তরমুজের আশ্চর্য উপকারিতা সম্পর্কে জানুন, তরমুজ খেলে ক্যান্সার হয় না

 

তরমুজ হচ্ছে গ্রীষ্মকালীন ফল। এখন গ্রীষ্মকাল তাই আমরা বাজারে অনেক তরমুজ দেখতে পাই। তরমুজ এমনই একটি লোভনীয় ফল যে কেজি পতি ৫০-৬০ টাকা হলেও আমরা কিনে খায়।  আবার অনেকেই খেতে ভালো লাগে বলেই খাই। 

তরমুজের-আশ্চর্য-উপকারিতা-সম্পর্কে-জানুন
কিন্তু এই তরমুজ খাওয়াই আসলেই  অনেক উপকারিতা রয়েছে যা আমরা অনেকেই জানিনা। আজকে আমি এই পোস্টে আপনাদেরকে তরমুজ খাওয়ার উপকারিতা এবং অপকারিতা সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করব। 

পেজ সূচিপত্রঃ তরমুজের আশ্চর্য ১০টি উপকারিতা সম্পর্কে জানুন

তরমুজ খাওয়ার ১০টি উপকারিতা 

তরমুজ এমন একটি ফল যার মধ্যে ভিটামিন এ, ভিটামিন সি, পটাশিয়াম এবং আঁশ সমস্ত উপাদান থেকে থাকে। শুধু তাই নয় এই গ্রীষ্মকালীন মৌসুমী এই ফলটিতে রয়েছে নানান রোগ প্রতিরোধ করার ক্ষমতা। তরমুজে ভিটামিন বি ৬ রয়েছে, যা মস্তিষ্ক সচল রাখতেও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। 

শুধু তাই নয় তরমুজে প্রচুর পরিমাণ অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট থাকায় এটি দেহের স্টক জনিত অসুস্থতা কমায়। এছাড়া আরো অনেক উপকার রয়েছে। এর মধ্যে থেকে দশটি প্রধান প্রধান উপকারিতা নিম্নে তুলে ধরা হলো।


  • হাট ভালো রাখতে সাহায্য করে -বিভিন্ন গবেষণা থেকে জানা যায় যে তরমুজে কোলেস্টেরল ও রক্তচাপ কমাতে হার্টগুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। তরমুজের মধ্যে থাকা লাইকোপেন নামক উপাদান। যা আমাদের হাট ভালো রাখতে সাহায্য করে। 
  • শরীরে পানি ঘাটতি পূরণ করে-আমাদের শরীরের পানির চাহিদা পূরণ করতে তরমুজ গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। কারণ তরমুজের মধ্যে প্রায় ৯০% পানি রয়েছে। তরমুজ আমাদের দেহের পানির ঘাটতি পূরণ করে কিভাবে? এ প্রশ্নটি ব্যাখ্যা দিতে গেলে বলা যায় যে, তরমুজ খুব দ্রুত হজম হয় না বিধায় শরীরে বেশ কিছুক্ষণ এটি থাকে কিন্তু পানি খেলে খুব দ্রুত হজম হয়ে যায় যেহেতু তরমুজ খুব তাড়াতাড়ি হজম হয় না এটি দেহি কিছুক্ষণ বিদ্যমান থাকে কিছুক্ষণ দেহে থাকতে আমাদের শরীরে পানি শূন্যতা পূরণ করে। 
  • ক্যান্সারের ঝুঁকি কমায়-তরমুজে থাকা লাইসোপিন এবং অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট ক্যান্সার প্রতিরোধে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে, বিশেষ করে প্রোস্টেট ও স্তন ক্যান্সারের ঝুঁকি কমায়।
  • রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে রাখে-তর মধ্যে থাকা সিটুলিন নামক অ্যামিনো এসিড রক্তনালীগুলোকে শিথিল করতে সাহায্য করে, ফলে রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে থাকে।
  • হজম শক্তি বাড়ায়-তরমুজের ফাইবার ও পানি থাকায় এটি হজমের সাহায্য করে পেট পরিষ্কার রাখতে সহায়তা করে এবং কষ্টকাঠিন্য রোধ করে।
  • ওজন কমাতে সাহায্য করে-, তরমুজে ক্যালোরি কম এবং পানি বেশি থাকায় এটি খালি পেটে খেলে দীর্ঘক্ষন পেট ভরে অনুভূত হয় এবং অতিরিক্ত খাওয়ায় প্রবণতা কমে যায়।
  • হাইড্রেশন বা পানির ঘাটতি পূরণে সহায়ক-তরমুজে প্রায় ৯০ অংশই পানি থাকে। এটি খেলে শরীরের দ্রুত হাইড্রেন্ট হয়, যা সকালবেলা শরীরকে সতেজ ও সক্রিয় রাখতে সাহায্য করে।
  • হৃদ যন্ত্র সুস্থ রাখে-তরমুজে থাকা লাইসোপিন যন্ত্র কে সুস্থ রাখতে সাহায্য করে। এটি রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে রাখে এবং হার্ট এটাকের ঝুড়ি কমায়।
  • রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণ রাখি-তরমুজে পটাশিয়াম উপস্থিতি রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণ রাখতে সাহায্য করে এবং হৃদরোগের ঝুঁকি কমায়।
  • কিডনির কার্য ক্ষমতা বৃদ্ধি করে তরমুজ প্রাকৃতিকভাবে ডায়াবেটিস হিসেবে কাজ করে যা কিডনির মাধ্যমে শরীর থেকে বুট জুতো পদার্থ বের করে দেয় এবং কিডনিকে সুস্থ রাখে।

