কারি পাতার অসাধারণ১৫ টি উপকারিতা সম্পর্কে বিস্তারিত জানুন

 

কারি পাতা এমন একটি পাতা যা রান্নায় স্বাদ বৃদ্ধির পাশাপাশি রান্নায় সুগন্ধ সৃষ্টি করে। শুধু তাই নয় কারি পাতাতে রয়েছে আইরন, জিংক, এনটি ডায়াবেটিস এর বৈশিষ্ট্য। ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। কারি পাতা চিবিয়েও খাওয়া যায় আবার রান্না করেও খাওয়া যায়।কারিপাতার-অসাধারণ-১৫টি-উপকারিতাকারে পাতা খেলে মস্তিষ্ক সতেজ থাকে মস্তিষ্কের সতেজ রাখতে কারি পাতার জুড়ি মেলা ভার। কারি পাতা মাথার চুল থেকে শুরু করে, ডায়াবেটি, ক্যান্সার, লির্ভারের কর্মক্ষমতা বৃদ্ধি, দৃষ্টিশক্তি বৃদ্ধির মতো বিভিন্ন রোগ থেকে সুরক্ষা দান করে।

কারি পাতার অসাধারণ ১৫টি উপকারিতা সম্পর্কে বিস্তারিত জানুনঃ

কারি পাতার অসাধারণ ১৫টি উপকারিতা

আমাদের রান্নাঘরে প্রতিদিন ব্যবহারিত একটি সাধারন উপাদান হলো কারি পাতা। যদিও অনেকেই এই গাড়ি পা থেকে শুধু রান্নার সাত বা গন্ধ বাড়ানোর উপাদান হিসেবেই লেখে, তবে এর মধ্যে লুকিয়ে আছে অসাধারণ সব স্বাস্থ্য উপকারিতা। তাহলে চলুন জেনে নেওয়া যাক ছোট্ট এই পাতাটি আমাদের শরীরের জন্য কতটা উপকারী। নিম্নে কারি পাতার ১৫ টি উপকারিতা বর্ণনা করা হলো-

