচে শিমুল মূল খাওয়া উপকারিতা দেয়া হলো-

শিমুল মূল খাওয়ার অসাধারণ২০টি উপকারিতা সম্পর্কে বিস্তারিত জানুন  

শিমুল মূল খাওয়ার২০টি উপকারিতা

  • রক্ত পরিশোধন করে-শরীর থেকে বের করে রক্তকে পরিষ্কার রাখে।
  • রক্তপাত বন্ধ করে-অভ্যন্তরীণ রক্তক্ষরণ ও অতিরুক্ত মাসিক স্রাব কমাতে সাহায্য করে থাকে।
  • হজম শক্তি বৃদ্ধি করে-বদহজম গ্যাস ও অবলম্ব দূর করতে শিমুল মূল খুবই কার্যকর।
  • ডায়রিয়া ও আমোসা নিরাময় করতে-অন্তরের সংক্রমণ কমিয়ে ডায়রিয়া ও আমুসা সরাই।
  • পাইলস অর্শ নিরাময়ের সহায়ক-মলদ্বারের ব্যথা ও রক্তপাত কমাতে শিমুল মূল সাহায্য করে।
  • প্রস্রাবের সমস্যা দূর করে-প্রস্রাবের জ্বালাপোড়া ও সংক্রমণ কমাতে শিমুল মূল খুবই কার্যকর।
  • কিডনিয়া লিভার সুরক্ষা রাখে-কিডনি ও লিভারের কার্যকারিতা বাড়াতে শিমুল মোড় সহায়ক।
  • যৌন শক্তি বৃদ্ধি করে-বাড়াতে শিমুল মূল খুবই কার্যকর।
  • শক্তিশালী করে-দুর্বলতা ও অবসাদ কমিয়ে শক্তি যোগায়।
  • ওজন বৃদ্ধিতে সাহায্য করে-অপুষ্টি দূর করে স্বাস্থ্য ভালো রাখে।
  • ত্বকের রোগ সরাই-ফোঁড়া, এলার্জি ও একজিমার মত সমস্যা শিমুল মূল খুবই উপকারী।
  • চুলের জন্য উপকারী-চুলের গোড়া মজবুত করে ওর চুল পড়া কমায়।
  • সর্দি কাশি কমায়-ঠান্ডা, কাশি ও শ্বাসকষ্টে ভালো কাজ করে থাকে।
  • শরীর ঠান্ডা রাখে-অতিরিক্ত গরমে শরীর ঠান্ডা রাখতে সহায়তা করে।
  • ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণ করে-রক্তের শর্করা মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখতে শিমুল মূল সাহায্য করে।
  • ক্ষত নিরাময়ের সহায়ক-শরীরের ছোট বড় ক্ষত দ্রুত শুকাতে সিম্বল সাহায্য করে।
  • শরীরে ব্যথা কমায়-জয়েন্ট পেইন ও পেশির ব্যথা উপশনে শিমুল মূল সহায়ক।
  • রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়-শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করতে শিমুল মূল সাহায্য করে।
  • ঘুমের গুণগত মান উন্নত করে-মানসিক প্রশান্তি দেয় এবং অনিদ্রা দূর করে।

সঠিকভাবে গ্রহণ করলে এটি শরীরের জন্য অত্যন্ত উপকারী হতে পারে তবে অতিরিক্ত পরিমাণে গ্রহণ না করায় উচিত।

আরো পড়ুন: কালোজিরা খাওয়ার উপকারিতা ও অপকারিতা সম্পর্কে ৩০ টি তথ্য জানুন

শিমুল মূল খাওয়ার নিয়ম এবং কতদিন পর পর এটি খাওয়া উচিত 

শিমুল মূল এর ইংরেজি Cotton root থেকে এসেছে। এটি এমন একটি উদ্ভিদ অংশ যা স্বাস্থ্য গুণের জন্য পরিচিত। এটি মূলত আয়ুর্বেদিক এবং হোমিওপ্যাথি চিকিৎসায় ব্যবহার হয়ে থাকে। তবে শিমুল মূল খাওয়ার আগে কিছু বিষয়ের প্রতি লক্ষ্য রাখা দরকার। 