খালি পেটে তরমুজ খাওয়ার উপকারিতা

খালি পেটে তরমুজ খাওয়া নিয়ে অনেকের মধ্যে জিজ্ঞাসা থাকে এটা কি উপকারী না ক্ষতিকর নিচে এর সুবিধা এবং সম্ভাব্য সমস্যা গুলো ব্যাখ্যা করা হলো।

  • দ্রুত হাইড্রেশনঃ, খালি পেটে তরমুজ খেলে শরীরে পানির দ্রুত শোষিত হয় যার সকলের জন্য উপকারী।
  • হালকা ও সহজ পাঠ্য খাবারঃ সকালে পেট ভারি না করে এটি হালকা ও ফল যুক্ত খাবার হিসেবে তরমুজ খুবই ভালো। 
  • শরীরে বিষাক্ত উপাদান দূর করেঃ তরমুজে থাকা অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট এবং পানি শরীরের বিষাক্ত উপাদান দূর করতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে থাকে।
  • ব্রেন ফাংশন উন্নত করে-খালি পেটে তরমুজ খেলে তরমুজে থাকা এমাইনো এসিড যার রক্ত সঞ্চালন বাড়ায় এবং মস্তিষ্কের অক্সিজেন পৌঁছাতে সাহায্য করে, হলে মনোযোগ এবং স্মৃতিশক্তি বাড়ে।
  •  ত্বক ও চুলেরজন্য উপকারী-তরমুজে থাকা ভিটামিন এ সি ত্বকের কোষ পণ্য জীবিত করে এবং চুলের গোড়া মজবুত করে। খালি পেটে তরমুজ খেলে এর উপকার দূরত্ব পাওয়া যায়।
  • রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়-তরমুজ আছে ভিটামিন এ এবং সি অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট যা সকালে খেলে দেহের হিউমিনিটি সিস্টেম শক্তিশালী হয়। হলে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ে।

গর্ভ অবস্থায় তরমুজ খাওয়ার উপকারিতা

গর্ভাবস্থায় তরমুজ খাওয়া মা ও শিশু উভয়ের জন্যই অনেক উপকার বয়ে আনে। নিচে গর্ভ অবস্থায় তরমুজ খাওয়া মাত্র ১০ টি উপকারিতা সম্পর্কে বিস্তারিতভাবে আলোচনা করা হলো