  • হজম শক্তি বৃদ্ধি করেঃ।, নিয়মিত কারী পাতা খেলে গ্যাস বদহজম ও পেট ফাঁপা কমে।
  • ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে রাখেঃ কারি পাতাতে রয়েছে অ্যান্টি ডায়াবেটিসের বৈশিষ্ট্য এবং কারি পাতা রক্তের শর্করা মাত্রা কমাতে সাহায্য করে। ফলে ডায়াবেটিস রোগীরাইট নিয়মিত খেলে ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণ রাখতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।
  • ওজন কমাতে সহায়কঃ কারি পাতা শরীরের অতিরিক্ত চর্বি পড়াতে সাহায্য করে এবং বিপাকক্রিয়া উন্নত করে। ওজন কমাতে চাইলে এটি রাখাই ভালো। কেউ যদি প্রতিদিন খালি পেটে কারি পাতার রস খায় তাহলে তার শরীর থেকে ক্ষতিকারক পদার্থ বের হয়ে যায় এবং ওজন কমতে শুরু করে।
  • চুল পড়া ও খুশকি রোধ করেঃ, কারি পাতা চুলের গোড়া মজবুত করে চুল পড়া কমায় এবং খুশকি নিয়ন্ত্রণে রাখে। কারি পাতার পেস্ট মাথায় মাখলে ফলাফল ভালো পাওয়া যায়। কারি পাতায় এন্টি মাইক্রোরিয়াল বৈশিষ্ট্য এবং ভিটামিন এ এবং ভিটামিন সি পাওয়া যায়, যা চুলের গোড়া শক্ত করে চুলের স্বাস্থ্য ভালো রাখে এবং চুল পড়া বন্ধ করতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।
  • ত্বক উজ্জ্বল করেঃ কারি পাতায় এন্টি ব্যাকটেরিয়া উপাদান ত্বকে পরিষ্কার রাখে। ব্রণ দাগ-ছোপ বা ত্বকের অমিশ্রণতা দূর করতে কারি পাতার ধারণ কাজ করে।
  • খারাপ করেস্টরের কমায়ঃ কারি পাতার শরীরের খারাপ কোলেস্টেরল কমিয়ে ভালো করেস্টরাল বৃদ্ধি করে, ফলে  হৃৎ যন্ত্রের ঝুঁকি কমে।
  • অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট ভরপুরঃ কারি পাতার মধ্যে থাকা অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট উপাদান শরীরকে কি রেডিকেল থেকে রক্ষা করে এবং বয়সজনিত রোগ প্রতিরোধ করতে সাহায্য করে।
  • কষ্টকাঠিন্য ডায়রিয়া প্রতিরোধে উপকারীঃ সহায়ক এবং অন্তর পরিষ্কার রাখতে সাহায্য করে। এটি কষ্টকাঠিন্যর মতো সমস্যাও দূর করতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।
  • দৃষ্টিশক্তি উন্নত করেঃ কারি পাতায় ভিটামিন এ থাকে যা চোখের দৃষ্টি শক্তি ভালো রাখতে সাহায্য করে এবং রাতকানা প্রতিরোধে সহায়ক।
  • সংক্রমণ প্রতিরোধ করেঃ কারি পাতা প্রাকৃতিক এন্টি ব্যাকটেরিয়া ও এন টি হাঙাস উপাদান শরীরের বিভিন্ন সংক্রমণ থেকে রক্ষা করতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।
  • রক্তস্বল্পতা দূর করেঃ কারি পাতায় থাকার কারণে এটি রক্তস্বল্পতা বা অ্যানিমিয়া ক্ষেত্রে বেশ কার্যকর।
  • মর্নিং সিকনেস দূর করেঃ যাদের বমি বমি ভাব হয় তাদের কিছুটা কারি পাতা চিবিয়ে খেলে দ্রুত উপশম পেতে পারে। অনেক মেয়েদের গর্ভবতী অবস্থায় ঘন ঘন বমি ভাব হয় তারা যদি নিয়মিত একটি দুইটি করে কারে পাতার চাপিয়ে খায় তাহলে তাদের হয়ে যাবে।
  • লিভারের কর্ম ক্ষমতা বৃদ্ধি করেঃ কারি পাতা উপাদানটি অক্সিডেটিভ স্তর এবং ক্ষতিকর টনিক্সের হাত থেকে লিভার কে রক্ষা করে, ফলে স্বাভাবিকভাবে গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গটি কর্ম ক্ষমতা বৃদ্ধি পেতে শুরু করে এছাড়াও অ্যালকোহলের কুপ অভাব দূর করতে সাহায্য করে। কেউ যদি কারি পাতা চিবিয়ে খেতে পারে কিংবা কারি পাতার রস গোলমরিচের সাথে মিশিয়ে খেতে পারে । তাহলে সে অনেক উপকার পাবে কারি পাতার রস এর সঙ্গে গোলমরিচ সাথে মিশিয়ে খেলে লিভার সুস্থ হয়ে যাবে।
  • মুখের দুর্গন্ধ দূর করেঃ মুখের দুর্গন্ধের সমস্যায় কারি পাতা খুবই কার্যকর ।এটি চিবিয়ে খেলে মুখের সতেজতা আসে এবং মুখের দুর্গন্ধ দূর হয়।
  • রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়ঃ, গাড়ি পাতের শরীরে ইমিউনিটি সিস্টেমকে শক্তিশালী করে ফলে সহজেই রোগবালায় শরীরে বাসা বাঁধতে পারে না।

কারি পাতা চেনার উপায়

সহজ ভাবে কারি পাতা চেনার উপায় নিম্নে তুলে ধরা হলো যেন আপনারা সহজেই বাজার বা গাছ থেকে একটি সহজে চিনে নিতে পারে।