শিমুল মূল খাওয়ার নিয়ম ঃ

শিমুল মূল তাজা বা কাঁচা খাওয়া উচিত নয়। সাধারণত এটি শুকিয়ে পাউডার হিসেবে ব্যবহারিত হয়। মনের মূল শুকিয়ে গুঁড়ো তৈরি করে তার পরিমাণ সামান্য মাত্রায় দিনে ১ থেকে ২ গ্রাম খাওয়া যেতে পারে। চাবা অন্য কোন খাদ্যদ্রব্যের মাধ্যমে শিমুল মূলের গুড়া চা বা অন্যান্য খাদ্যদ্রব্যের সাথে মিশিয়ে খাওয়া যেতে পারে এটি সাধারণত হজমের সমস্যা গ্যাস এবং পেটের অন্যান্য রোগের জন্য সাহায্য করে থাকে। 

কতদিন পর পর খাওয়া উচিত 

এমন মন সাধারণত চাঁদ থেকে সাত দিন পর পর সেবন করা উচিত। এটি ব্যবহারের ফলে কোন পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি হলে খাওয়া বন্ধ করে দিন। অনুপাস্য প্রতিক্রিয়া দেখা না দিলে প্রয়োজন অনুযায়ী ডোজ বাড়ানো বা কমানো যেতে পারে, তবে দীর্ঘমেয়াদি ব্যবহারের ক্ষেত্রে একজন চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া খুবই গুরুত্বপূর্ণ। 

বিশেষ সতর্কতা ঃ

শিমুলের মূলে ক্রনিকস উপাদান থাকতে পারে, যা অতিমাত্রায় ব্যবহারের ক্ষেত্রে আপনার ক্ষতি হতে পারে। বিশেষ করে যদি কেউ গর্ভ বতী হয় বা কারো শরীরে অ্যালার্জি থাকে তাহলে শিমুলের মূল খাওয়ার আগে অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া উচিত।

শিমুলের মূল কাঁচা অবস্থায় খেলে উপকার পাওয়া যাবে কি 

শিমুলের মূল কাঁচা অবস্থায় খেলে উপকার পাওয়া যাবে কিনা। এ প্রশ্নটি অনেকের মনে জাগে। প্রশ্নটি অনেক সুন্দর যা সবার জানার প্রয়োজন। শিমুলের মূল এটা এমন একটি জিনিস যা আজীবন একই রকম গুনাগুন দিয়ে থাকে। এটা পুরুষদের জন্য খুবই উপকারী। কারণ শিমুলের মূল বীর্য ঘন এবং সময় বৃদ্ধি করার জন্য ১০০% কার্যকারী এবং পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া মুক্ত একটি ঔষধি বৃক্ষ। এটা খুঁজে পাওয়া গ্রাম অঞ্চলে কিছুটা সহজ হলেও শহরে মধ্যে খুঁজে পাওয়া খুবই কঠিন। 

আমরা যারা শহরে বসবাস করি বিবাহিত এবং অবিবাহিত যুবক এবং পুরুষের যাদের এটি খাওয়া প্রয়োজন কিন্তু কোথায় পাবেন ভাবছেন, আপনারা দারাজ থেকে অর্ডার করে শিমুল মূলের পাউডার পেতে পারেন। এটা এমন একটি পাউডার বীর্য ঘন এবং বৃদ্ধি করার জন্য ১০০% কার্যকারী এবং পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া মুক্ত। শিমুল মূল কাঁচা অবস্থা খেলে উপকার পাওয়া যাবে এতে কোন সন্দেহ নেই। কারণ শিমুল মূলে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে পুষ্টি উপাদান। যেমন 