গর্ভ অবস্থায়-তরমুজ-খাওয়ার-উপকারিতা

  • পানি শূন্যতা রোদের সহায়কঃ, তরমুজে প্রায় ৯২ শতাংশ পানি থাকে। যার গর্ভবতী নারীর শরীরের পানি শূন্যতা দূর করতে অত্যন্ত কার্যকর গরমের সময় শরীর ঠান্ডা রাখতে এবং প্রসাবের মাধ্যমে করে দিতে এটি দারুন উপকার করে।
  • সকালে বমি ভাব কমাতে সাহায্য করেঃ গর্ভাবস্থার প্রথমদিকে সকালে বমি ভাব হয়। তরমুজের ঠান্ডা এবং মিষ্টি স্বাদ বমি ভাব কমাতে সাহায্য করে, বিশেষ করে যদি সকালে খালি পেটে খাওয়া যায়।
  • হজমের সহায়তা করেঃতরমুজে থাকা ফাইবার হজম শক্তি বাড়ায় এবং কষ্টকাঠিন্য দূর করতে সহায়তা করে। গর্ভ অবস্থায় হরমোন জনিত কারণে হজমের সমস্যা হওয়ায় তরমুজ খেলে তা অনেকটাই নিয়ন্ত্রণে থাকে।
  • স্পন্দন নিয়ন্ত্রণে রাখেঃ তর মধ্যে থাকা পটাশিয়াম গর্ভবতী নারীর স্পন্দন নিয়ন্ত্রণ রাখতে সাহায্য করে এবং উচ্চ রক্তচাপ প্রতিরোধে ভূমিকা রাখে।
  • পায়ে ব্যথা বা ফোলা ভাব কমায়ঃ গর্ভ অবস্থায় অনেক সময় পায়ে পাতা ফোলা ভাব দেখা যায়। তোর মধ্যে থাকা জলিয়া উপাদান ও এন্টিঅক্সিডেন্ট এই সমস্যা রাজ করতে সাহায্য করে।
  • ত্বকের উজ্জ্বলতা বৃদ্ধি করেঃ গর্ভাবস্থায় হরমোনের তারতম কারণে অনেক সময় ত্বকে ব্রণ বা দাগ দেখা যায়। তরমুজে থাকা ভিটামিন এ সি ও এন্টিঅক্সিডেন্ট উজ্জ্বলতা রাখতে সাহায্য করে।
  • ইমিউন সিস্টেম শক্তিশালী করেঃ তরমুজের ভিটামিন সি বিদ্যমান থাকায়, রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়। গর্ভাবস্থায় রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা একটু কমে যেতে পারে, তাই তরমুজ খাওয়া খুবই উপকারী।
  • মন ভালো রাখতে সাহায্য করেঃ তরমুজে থাকা বি ভিটামিন এবং ম্যাগনেসিয়াম মানসিক চাপ ও উদ্বেগ কমাতে সাহায্য করে, যার গর্ভ অবস্থায় একজন মায়ের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ।
  • শিশুর বিকাশের সহায়তা করেঃ তরমুজে থাকা পুষ্টিগুণ যেমন হলেট, ভিটামিন এ সি এবং বি সিক্স শিশুর নায়ক তন্ত্র ত্বকের বিকাশের সহায়তা করে। সাহায্য করে।