কারি-পাতা-চেনার-উপায়
পাতার রং ও আকৃতিঃ কারি পাতার রং সবুজ ও চকচকে হয়। পাতাগুলো ছোট, ডিম্বাকৃতি এবং ধারালো কিনারাযুক্ত হয়ে থাকে। সাধারণত এটি কাণ্ডে একাধিক পাতা সারিবদ্ধ ভাবে থাকে।
গন্ধঃ কারি পাতা হাতে ঘষলে বা চিবালে একটি বিশেষ ধরনের মসলাদার ঘ্রাণ পাওয়া যায়, যা খুবই মনিমুক্ত কর। এ গন্ধই হলো কারি পাতার অন্যতম বৈশিষ্ট্য।
  • গাছের গঠনঃ কারি পাতার গাছ মাঝারে আকৃতির হয়, সাধারণত৪-৬ ফুড পর্যন্ত লম্বা হতে পারে। পাতাগুলো একে অপরের বিপরীতে জোড়ায় জোড়ায় সাজানো থাকে।
  • সাদঃ কারি পাতা চিবালে একটি ঝাঁজালো এবং সামান্য তিক্ত স্বাদ পাওয়া যায়, যা রান্নায় দিলে দারুন সুগন্ধ তৈরি হয়।
  • বীজ ও ফলঃ কারি পাতার গাছে ছোট ছোট কালো রঙে ফল হয়, যা দেখতে জাম জাতীয় জামের মতো। এ বেচ থেকে নতুন গাছ জন্মায়।
অনেকেই কারিপাতা কে নিমপাতা বা অন্য কোন পাতার সঙ্গে গুলিয়ে ফেলতে পারেন। কিন্তু নিম পাতার স্বাদও গন্ধ তিক্ত্র, কারি পাতার গন্ধ মিষ্টি ও মসলাদার ধরনের এটি এতটুকুই তফাৎ ।এটি যদি বুঝতে পারেন তাহলে আপনার নিম পাতা সঙ্গে কারি পাতার গুলিয়ে ফেলার সমস্যায় পড়বেন না।

কারি পাতা পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া নিয়ন্ত্রণ করে

কারি পাতা যাকে অনেক সময় মেথনিন বা করি পাতা বলা হয় শুধুমাত্র রান্নার সুগন্ধ যোগ করার জন্যই নয় এটি স্বাস্থ্যের উপকারিতা ও দারুন কার্যকর। পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া নিয়ন্ত্রণে কারি পাতার ভূমিকা বেশ গুরুত্বপূর্ণ নিম্নে কিছু দিক তুলে ধরা হলোঃ
  • এন্টিঅক্সিডেন্ট উপাদান-কারি পাতায় থাকা অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট উপাদান শরীরের টনিক দূর করতে সাহায্য করে, বিভিন্ন ওষুধের পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া কমাতে সহায়ক।
  • লিভার সুরক্ষা-কারি পাতা লিভার সুরক্ষা করতে সাহায্য করে। অনেক ওষুধ খেলে লিভারে পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া দেখা যায়, সেখানে কারি পাতা লিভার কে রক্ষা করে।
  • ডাইজেস্টিক সহায়তা-তৈরি করে যেমন গ্যাসএক্স, অম্বল কাটিং। শক্তি বাড়ায় এবং পেটের সমস্যা দূর করে কোন প্রকার।
  • রক্তের শর্করা পরিমাণ নিয়ন্ত্রণ-খেলে অনেক সময় ব্লাড সুগার অতিমাত্রায় কমে যেতে পারে। কিন্তু কারি পাতা প্রাকৃতিকভাবেই রক্তের শর্করা ভারসাম্য বজায় রাখতে সাহায্য করে কোন প্রকার পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া ছাড়ায়।
  • চুল ও ত্বকের পার্শ্ব প্রতিকের হ্রাস-কিছু ওষুধ চুল পড়া বা ত্বকের সমস্যা তৈরি করে। সে ক্ষেত্রে কারি পাতা চুলের স্বাস্থ্য ভালো রাখতে ও ত্বক উজ্জ্বল রাখতে কাজ করে।