  • ভিটামিন এ -যা দৃষ্টিশক্তি বৃদ্ধির জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। 
  • ভিটামিন সি -যা রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধিতে কার্যকরী। 
  • খনিজ পদার্থ ক্যালসিয়াম আয়রন ফরফরাজ ম্যাগনেসিয়াম এবং পটাসিয়াম সহ বিভিন্ন খনিজ পদার্থ যার শরীরের বিভিন্ন অঙ্গ পতঙ্গের স্বাস্থ্যের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ। 

শিমুল মূল কাঁচা অবস্থায় খেলে উপকার পাওয়া যাবে কি

শিমুল মূল কাঁচা অবস্থায় খেলে শরীরের যে সকল উপকার পাওয়া যায় তা নিম্নে আলোচনা করা হলো। 

  • দৃষ্টিশক্তি বৃদ্ধি: শিমুল মূলে থাকা ভিটামিন এ দৃষ্টিশক্তির বৃদ্ধিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে থাকে। 
  • রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি: শিমুল মূলে থাকা ভিটামিন সি রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধিতে কার্যকরী। 
  • হজম শক্তি বৃদ্ধি:শিমুল মূলে থাকা খাইবার আমাদের হজম শক্তি বৃদ্ধিতে সহযোগিতা করে। 
  • রক্তশূন্যতা দূরীকরণ: শিমুল মূলে থাকা আইরন আমাদের রক্তশূন্যতা দূর করতে কার্যকরী ভূমিকা পালন করে। 
  • ব্যথা উপশম: শিমুল মূলে থাকা অ্যান্টি ইনফ্লামেটরি উপাদান শরীরের ব্যথা উপশম করতে খুবই গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। 
  • সতর্কতা: শিমুল মূল কাচা অবস্থায় খাওয়া যাবে তবে খাওয়ার আগে প্রথমে ভালোভাবে ধুয়ে নিতে হবে। তারপর শিমুল মূলকে ছোট ছোট করে কেটে নিতে হবে। এরপর আচা অবস্থায় খেতে পারবেন। 

শিমুল মূল কাঁচা অবস্থায় খেলে কোন অসুবিধা হওয়ার কথা নয়, তবে যদি কোন অসুবিধা হয়, তাহলে শিমুল মূল সিদ্ধ করেও খাওয়া যায়। আপনি যখন শিমুল মূর্তি সিদ্ধ করবেন তখন পরিমাণ মতো পানি দিয়ে সিদ্ধ করতে হবে। যখন সিদ্ধ হয়ে যাবে তখন পানিতেফেলে শুধু মুলটি খেতে হবে। শিমুল মূল কাঁচা অবস্থায় খেলে কোন পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া হওয়ার সম্ভাবনা নেই। তবে আপনি যদি অতিরিক্ত পরিমাণে খেয়ে ফেলেন তাহলে পেট খারাপ হওয়ার সম্ভাবনা থাকে।

প্রতিদিন শিমুল মূল খাওয়ার উপকারিতা

শিমুল গাছের মূল আয়ুর্বেদিক ক ও প্রাকৃতিক চিকিৎসায় বহুদিন ধরে ব্যবহার হয়ে আসছে। এটা বিভিন্ন স্বাস্থ্য উপকারিতা প্রদান করে, তবে প্রতিদিন নিয়মিত গ্রহণ করলে কিছু সম্ভাব্য প্রভাব দেখা দিতে পারে।। শিমুল গাছের মূল প্রতিদিন খেলে যে সকল উপকার হয় তা নিম্নে বর্ণনা করা হবে।