তরমুজ খাওয়ার সঠিক সময়

তরমুজ খাওয়া যতটা উপকারী, ঠিক ততটাই গুরুত্বপূর্ণ হলো সঠিক নিয়মে খাওয়া। কারণ ভুল সময়ে বা ভুল উপায় তরমুজ খেলে তার শরীরের জন্য বিপরীত প্রভাব ফেলতে পারে। নিচে তরমুজ খাওয়ার সঠিক নিয়ম ও কিছু গুরুত্বপূর্ণ পরামর্শ তুলে ধরা হলঃ
  • খালি পেটে তরমুজ খাওয়া এড়িয়ে চলুনঃ খালি পেটে তরমুজ খেলে কিছু মানুষের গ্যাস্টিক বা অ্যাসিডিটির সমস্যা হতে পারে। তাই হালকা খাবারের পরেই তরমুজ খাওয়া উত্তম।
  • ভরা পেটে তরমুজ খাওয়া ঠিক নয়ঃ খাওয়ার পর পরই তরমুজ খেলে হজমের সমস্যা হতে পারে। অত্যন্ত খাবারের এক থেকে দেড় ঘন্টা পরে তরমুজ খাওয়া ভালো।
  • সকালে বা দুপুরে খাওয়ার সবচেয়ে ভালো সময়ঃ তরমুজে জলীয় উপাদান বেশি থাকে, তাই সকালের দিকে খেলে শরীরের হাইড্রেন থাকে। রাতের দিকে খেলে তা হজমের সমস্যা তৈরি করতে পারে।
  • তরমুজের সাথে দুধ বা অন্য ফল মিশিয়ে খাওয়া ঠিক নয়ঃ তরমুজ দ্রুত হজম হয়, আর কিছু খাবার ধীরে হজম হয়। ফলে একসাথে খেলে গ্যাস অম্বল বা বিভিন্ন সমস্যা হতে পারে। 
  • ঠান্ডা তরমুজ এড়িয়ে চলুনঃ ফ্রিজ থেকে বের করে সরাসরি তরমুজ খেলে ঠান্ডা লেগে যেতে পারে। কিছুক্ষণ রেখে তারপর খাওয়ায় ভালো। বিশেষ করে সর্দি কাশি থাকলে।
  • সঠিক পরিমাণে খানঃ একসাথে অনেক বেশি তরমুজ খেলে ডায়রিয়া, পেট ফাঁপ্‌ বা হজমের সমস্যা হতে পারে। তাই দিনে এক থেকে দুই কাপ বা দুই থেকে তিন টুকরো যথেষ্ট।
  • ডায়াবেটিস রোগীরা সতর্ক থাকুনঃ তরমুজে প্রাকৃতিক চিনি থাকে, তাই ডায়াবেটিস রোগীরা চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী খাবেন।
  • বিকেল ছয়টার পর না খাওয়াই ভালোঃ জমিনের সমস্যা করে এবং ঘুমের ব্যাঘাত ঘটাতে পারে।
  • তরমুজ কাটার পর এক থেকে দুই ঘন্টার মধ্যে খেয়ে ফেলুনঃ কাঁটা তরমুজ বেশি সময় ফেলে রাখলে ব্যাকটেরিয়া তৈরি হতে পারে। টাটকা থাকতেই খাওয়া উচিত।

তরমুজের বিজ খাওয়ার উপকারিতা

তরমুজের বীজ অনেক সময় আমরা ফেলে দিই, কিন্তু এতে রয়েছে অসাধারণ কিছু স্বাস্থ্য উপকারিতা। নিচে তরমুজের পিস খাওয়ার কিছু উপকারিতা তুলে ধরা হলো-
  • প্রোটিনের ভালো উৎসবঃ তরমুজের বীজে প্রোটিন থাকে, বিশেষ করে নামক প্রোটিন যার শরীরের কোষ গঠনের সাহায্য করে।
  • হৃদপিণ্ড সুস্থ করেঃ তরমুজের ভিজে থাকা ম্যাগনেসিয়াম এবং স্বাস্থ্যকর ফ্যাট হৃৎপিণ্ড ভালো রাখতে সাহায্য করে।
  • ত্বকের উজ্জ্বলতা বৃদ্ধি করেঃ তরমুজের বিজি থাকা অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট ও ফ্যাটি অ্যাসিড তত্ত্বের উজ্জ্বল ও হাইড্রেন রাখতে সাহায্য করে।
  • চুলের বৃদ্ধি ওস্বাস্থ্য ভালো রাখেঃ
  • তরমুজের ভিজে থাকা প্রোটিন আয়রন ও ম্যাগনেসিয়াম চুলের গোড়া শক্ত করে ও চুল পড়া কমায়।
  • ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণ সহায়কঃ তরমুজে বীজে রক্তের শর্করা মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখতে পারে। এটি ইনসুলিন সংবেদনশীলতা বাড়াতে সহায়তা করে।
  • হজমে সহায়তা করেঃ তরমুজের বীজে থাকা টাইটরি ফাইবার পেট পরিষ্কার রাখতে এবং হজম প্রক্রিয়াকে উন্নত করতে সাহায্য করে।
  • পুরুষদের প্রজনন ক্ষমতা বাড়তে সাহায্য করেঃ তরমুজ ভিজে থাকা জিন পুরুষকে স্পার্ম কোয়ালিটি উন্নত করে এবং যৌন স্বাস্থ্য ইতিবাচক প্রভাব ফেলে।
  • কিভাবে খাবেনঃ তরমুজের বিচি শুকিয়ে হালকা ভেজে খাওয়া যায় বা গুলি করে বিভিন্ন খাবারের সঙ্গে মিশিয়ে খাওয়া যায়। আপনি চাইলে হালাতে সঙ্গে মিশিয়ে খেতে পারেন।