কারি পাতা কিভাবে ক্ষত নিয়ন্ত্রণ করে

কারি পাতা শুধু রান্নার সাত বার সুগন্ধ যোগ করে না, এটি প্রাকৃতিক ঔষধি গুনেও ভরপুর। যা হতভাগা নিরাময়ে বেশ কার্যকারী ভূমিকা রয়েছে। নিম্নে কারি পাতা কিভাবে ক্ষত নিয়ন্ত্রণ করে তা বর্ণনা করা হলো-
  • অ্যান্টিসেপটিক বৈশিষ্ট্যঃ, কারি পাতায় প্রাকৃতিক এন্টি সেপটিভ উপাদান থাকে যা ব্যাকটেরিয়া বা সংক্রমণ সৃষ্টিকারী জীবাণুকে ধ্বংস করে। ক্ষতের জায়গায় জীবাণুপ প্রবেশ করলে সংক্রমণ হয়, আর কারি পাতাটা প্রতিরোধ করতে সাহায্য করে।
  • এন্টি ইনফ্লেমেটরি গুণঃ ক্ষতস্থানে ফোলা বা পদহ হলে কারি পাতা তা কমাতে পারে। কারি পাতায় থাকা অ্যান্টি ইন কিলোমিটারি উপাদান উদাহরণ করে আরাম দেয়।
  • নিরাময় প্রতিক্রিয়া ত্বরান্বিত করেঃ কারি পাতায় থাকা অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট ও ভিটামিন সি ক্ষতস্থানের নতুন কোর্স গঠনের সহায়ক করে। এর ফলে ক্ষত দূরত্ব শুকায় এবং পণ্য সুস্থতা ফিরে আসে।
  • ব্যথা উপশমে সহায়কঃ কারি পাতা ক্ষতের স্থানে ব্যথা বা জ্বালাপোড়া কমাতেও সহায়তা করে। এটি প্রাকৃতিক ব্যথা নাশক হিসেবেও কাজ করে।
কিভাবে ব্যবহার করবেনঃ
কিছু কারি পাতা নিয়ে ভালো করে বেটে নিন, ক্ষতের উপরে সরাসরি প্রদীপ দিন। দিনে এক থেকে দুইবার ব্যবহার করুন। কারি পাতা রস বের করে তোলা দিয়ে ক্ষত জায়গায় লাগাতে পারেন। আবার কারি পাতা চিবিয়ে খেয়ে শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ে যা দ্রুত নিরাময়।

কারি পাতার অপরিকতার সম্ভাব্য দিকগুলো

অতিরিক্ত খাওয়ার ফলে হজমের সমস্যা হতে পারে কিছু মানুষের দেহে কারি পাতা এলার্জির প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি করতে পারে যেমন চুলকানি চামড়ায় রাস চোখ বা মুখ ফুলে যাওয়া ইত্যাদি। কারি পাতা রক্তচাপ কমাতে সহায়ক, কিন্তু যাদের পেশার স্বাভাবিক এর নিচে থাকে তারা বেশি খেলে আরও নিচে নেমে যেতে পারে।

 যা মাথা ঘোরা বা দুর্বলতা তৈরি করতে পারে। নারীদের জন্য কারি পাতায় সাধারণত নিরাপদ। তবে অতিরিক্ত সেবনে হরমোনের ভারসাম্য কিছুটা ওভাবিত হতে পারে।
নিরাপদ ব্যবহারের টিপঃ প্রতিদিন৮-১০ একটি কারিপাতা খাওয়া নিরাপদ ধরা হয়। গরু আকারে মিলে পরিমাণ নিয়ন্ত্রণে রাখুন১ প্রতিদিন-২ চামচের বেশি খাওয়া উচিত নয়। কোন পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া দেখা দিলে দ্রুত খাওয়া বন্ধ করুন এবং প্রয়োজনীয় ডাক্তারের পরামর্শ নিন।

কারি পাতা ক্যান্সার দূর করতে সাহায্য করে

কারি পাতা পিপল রান্নার সুগন্ধ ও সাত বাড়ায় না, বরণীতে রয়েছে এমন কিছু শক্তিশালী উপাদান যেগুলো ক্যান্সার প্রতিরোধের সাহায্য করতে পারে। জাপানি বিজ্ঞানীদের গবেষণায় দেখা গেছে যে কারি পাতায় কারবার জল নামক উপাদান রয়েছে যা দেহে ক্যান্সার দূর করতে সাহায্য করে। 

তাছাড়াও কারি পাতায় অ্যান্টি ক্যান্সার গুণাগুণ রয়েছে যা ক্যান্সার কোষের বৃদ্ধি থামাতে পারে। নিচে কারি পাতা কিভাবে ক্যান্সার দূর করতে সাহায্য করে তা ব্যাখ্যা করা হবে।

অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট গুণঃ কারি পাতায় রয়েছে প্রচুর এন্টিঅক্সিডেন্ট যেমন কারবা জল কাইড যা দেহে থাকা ফ্রি রেডিকেল ধ্বংস করে ফ্রি রেডিকেলস হল এমন ক্ষতিকারক উপাদান যা কোষের ডিএনএ নষ্ট করে ক্যান্সার সৃষ্টি করতে পারে কারি পাতা এই ফ্রি রেডিকেল স গুলোকে ধ্বংস করে ক্যান্সার সৃষ্টি হাত থেকে রক্ষা করে।