প্রতিদিন-শিমুল-মূল-খাওয়ার-উপকারিতা



  • শরীর ঠান্ডা রাখে-শিমুল মূল প্রাকৃতিকভাবে শরীরকে শীতল রাখতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে, বিশেষ করে গরমের সময়।
  • ডায়রিয়া ও আমশায় কার্যকর- রস বা গুঁড়া ডায়রিয়া ও রক্ত খুবই উপকারী।
  • প্রস্রাবের যারা পোড়া কমায়-এটি মূত্রনালীর সংক্রমণ ও প্রস্রাবের জ্বালাপোড়া কমাতে সাহায্য করে।
  • যৌনসাস্থ্য উন্নত করে-প্রাচীন আয়ুর্বেদ মতে এটি শুক্রানুর গুণগতমান উন্নত করে এবং জনশক্তি বৃদ্ধি করতে সাহায্য করে।
  • রক্ত পরিশোধন করে-শিমুল গাছের রস শরীর থেকে ক্ষতিকর টনিক দূর করতে সাহায্য করে।

শিমুল গাছের বাকোল বা ছাল এর উপকারিতা

শিমুল গাছে বাকোল বা সাল বিভিন্ন ভেষজ গুণসম্পন্ন এবং এটি আয়ুর্বেদিক চিকিৎসালয়ে বহু দিন ধরে ব্যবহৃত হয়ে আসছে। এর কিছু উপকারিতা নিচে দেওয়া হয়-
  • রক্তপিণ্ড ও ত্বকের সমস্যার কার্যকর-শরীরের বৃদ্ধি পেলে বা অতিরিক্ত ঘাম জনিত চর্মরোগ শিমুলের খালের রস খুবই উপকার করে। 
  • ডায়রিয়া ও আমাশয় উপকারী-শিমুল গাছের ছাল পানিতে ভিজিয়ে সেই পানি পান করলে ডায়রিয়া ও আমাশা দূর হয়।
  • রক্ত পরিষ্কারক হিসেবে কাজ করে-শিমুলের ছাল রক্ত বিশুদ্ধ করতে সাহায্য করে এবং বিভিন্ন সংক্রমণ প্রতিরোধ করে।
  • ক্ষত নিরাময়ে সহায়ক-সালের নির্যাস কত স্থানে ব্যবহৃত করলে দ্রুত ঘা শুকিয়ে যায় এবং ব্যাকটেরিয়া সংক্রমণ কমায়।
  • -হজম শক্তি বাড়ায়, এটি পেটের সমস্যায় গ্যা্‌স, এসিডিটি এবং হজমের বিভিন্ন সমস্যার সমাধান করে থাকে।
  • বোদহ ও ব্যথা কমায়-অর্থাৎ জয়েন্টে ব্যথা, কলা ও পদহ কমাতে শিমুল গাছের রস বা পেস্ট ব্যবহার করা যায়।
  • চুলের যত্নে ব্যবহার করা হয়-খুশকি দূর করতে সাহায্য করে এবং মাথার ত্বকের সংক্রমণ কমায়।
  • শরীর শীতল রাখতে সহায়ক-শিমুল গাছের রস শরীরের তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণ করতে সাহায্য করে বিশেষ করে।
ব্যবহার পদ্ধতিঃ
  • ছাল গুঁড়ো করে পানির সঙ্গে মিশিয়ে পান করা যায়।
  • পেস্ট বানিয়ে ক্ষতব বা চর্ম রোগে আক্রান্ত স্থানে ব্যবহার করা যায়
  • চুলের যত্নে শিমুল সিদ্ধ করে সেই পানি ব্যবহার করা যায়।
শিমুল গাছের ছাল ব্যবহারের আগে একজন, আয়ুর্বেদিক বা হোমিও চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া উচিত বিশেষ করে যদি আপনি এটি নিয়মিত ব্যবহার করতে চান।

