কারি পাতার অসাধারণ১৫ টি উপকারিতা সম্পর্কে বিস্তারিত জানুন
কারি পাতা এমন একটি পাতা যা রান্নায় স্বাদ বৃদ্ধির পাশাপাশি রান্নায় সুগন্ধ
সৃষ্টি করে। শুধু তাই নয় কারি পাতাতে রয়েছে আইরন, জিংক, এনটি ডায়াবেটিস
এর বৈশিষ্ট্য। ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। কারি পাতা
চিবিয়েও খাওয়া যায় আবার রান্না করেও খাওয়া যায়।কারে পাতা খেলে মস্তিষ্ক সতেজ থাকে মস্তিষ্কের সতেজ রাখতে কারি পাতার জুড়ি
মেলা ভার। কারি পাতা মাথার চুল থেকে শুরু করে, ডায়াবেটি, ক্যান্সার,
লির্ভারের কর্মক্ষমতা বৃদ্ধি, দৃষ্টিশক্তি বৃদ্ধির মতো বিভিন্ন রোগ থেকে
সুরক্ষা দান করে।
কারি পাতার অসাধারণ ১৫টি উপকারিতা সম্পর্কে বিস্তারিত জানুনঃ
- কারি পাতার অসাধারণ১৫ টি উপকারিতা
- কারি পাতা চেনার উপায়
- কারি পাতার পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া নিয়ন্ত্রণ করে
- কারি পাতা কিভাবে ক্ষত নিয়ন্ত্রণ করে
- কারি পাতার অপরিকতার সম্ভাব্য দিকগুলো
- কারি পাতা ক্যান্সার দুধ করতে সাহায্য করে
- কারি পাতা অ্যানিমিয়া দূর করতে সাহায্য করে
- ১০০ গ্রাম কারি পাতার পুষ্টি উপাদান
- বাংলাদেশে কোথায় সবচেয়ে বেশি কারি পাতা পাওয়া যায়
- উপসংহার/কারি পাতার অসাধারণ ১৫ টি উপকারিতা
কারি পাতার অসাধারণ ১৫টি উপকারিতা
- হজম শক্তি বৃদ্ধি করেঃ।, নিয়মিত কারী পাতা খেলে গ্যাস বদহজম ও পেট ফাঁপা কমে।
- ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে রাখেঃ কারি পাতাতে রয়েছে অ্যান্টি ডায়াবেটিসের বৈশিষ্ট্য এবং কারি পাতা রক্তের শর্করা মাত্রা কমাতে সাহায্য করে। ফলে ডায়াবেটিস রোগীরাইট নিয়মিত খেলে ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণ রাখতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।
- ওজন কমাতে সহায়কঃ কারি পাতা শরীরের অতিরিক্ত চর্বি পড়াতে সাহায্য করে এবং বিপাকক্রিয়া উন্নত করে। ওজন কমাতে চাইলে এটি রাখাই ভালো। কেউ যদি প্রতিদিন খালি পেটে কারি পাতার রস খায় তাহলে তার শরীর থেকে ক্ষতিকারক পদার্থ বের হয়ে যায় এবং ওজন কমতে শুরু করে।
- চুল পড়া ও খুশকি রোধ করেঃ, কারি পাতা চুলের গোড়া মজবুত করে চুল পড়া কমায় এবং খুশকি নিয়ন্ত্রণে রাখে। কারি পাতার পেস্ট মাথায় মাখলে ফলাফল ভালো পাওয়া যায়। কারি পাতায় এন্টি মাইক্রোরিয়াল বৈশিষ্ট্য এবং ভিটামিন এ এবং ভিটামিন সি পাওয়া যায়, যা চুলের গোড়া শক্ত করে চুলের স্বাস্থ্য ভালো রাখে এবং চুল পড়া বন্ধ করতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।
- ত্বক উজ্জ্বল করেঃ কারি পাতায় এন্টি ব্যাকটেরিয়া উপাদান ত্বকে পরিষ্কার রাখে। ব্রণ দাগ-ছোপ বা ত্বকের অমিশ্রণতা দূর করতে কারি পাতার ধারণ কাজ করে।
- খারাপ করেস্টরের কমায়ঃ কারি পাতার শরীরের খারাপ কোলেস্টেরল কমিয়ে ভালো করেস্টরাল বৃদ্ধি করে, ফলে হৃৎ যন্ত্রের ঝুঁকি কমে।
- অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট ভরপুরঃ কারি পাতার মধ্যে থাকা অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট উপাদান শরীরকে কি রেডিকেল থেকে রক্ষা করে এবং বয়সজনিত রোগ প্রতিরোধ করতে সাহায্য করে।