তরমুজ খেলে ক্যান্সারের ঝুঁকি কম থাকে

তরমুজ একটি জনপ্রিয় গ্রীষ্মকালীন ফল যা শুধু সাধের মিষ্টি নয়, স্বাস্থ্যের উপকারিতা ও ভরপুর। বিশেষ করে এটি ক্যান্সারের ঝুঁকি কমাতে সহায়ক ভূমিকা রাখতে পারে। এ বিষয়ে নিচের কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্ট উপস্থাপন করলামঃ

ইপিনলাকো এর উপস্থিতিঃ তোর মধ্যে প্রচুর পরিমাণে লাইকোপিন নামক এমপি-অক্সিডেন্ট থাকে, যা টমেটো চেয়েও বেশি হতে পারে। লাইকোপিন শরীরের ফ্রী রেডিকেলের ক্ষতি পাওয়ার প্রভাব প্রতিরোধ করে, যা ক্যান্সার সৃষ্টির প্রধান কারণ গুলোর মধ্যে একটি। বিশেষ করে প্রটেস্ট ক্যান্সার প্রতিরোধে এটি কার্যকর বলে গবেষণায় দেখা গেছে।

অ্যান্টিঅক্সিডেন্টদের ক্ষমতাঃ তরমুজে থাকা ভিটামিন সি এবং ভিটামিন এ শরীরের কোষ কে সুরক্ষা দেয় এবং কোষের ডিএনএ ক্ষয় প্রতিরোধ করে। ডিএনএ এ রক্ষা করায় ক্যান্সার কোষের গঠন ঠেকাতে সাহায্য করে।
এন টি-ইনফ্লামেটরি উপাদানঃ তরমুজের থাকা কেরোটিনের এবং কিউকোর বিটাসিন ই ইনফেকশন কমাতে সহায়তা করে। দীর্ঘ মিয়াদি ইনফ্লামেশন অনেক সময় ক্যান্সারের দিকে নিয়ে যায়। ফলে ইনফ্লামেশন নিয়ন্ত্রণ রাখতে ক্যান্সারের ঝুঁকি কমে। 

ফাইবার সমৃদ্ধঃ তরমুজে কিছু পরিমাণ খাইবার রয়েছে যা হজম প্রক্রিয়া উন্নত করে এবং কোলন ক্যান্সার প্রতিরোধ সহায়তা করতে পারে।
তবে মনে রাখতে হবে তরমুজ খাওয়ার শুধু ক্যান্সার প্রতিরোধের সহায়ক এটি কোন চিকিৎসা নয়। স্বাস্থ্যকর খাদ্য ভাস ব্যায়াম এবং নিয়মিত চিকিৎসা পরামর্শ দীর্ঘমেয়াদি সুস্থ জীবনের মূল চাবিকাঠি।

 তরমুজের পুষ্টি উপাদান

তরমুজের-পুষ্টি-উপাদান

পুষ্টি উপাদান প্রতি ১০০ গ্রাম
ক্যালোরি ৩০ কিলোক ক্যালরি
পানি ৯১. ৫%
প্রোটিন ০.৬ গ্রাম
চর্বি 0.2 গ্রাম
কার্বোহাইড্রেট ৭.৬ গ্রাম
চিনি যুক্ত শর্করা 6.2 গ্রাম
ফাইবার ০.৪ গ্রাম
ক্যালসিয়াম ৭ মিলিগ্রামক
লোহা ০.২ মিলিগ্রাম
ম্যাগনেসিয়াম ১০ মিলিগ্রাম
ফসফরাস ১১ মিলিগ্রাম
পটাশিয়াম ১১২ মিলিগ্রাম
ভিটামিন সি ৮. ১ মিলিগ্রাম
ভিটামিন এ ৫৫৭ আই ইউ
ফলেট ৩ মাইক্রগ্রাম
লাইসোপিন ৪৫৩২ মাইক্রগ্রাম
row17 col 1 ০.২ মিলিগ্রাম-