শিমুল মূলের পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া

শিমুল মূল সাধারণত আয়ুর্বেদিক ও ভেষজ চিকিৎসায় ব্যবহৃত হয় এবং এটি বিভিন্ন সার্থে উপকারিতা প্রদান করে থাকে। তবে এর কিছু পার্শ্ব প্রতিক্রিয়াও থাকতে পারে, বিশেষ করে যদি একটি অতিভুক্ত মাত্রায় গ্রহণ করা হয় বা কারো শরীরের সঙ্গে মানানসই না হয়ে থাকে।নিম্নে সম্ভাব্য পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া তুলে ধরা হলো-

হজমের সমস্যাঃ অতিরিক্ত গ্রহণ করলে গ্যাস্ট্রিক, বমি বমি ভাব বা ডায়রিয়া হতে পারে।
এলার্জিঃ কিছু মানুষের ত্রকে বা শ্বাসযন্ত্রে এলার্জির প্রতিক্রিয়া হতে পারে।
রক্তচাপের পরিবর্তনঃ এটি রক্তচাপের উপর প্রভাব ফেলতে পারে, বিশেষ করে যদি কেউ উচ্চ রক্তচাপ বা নিম্ন রক্তচাপ জনিত সমস্যায় ভুগে থাকেন তাদের ক্ষেত্রে।
গর্ভবতী ও স্তন্যদানকারী মায়েদের জন্য সতর্কতাঃ গর্ভবতী স্থানীয় দানকারী মায়েদের ক্ষেত্রে এটি ক্ষতিকর হতে পারে, তাই চিকিৎসকের পরামর্শ ছাড়া গ্রহণ করা উচিত নয়।
ঔষুধের সঙ্গে প্রতিক্রিয়াঃ যদি কেউকোন নিয়মিত ওষুধ গ্রহণ করে তবে শিমুল মূলের সঙ্গে এটি প্রতিক্রিয়া হতে পারে।
যদি শিমুল মূল গ্রহণে পর কোন বিরূপ প্রতিক্রিয়া দেখা দেয়, তাহলে অবিলম্বে চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া উচিত।

বীর্য ঘন করার জন্য শিমুল মূল খাওয়া নিয়ম

শিমুল মূল আয়ুর্বেদিক ও প্রাকৃতিক চিকিৎসালয়ে বেশ জনপ্রিয়, বিশেষ করে পুরুষদের শক্তি বৃদ্ধি ও বিদ্রূপ ঘন করার ক্ষেত্রে। এটি শক্তিবর্ধক, ও বীর্য কারী হিসেবে পরিচিত। বীর্য ঘন করার জন্য শিমুল মূল খাওয়ার নিয়ম সম্পর্কে বর্ণনা করা হলো।

গড়া করে খাওয়াঃ শুকনো শিমুল মূল ভালো করে পরিষ্কার করে পুরো করে নিন তারপরে প্রতিদিন সকালে বা রাত্রে একটা চামচ গুড়া এক গ্লাস কুসুম গরম দুধ মধুর সঙ্গে মিশ পান করুন।
শিমুল মূলের কাজ জলসিদ্ধ রসঃ ৫ থেকে ৬ গ্রাম শিমুল দুই কাপ পানিতে ফুটিয়ে এক কাপ সমপরিমাণ করে নিতে হবে। আপনি যদি প্রতিদিন সকালে খালি পেটে বা রাত্রি শোয়ার সময় পান করেন তাহলে খুব উপকার পাবে।
শিমুল মূল ও মধু মিশ্রণঃ সমপরিমাণ শিমুল মূল বুড়া ও খাসিয়ে একটা চামচ খেয়ে নিতে পারেন। সকালে খালি পেটে ও রাত্রে শোয়ার আগে খাওয়াই ভালো।