- কষ্টকাঠিন্য ডায়রিয়া প্রতিরোধে উপকারীঃ সহায়ক এবং অন্তর পরিষ্কার রাখতে সাহায্য করে। এটি কষ্টকাঠিন্যর মতো সমস্যাও দূর করতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।
- দৃষ্টিশক্তি উন্নত করেঃ কারি পাতায় ভিটামিন এ থাকে যা চোখের দৃষ্টি শক্তি ভালো রাখতে সাহায্য করে এবং রাতকানা প্রতিরোধে সহায়ক।
- সংক্রমণ প্রতিরোধ করেঃ কারি পাতা প্রাকৃতিক এন্টি ব্যাকটেরিয়া ও এন টি হাঙাস উপাদান শরীরের বিভিন্ন সংক্রমণ থেকে রক্ষা করতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।
- রক্তস্বল্পতা দূর করেঃ কারি পাতায় থাকার কারণে এটি রক্তস্বল্পতা বা অ্যানিমিয়া ক্ষেত্রে বেশ কার্যকর।
- মর্নিং সিকনেস দূর করেঃ যাদের বমি বমি ভাব হয় তাদের কিছুটা কারি পাতা চিবিয়ে খেলে দ্রুত উপশম পেতে পারে। অনেক মেয়েদের গর্ভবতী অবস্থায় ঘন ঘন বমি ভাব হয় তারা যদি নিয়মিত একটি দুইটি করে কারে পাতার চাপিয়ে খায় তাহলে তাদের হয়ে যাবে।
- লিভারের কর্ম ক্ষমতা বৃদ্ধি করেঃ কারি পাতা উপাদানটি অক্সিডেটিভ স্তর এবং ক্ষতিকর টনিক্সের হাত থেকে লিভার কে রক্ষা করে, ফলে স্বাভাবিকভাবে গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গটি কর্ম ক্ষমতা বৃদ্ধি পেতে শুরু করে এছাড়াও অ্যালকোহলের কুপ অভাব দূর করতে সাহায্য করে। কেউ যদি কারি পাতা চিবিয়ে খেতে পারে কিংবা কারি পাতার রস গোলমরিচের সাথে মিশিয়ে খেতে পারে । তাহলে সে অনেক উপকার পাবে কারি পাতার রস এর সঙ্গে গোলমরিচ সাথে মিশিয়ে খেলে লিভার সুস্থ হয়ে যাবে।
- মুখের দুর্গন্ধ দূর করেঃ মুখের দুর্গন্ধের সমস্যায় কারি পাতা খুবই কার্যকর ।এটি চিবিয়ে খেলে মুখের সতেজতা আসে এবং মুখের দুর্গন্ধ দূর হয়।
- রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়ঃ, গাড়ি পাতের শরীরে ইমিউনিটি সিস্টেমকে শক্তিশালী করে ফলে সহজেই রোগবালায় শরীরে বাসা বাঁধতে পারে না।
কারি পাতা চেনার উপায়
- গাছের গঠনঃ কারি পাতার গাছ মাঝারে আকৃতির হয়, সাধারণত৪-৬ ফুড পর্যন্ত লম্বা হতে পারে। পাতাগুলো একে অপরের বিপরীতে জোড়ায় জোড়ায় সাজানো থাকে।
- সাদঃ কারি পাতা চিবালে একটি ঝাঁজালো এবং সামান্য তিক্ত স্বাদ পাওয়া যায়, যা রান্নায় দিলে দারুন সুগন্ধ তৈরি হয়।
- বীজ ও ফলঃ কারি পাতার গাছে ছোট ছোট কালো রঙে ফল হয়, যা দেখতে জাম জাতীয় জামের মতো। এ বেচ থেকে নতুন গাছ জন্মায়।
কারি পাতা পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া নিয়ন্ত্রণ করে
- এন্টিঅক্সিডেন্ট উপাদান-কারি পাতায় থাকা অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট উপাদান শরীরের টনিক দূর করতে সাহায্য করে, বিভিন্ন ওষুধের পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া কমাতে সহায়ক।
- লিভার সুরক্ষা-কারি পাতা লিভার সুরক্ষা করতে সাহায্য করে। অনেক ওষুধ খেলে লিভারে পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া দেখা যায়, সেখানে কারি পাতা লিভার কে রক্ষা করে।
- ডাইজেস্টিক সহায়তা-তৈরি করে যেমন গ্যাসএক্স, অম্বল কাটিং। শক্তি বাড়ায় এবং পেটের সমস্যা দূর করে কোন প্রকার।
- রক্তের শর্করা পরিমাণ নিয়ন্ত্রণ-খেলে অনেক সময় ব্লাড সুগার অতিমাত্রায় কমে যেতে পারে। কিন্তু কারি পাতা প্রাকৃতিকভাবেই রক্তের শর্করা ভারসাম্য বজায় রাখতে সাহায্য করে কোন প্রকার পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া ছাড়ায়।