এন্টি ক্যান্সার যৌগঃ অনেক গবেষণায় দেখা গেছে কারি পাতায় থাকা কার্ভে জলকাইড নামক উপাদান ক্যান্সারের কোষের গঠন ও বিভাজনকে বাধা সৃষ্টি করে বিশেষ করে-

  • স্থানীয় ক্যান্সার
  • কোলন ক্যান্সার
  • লিউটেমিয়া
ডি এন এ সুরক্ষা করেঃ কারি পাতায় থাকা উপাদান শরীরের সুস্থ কোষের ডিএনএকে রক্ষা করে ক্যান্সার সৃষ্টিকারী উপাদানের আক্রমণ থেকে। ফলে দেহে ক্যান্সার সৃষ্টি হতে পারে না।
প্রদাহ হ্রাস করেঃ। দীর্ঘস্থায়ী প্রদাহ অনেক সময় ক্যান্সারের উৎস হতে পারে কারি পাতা প্রদাহ কমিয়ে ক্যান্সার হওয়ার সম্ভাবনাকে রাস করে।

ব্যবহার করার উপায়ঃ
কাঁচা চিবিয়ে খাওয়াঃ প্রতিদিন সকালে৮-১০ টা কাঁচ কারি পাতা খাওয়া যেতে পারে।
রস করে খাওয়াঃ সকালে খালি পেটে সামান্য পানি মিশিয়ে একটা চামচ কারি পাতার রস পান করা যায়।চা বানিয়ে খাওয়াঃ কারি পাতা আদা ও লেবু দিয়ে চা বানিয়ে পান করতে পারেন।

আপনি যদি এভাবে পান করতে পারেন তাহলে ক্যান্সার প্রতিরোধে অনেক উপকার পাবেন। তবে একটা কথা মাথায় রাখবেন কারি পাতা ক্যান্সার প্রতিরোধের সহায়ক হলেও এটি এককভাবে চিকিৎসা নয়। এটি সাপোর্টিং থেরাপি হিসেবে কাজ করে থাকে ক্যান্সার চিকিৎসা অবশ্যই ডাক্তারের পরামর্শ আধুনিক চিকিৎসা গ্রহণ করা প্রয়োজন।

কারিপাতা কিভাবে অ্যানিমিয়া দূর করতে সাহায্য করে

কারি পাতায় রক্তস্বল্পতা বা অ্যানিমিয়া দূর করতে সাহায্য করে থাকে। এটা একটি প্রাকৃতিক উৎস যা রক্তে হিমোগ্লোবিনের মাত্রা বাড়িয়ে সাহায্য করে। নিচে কারি পাতা কিভাবে অ্যানিমিয়া দূর করতে সাহায্য করে তা বর্ণনা করা হল-

কারিপাতা-কিভাবে-অ্যানিমিয়া-দূর-করতে-সাহায্য-করে

আইরন এর প্রাকৃতিক উৎসবঃ কারি পাতায় প্রচুর পরিমাণে আয়রন থাকে, যা রক্তের হিমোগ্লোবিন তৈরিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। হিমোগ্লোবিন কম থাকলে অক্সিজেন শরীরের বিভিন্ন অংশে ঠিকভাবে পৌঁছাতে পারেনা, হলে দুর্বলত্‌ মাথা ঘোরা, ক্লান্তি দেখা যায়-যা অ্যানিমিয়া প্রধান লক্ষণ। কেউ যদি কারিপাতা নিয়মিত খায় তাহলে তার আয়রনের ঘাটতি  এবং অ্যানিমিয়া দূর হবে।

ফলিক এসিড সমৃদ্ধঃ কারিপাতা ফলিক এসিড থাকে, যা আয়রন শোষণের সহায়তা করে এবং নতুন রক্ত কণিকা তৈরি করে। ফলিক এসিড ছাড়া শরীরের আয়রন সঠিকভাবে গ্রহণ করতে পারে না। কারি পাতা খাওয়ার মাধ্যমে ফলিক এসিড শরীরে তৈরি হয।
ভিটামিন সি উপাদানঃ কারি পাতায় কিছু পরিমাণের ভিটামিন সি থাকে, যার শরীরের আয়রন শোষণ আরো বাড়িয়ে দেয়। এই কারণে কারি পাতা আয়রনের কার্যকারিতা আরো বাড়িয়ে তোলে।