  শিমুল মূল কখন খাবেন না

গর্ভবতী ও স্তন্যদানকারী  নারীঃ শিমুল মূলে কিছু যোগ গর্ভবতী মায়ের জন্য ক্ষতিকর হতে পারে এবং শিশুর স্বাস্থ্যের উপর প্রভাব ফেলতে পারে।
  • অতিরিক্ত মাত্রায় সেবনঃ, এটিভোজনের সমস্যা ডায়রিয়া ও প্যাড ফাঁপা যে সৃষ্টি করতে পারে।
  • এলার্জি সমস্যা যদি থেকে থাকেঃ অনেকে শরীরের শিমুল মূলের প্রতি সংবেদনশীল হতে পারে, হলে চুলকান্‌ শ্বাসকষ্টের মতো সমস্যা দেখা দিতে পারে্। 
  • কিডনি বা লিভারে রোগ থাকলেঃ কারো যদি কিডনি বা লিভারের রোগ থাকে তাহলে শিমুলের মূল লিভারের সমস্যা বাড়িয়ে দিতে পারে।
  • যারা ওষুধ সেবন করছেঃ বিশেষ করে ডায়াবেটিস বা ব্লাড প্রেসারের ওষুধ খেলে মূলের কারণে ওষুধের কার্যকারিতা পরিবর্তন হতে পারে সেক্ষেত্রে না খাওয়াই।
আপনি যদি শিমুল মূল গ্রহণ করতে চান বা খেতে চান, তাহলে প্রথমেই একটি ডাক্তারের পরামর্শ নেওয়ায় আপনার জন্য ভালো।

কিডনি রোগী শিমুলের পাউডার খেতে পারবে কি

কিডনি রোগীদের শিমুল মূল পাউডার খাওয়ার আগে অবশ্যই সতর্কতা অবলম্বন করা উচিত এবং একজন ভালো চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া প্রয়োজন তা না হলে নিম্নে বর্ণিত সমস্যাগুলো হতে পারে যেমন
  • শিমুল মূলের মধ্যে কিছু খনিজ উপাদান থাকে যা কিডনির কার্যকারিতা প্রভাব ফেলতে পারে।
  • শিমুল মূল একটি প্রাকৃতিক ভাবেই মূলবর্ধক তাই কিডনি রোগের জন্য ঝুঁকিপূর্ণ হতে পারে।
  • কিডনি রোগীদের শরীর থেকে বিষাক্ত উপাদান বের করতে সমস্যা হয়, তাই শিমুল মূলের কিছু উপাদান শরীরের জমে গিয়ে সমস্যা বাড়তে পারে।
  • যদি আপনি কিডনির সমস্যার জন্য কোন ওষুধ, খা তাহলে শিমুল মূলের উপাদান ওষুধের কার্যকারিতার প্রভাব ফেলতে পারে।
কিডনি রোগীদের শিমুল মূল পাউডার না খাওয়াই ভালো, বিশেষ করে যদি তারা ক্রনিক কিডনি ডিজিস বা ডায়ালাইসিস এর রোগী হন।, তবে যদি খুবই প্রয়োজন হয় তাহলে একজন বিশেষজ্ঞ ডাক্তারের পরামর্শ নেওয়া উচিত।

উপসংহার/শিমুল মূল খাওয়ার অসাধারণ উপকারিতা

শিমুল মূল খাওয়ার উপকারিতা সম্পর্কে এতক্ষণ আমরা বিস্তারিত আলোচনা করলাম এবং বুঝতে পারলাম যে শিমুল মূল আমাদের শরীরে ব্যাপক উপকার করে থাকে, তবে অতিরিক্ত ব্যবহারে কিছু শারীরিক ঝুঁকি রয়েছে। আপনাদেরকে সচেতন করার উদ্দেশ্যে এই ওয়েবসাইটে বিভিন্ন বিষয়ের উপর ব্লগ লেখা হয়। আশা করি এ ব্লক করে আপনি উপকৃত হয়েছেন। নিয়মিত এই ওয়েবসাইট ভিজিট করলে বিভিন্ন ধরনের তথ্য পাবেন। আপনাদের সুস্থতা কামনা করে, আজ এখানেই শেষ করছি আল্লাহ হাফেজ।


এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

www.alltipsatoz.comনীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url