- চুল ও ত্বকের পার্শ্ব প্রতিকের হ্রাস-কিছু ওষুধ চুল পড়া বা ত্বকের সমস্যা তৈরি করে। সে ক্ষেত্রে কারি পাতা চুলের স্বাস্থ্য ভালো রাখতে ও ত্বক উজ্জ্বল রাখতে কাজ করে।
কারি পাতা কিভাবে ক্ষত নিয়ন্ত্রণ করে
- অ্যান্টিসেপটিক বৈশিষ্ট্যঃ, কারি পাতায় প্রাকৃতিক এন্টি সেপটিভ উপাদান থাকে যা ব্যাকটেরিয়া বা সংক্রমণ সৃষ্টিকারী জীবাণুকে ধ্বংস করে। ক্ষতের জায়গায় জীবাণুপ প্রবেশ করলে সংক্রমণ হয়, আর কারি পাতাটা প্রতিরোধ করতে সাহায্য করে।
- এন্টি ইনফ্লেমেটরি গুণঃ ক্ষতস্থানে ফোলা বা পদহ হলে কারি পাতা তা কমাতে পারে। কারি পাতায় থাকা অ্যান্টি ইন কিলোমিটারি উপাদান উদাহরণ করে আরাম দেয়।
- নিরাময় প্রতিক্রিয়া ত্বরান্বিত করেঃ কারি পাতায় থাকা অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট ও ভিটামিন সি ক্ষতস্থানের নতুন কোর্স গঠনের সহায়ক করে। এর ফলে ক্ষত দূরত্ব শুকায় এবং পণ্য সুস্থতা ফিরে আসে।
- ব্যথা উপশমে সহায়কঃ কারি পাতা ক্ষতের স্থানে ব্যথা বা জ্বালাপোড়া কমাতেও সহায়তা করে। এটি প্রাকৃতিক ব্যথা নাশক হিসেবেও কাজ করে।
কারি পাতার অপরিকতার সম্ভাব্য দিকগুলো
কারি পাতা ক্যান্সার দূর করতে সাহায্য করে
কারি পাতা পিপল রান্নার সুগন্ধ ও সাত বাড়ায় না, বরণীতে রয়েছে এমন কিছু শক্তিশালী উপাদান যেগুলো ক্যান্সার প্রতিরোধের সাহায্য করতে পারে। জাপানি বিজ্ঞানীদের গবেষণায় দেখা গেছে যে কারি পাতায় কারবার জল নামক উপাদান রয়েছে যা দেহে ক্যান্সার দূর করতে সাহায্য করে।
তাছাড়াও কারি পাতায় অ্যান্টি ক্যান্সার গুণাগুণ রয়েছে যা ক্যান্সার কোষের বৃদ্ধি থামাতে পারে। নিচে কারি পাতা কিভাবে ক্যান্সার দূর করতে সাহায্য করে তা ব্যাখ্যা করা হবে।
অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট গুণঃ কারি পাতায় রয়েছে প্রচুর এন্টিঅক্সিডেন্ট যেমন
কারবা জল কাইড যা দেহে থাকা ফ্রি রেডিকেল ধ্বংস করে ফ্রি রেডিকেলস হল এমন
ক্ষতিকারক উপাদান যা কোষের ডিএনএ নষ্ট করে ক্যান্সার সৃষ্টি করতে পারে কারি
পাতা এই ফ্রি রেডিকেল স গুলোকে ধ্বংস করে ক্যান্সার সৃষ্টি হাত থেকে রক্ষা
করে।
এন্টি ক্যান্সার যৌগঃ অনেক গবেষণায় দেখা গেছে কারি পাতায় থাকা কার্ভে
জলকাইড নামক উপাদান ক্যান্সারের কোষের গঠন ও বিভাজনকে বাধা সৃষ্টি করে বিশেষ
করে-
- স্থানীয় ক্যান্সার
- কোলন ক্যান্সার
- লিউটেমিয়া
কারিপাতা কিভাবে অ্যানিমিয়া দূর করতে সাহায্য করে
১০০ গ্রাম কারি পাতার পুষ্টি উপাদান
পুষ্টি উপাদান | পরিমাণ প্রতি 100 গ্রাম |
---|---|
শক্তি | ১০৮ ক্যালরি |
প্রোটিন | ৬.1 গ্রাম |
চর্বি | ১.০ গ্রাম |
শর্করা | ১৮.৭ গ্রাম |
আঁশ | ৬.৪ গ্রাম |
ক্যালসিয়াম | ৮৩০ মিলিগ্রাম |
ফসফরাস | ৫৭ মিলিগ্রাম |
লোহা | ০.৯৩ মিলিগ্রাম |
ভিটামিন সফ | ৪৪ মিলিগ্রাম |
ভিটামিন এ | ৭৫৬০ মাইক্রগ্রাম |
ম্যাগনেসিয়াম | ৪৪ মিলিগ্রাম |
পটাশিয়াম | ৬৩০ মিলিগ্রাম |
সোডিয়াম | ৪৪ মিলিগ্রাম |
বাংলাদেশে কোথায় সবচেয়ে বেশি কারিপাতা পাওয়া যায়
উপসংহার/কারি পাতার অসাধারণ১৫ টি উপকারিতা
www.alltipsatoz.comনীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url