ব্যবহার পদ্ধতিঃ সকালে খালি পেটে ৮-১০ খেতে পারেন, চাইলে মধু মিশিয়ে খেতে পারেন।
সতর্কতাঃ যদি আপনি আয়রনের ওষুধ খান তাহলে কারিপাতা সহায়ক হতে পারে, তবে পরিমাণ এর অতিরিক্ত খাবেন না।
গর্ভবতী বা রক্তস্বল্পতা জনিত রোগীদের অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়ে ব্যবহার করা উচিত।

১০০ গ্রাম কারি পাতার পুষ্টি উপাদান
পুষ্টি উপাদান পরিমাণ প্রতি 100 গ্রাম
শক্তি ১০৮ ক্যালরি
প্রোটিন ৬.1 গ্রাম
চর্বি ১.০ গ্রাম
শর্করা ১৮.৭ গ্রাম
আঁশ ৬.৪ গ্রাম
ক্যালসিয়াম ৮৩০ মিলিগ্রাম
ফসফরাস ৫৭ মিলিগ্রাম
লোহা ০.৯৩ মিলিগ্রাম
ভিটামিন সফ ৪৪ মিলিগ্রাম
ভিটামিন এ ৭৫৬০ মাইক্রগ্রাম
ম্যাগনেসিয়াম ৪৪ মিলিগ্রাম
পটাশিয়াম ৬৩০ মিলিগ্রাম
সোডিয়াম ৪৪ মিলিগ্রাম

বাংলাদেশে কোথায় সবচেয়ে বেশি কারিপাতা পাওয়া যায়

কারি পাতা বাংলাদেশের মূলত গৃহস্থালী আগে নয় ছোট বাগানে কিংবা গ্রামের বাড়ির পাশে বেশি রাখা যায়। এটি একটি গ্রীষ্মমন্ডিলো গাছ এবং বাংলাদেশের আবহাওয়া সহজে জন্ম।  তবে কিছু নির্দিষ্ট অঞ্চল রয়েছে যেখানে কারি পাতা সবচেয়ে বেশি জন্মে এবং দেখতে পাওয়া যায় তা নিম্নে বর্ণনা করা হলো।

চট্টগ্রাম ও পার্বত্য চট্টগ্রাম অঞ্চলঃ এ অঞ্চলের মাটি ও জলবায়ু কারি পাতা গাছের জন্য খুবই উপযোগী অনেক পাহাড়ি পরিবার ঘরের পাশে বাবা বাগানে একটি লাগিয়ে রাখে।
সিলেট বিভাগঃ সিলেটে প্রচুর গাছপালা, যেখানে কারি পাতা গাছ চাষ করা হয়।এখানকার বাজারগুলো তে ক্যাঁচা কারিপাতা দেখা যাই।

ঢাকার আশপাশের এলাকাইঃযদিও এখানে কারি পাতা চাষ হয় না তবুও বাণিজ্যিকভাবে এসব এলাকায় সামান্য পরিসরে কারি পাতার চাষ করতে দেখা যায়, এগুলো বাজারে বিক্রয় করে। 

উপসংহার/কারি পাতার অসাধারণ১৫ টি উপকারিতা

এতক্ষণ আমরা এই পোষ্টের মাধ্যমে কারি পাতার অসাধারণ উপকারিতা সম্পর্কে জানলাম। আশা করি এই পোষ্টটি পড়ে আপনি কিছুটা হলেও উপকৃত হয়েছেন। আমার এই ওয়েবসাইটে বিভিন্ন বিষয়ের উপরে পোস্ট লেখা হয।এমন আরো নতুন নতুন পোস্ট পেতে পেজটি ফলো দিয়ে রাখুন। পোস্টটি পড়ে কোন জায়গায় যদি কোন সমস্যা বা ভুল ত্রুটি হয়ে থাকে আপনার মনে হয়,তাহলে আপনি আমাকে মেসেজ করে জানাতে পারেন অথবা কল দিতে পারেন আমি সেটা সংশোধন করার চেষ্টা করব আপনার সুস্থতা কামনা করে আজ এখানেই শেষ করছি আল্লাহ হাফেজ।


এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

www.alltipsatoz.comনীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url