তরমুজে কি অ্যালার্জি আছে

হ্যাঁ , কিছু মানুষের তরমুজ খাওয়ার পর এলার্জি হতে পারে., যদিও এটা খুব সাধারন না তবে তরমুজে থাকা রুটিনের কারণে কিছু লোকের এলার্জির প্রতিক্রিয়া দেখা দিতে পারে। চলুন তাহলে এলার্জির লক্ষণ গুলো কি কি হতে পারে এ নিয়ে আলোচনা করা যাক-
  • ঠোট, জিব্বা বা গলা চুলকানি বা ফোলা ভাব হতে পারে
  •  ত্বকে রেশ বা চুলকানি হতে পারে
  • পেটে ব্যথা বমি বমি ভাব বা ডায়রিয়া হতে পারে
  • শ্বাসকষ্ট বা হাসি কাশি হতে পারে
  •  এ ধরনের প্রতিক্রিয়া যাদের হয্‌ তারা সাধারণত তরমুজ ছাড়াও অন্যান্য ফল যেমন কলা শসা, জাতীয় ফল ফ্রুট খেলেও এলার্জি হতে পারে।

তরমুজ খাওয়ার অপকারিতা

তরমুজ একটি সুস্বাদু ও পুষ্টিকর ফল হলেও অতিরিক্ত খেলে বা কিছু বিশেষ ক্ষেত্রে এটি কিছু অপরিকতা বা পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া ঘটাতে পারে। নিচে তরমুজ খাওয়ার কিছু সম্ভাব্য ক্ষতির দিক তুলে ধরা হলোঃঅতিরিক্ত পানি জমে যাওয়াঃ তরমুজে প্রায় ৯২ শতাংশ পানি থাকে অতিরিক্ত তরমুজ খেলে শরীরে অতিরিক্ত পানি জমে যেতে পারি, যা কিডনির উপর চাপ সৃষ্টি করতে পারে।

পেটের গ্যাস বা অম্বলঃ তরমুজে প্রোটোজ নামক প্রাকৃতিক চিনি থাকে। যা কিছু মানুষের পেটে এই প্রোডোজ হজমের সমস্যা হয়, হলে গ্যাস অম্বল বাডারিয়া হতে পারে।
রক্তের চিনি বেড়ে যাওয়াঃ তরমুজে গ্লাইসেমিক উচ্চতা রক্তের শর্করা পরিমাণ দ্রুত বাড়াতে পারে। ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য এটি সমস্যার সৃষ্টি করতে পারে, যদি মাত্রা অতিরিক্ত খাওয়া হয়। 

এলার্জির প্রতিক্রিয়াঃ আগেই বলা হয়েছে কিছু মানুষের তরমুজ খেলে এলার্জি অনুভব করতে পারে, যেমন ঠোঁট চুলকানো খোলা ভাব হাঁচি বা শ্বাসকষ্ট ইত্যাদি।
কিডনি রোগীর জন্য ঝুঁকিঃ যাদের কিডনির সমস্যা আছে, তাদের পটাশিয়াম নিয়ন্ত্রণ রাখতে হয়। তরমুজ অতিরিক্ত খেলে কিডনির উপর চাপ পড়ে এবং সমস্যা বাড়তে পারে।

 তবে স্বাভাবিক পরিমাণে তরমুজ খেলে সাধারণত কোন সমস্যা হয় না। সবকিছুই পরিণত খাওয়া ভালো।

উপসংহার/তরমুজের আশ্চর্য উপকারিতা সম্পর্কে জানুন

তরমুজের আশ্চর্য উপকারিতা সম্পর্কে আমরা এতক্ষণ অনেক কিছু অজানা তথ্য জানলাম তরমুজ খেলে কি কি উপকার হয় ,তরমুজে কি কি উপাদান রয়েছ , তরমুজ আমাদের দেহের জন্য কতখানি উপকারী। কিভাবে ক্যান্সার প্রতিরোধ করে। তরমুজ অতিরিক্ত খেলে আমাদের কি ক্ষতি হতে পারে।

এতক্ষণ আলোচনাতে আশা করি আপনারা অনেক তরমুজ বিষয়ে তথ্য পেয়েছেন। এমনকি আপনারা উপকৃত হয়েছে, এমন আরো নতুন নতুন তথ্য পেতে পেজটি ফলো দিয়ে রাখুন, আর আমার লেখার মাঝে কোন ভুল ত্রুটি হয়ে থাকলে ইনবক্সে কমেন্ট করে জানাবেন। আপনাদের সুস্থতা কামনা করে আজ এখানেই শেষ করছি।





এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

www.alltipsatoz.comনীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url